<p>আমাদের বিজ্ঞানের শিক্ষক মরিয়ম ম্যাডাম যেদিন হিরোশিমা নাগাসাকির কথা বলেন, সেদিন থেকে আমার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ভয়াবহতার কথা জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। আমি যা জেনেছি, তা-ই শেয়ার করেছি তোমাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন জাপানকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না, বরং  জাপান যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবারে আক্রমণ করে আটটি যুদ্ধজাহাজ ও ১৩টি নৌবাহিনীর জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত করে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানি সময় ৮টা ১৫ মিনিটে জাপানের হিরোশিমা শহরে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। যে পারমাণবিক বোমাটি ফেলা হয় তার নাম লিটল বয়। দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশে যায়। চোখের নিমেষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় শহরের বেশির ভাগ স্থান। মারা যায় দুই লাখ ৩৭ হাজার মানুষ। তিন দিন পর অর্থাৎ ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামে আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিমেষেই কেড়ে নেয় ৭৪ হাজার তাজা প্রাণ। এই বোমায় নারীদের গর্ভের সন্তান আক্রান্ত হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বেশির ভাগ শিশুই বিকলাঙ্গ হয়। বিস্ফোরণের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় জাপানের কয়েক প্রজন্ম।</p> <p>তাই এই আগস্টে বলতে চাই, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। বর্তমান বিশ্বের যে কয়েক জায়গায় যুদ্ধ চলছে তার অবসান চাই। কারণ বর্তমানের পারমাণবিক বোমা ও অন্য যুদ্ধাস্ত্রগুলো আরো ভয়াবহ, আরো শক্তিশালী। নিমেষেই ধ্বংস করে দিতে পারে শহর, বন্দর, গ্রাম, দেশ। কেড়ে নিতে পারে হাজারো মানুষের জীবন। তাই যুদ্ধ নয়, শান্তিই বয়ে আনতে পারে আগামী সুন্দর পৃথিবী। শিশু হিসেবে কি আমাদের এটি খুব বেশি চাওয়া?</p> <p> </p>