<p>আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ব্যাখ্যা জানতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ জানুয়ারি তাদের আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>বুধবার (৮ জানুয়ারি) আদালতের আদেশ বাস্তবায়নসংক্রান্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। </p> <p>আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।</p> <p>আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০২৩ সালের অক্টোবরে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার চাপঘাট রহিমপুর সুন্নী মাদরাসার সুপার মাশুক আহেমদ এমপিও স্থগিত করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে তার বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এই স্থগিতাদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করেন তিনি। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছর ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। অন্তর্বর্তী আদেশে হাইকোর্ট রিট আবেদনারী মাশুক আহমেদকে বন্ধ করে দেওয়া সমুদয় বেতন দিতে অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, মাদরাসার সুপার হিসেবে মাশুক আহমেদের দায়িত্ব পালনে যাতে বাঁধা দেওয়া না হয়। হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ ওই আবেদনে নো অর্ডার দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশটি বহাল থাকে।’</p> <p>আইনজীবী মনিরুল বলেন, ‘আপিল বিভাগের এই আদেশের পরও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাশুক আহমেদকে তাঁর বকেয়া বেতন না পেয়ে গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ এপ্রিল মহাপরিচালকের দপ্তরে বেতন চেয়ে আবেদন করেন। সাড়া না পেয়ে গত বছর ১৩ মে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। তাতেও কাজ না হওয়ায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, একজন পরিচালক ও একজন উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার আবেদন করেন। গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর আবেদনে শুনানির পর হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারির পাশাপাশি তাঁদের তলব করেন। গত বছর ২৮ অক্টোবর তাঁদের আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন তাঁরা আদালতে হাজির হননি। এদিকে হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে মাশুক আহমেদকে গত বছরের অক্টোবর থেকে বেতন দেওয়া শুরু করে অধিদপ্তর। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে বেতন দিতে। যাই হোক, আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট অধিদপ্তরের মহারিচালক, পরিচালক ও একজন উপ-পরিচালককে তলব করেন।’</p> <p>রিট আবেদনের সময় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন হাবিবুর রহমান। গত ১৫ অক্টোবর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করা হয় মো. আব্দুল মান্নানকে। রিট আবেদনে পরিচালক হিসেবে মো. আবু নঈমের নাম উল্লেখ থাকলেও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই নামে কোনো কর্মকর্তার নাম পাওয়া যায়নি। তবে কর্মকর্তাদের তালিকায় উপপরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাসারের নাম আছে। আদশের বিষয়ে জানতে অধিদপ্তরের আইনজীবী মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মোবাইল নাম্বারে কল করলে তিনি কল ধরেননি।</p>