প্রশ্ন-উত্তর

কবরস্থানের ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ানো যাবে?

ইসলামী জীবন ডেক্স
ইসলামী জীবন ডেক্স
শেয়ার
কবরস্থানের ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ানো যাবে?
প্রতীকী ছবি

প্রশ্ন : কবরস্থানের ঘাস কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়ানো বা সেখানে গরু চরানোর বিধান কী?

-রোকন, কুমিল্লা

উত্তর : কবরস্থানে গরু চরানো নিষিদ্ধ। আর সেখান থেকে সবুজ ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ানো মাকরুহ। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার খাতিরে কাটার প্রয়োজন হলে কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়ানো যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ২/২৪৫, হিন্দিয়া : ১/১৬৬, কিফায়াতুল মুফতি : ৭/১১৬, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৯/৪০৮)

সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকা।


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রোজা অবস্থায় চুমু দেওয়ার বিধান

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রোজা অবস্থায় চুমু দেওয়ার বিধান

ইসলামে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। রোজাদারের জন্য সুবহে সাদিকের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। এ ছাড়া যাবতীয় পাপ কাজ পরিহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোজাদারকে। 

কিছু বিষয় এমন আছে যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ না হলেও তা করা অনুচিত।

কারণ এতে রোজা ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া বা আদর-সোহাগ করা। এতে সহবাস বা বীর্যপাতের পরিস্থিতি তৈরি না হলে কোনো সমস্যা নেই। তবে রোজা যেহেতু পানাহার ও যৌনতা থেকে সংযমী হওয়ার মাস, তাই এই মাসে দিনের বেলা রোজাদারদের যৌন উত্তেজক কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।

পক্ষান্তরে গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা থাকলে এমন কাজ করা মাকরুহ। আর গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে রোজা ভেঙে যাবে। পরবর্তীতে তা কাজা দিতে হবে।

হাদিস শরিফে এসেছে, 

عن عائشة رضي الله عنها قالت: (كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ، وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ، وَلَكِنَّهُ أَمْلَكُكُمْ لِإِرْبِهِ) رواه البخاري

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘নবী (সা.) রোজা অবস্থায় চুমু দিতেন এবং শরীর স্পর্শ করতেন।

কিন্তু তিনি তাঁর যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে বেশি সক্ষম ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৭), মুসলিম, হাদিস : ১১০৬)

অন্য হাদিসে এসেছে, 

وعن أبي هريرة: أن رجلاً سأل النبي ﷺ عن المباشرة للصائم فرخَّص له، وأتاه آخر فنهاه. هذا الذي رخص له شيخ، والذي نهاه شاب.

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে রোজাদার ব্যক্তির স্ত্রীকে স্পর্শ করা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন। তখন রাসুল (সা.) তাকে অবকাশের কথা জানালেন। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে তাঁকে একই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বারণ করেন। যে ব্যক্তিকে তিনি অবকাশ দিয়েছিলেন তিনি বৃদ্ধ ছিলেন এবং যাকে তিনি বারণ করেছিলেন ওই ব্যক্তি যুবক ছিল।

(আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৮৭)

অন্য হাদিসেও যুবক ও বৃদ্ধের ক্ষেত্রে বিধানটির তারতাম্যের বিবরণ বর্ণিত হয়েছে। যেমন- 

 عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال: (كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم فجاء شاب فقال: يا رسول الله! أقبل وأنا صائم؟ فقال النبي صلى الله عليه وسلم: لا، فجاء شيخ فقال: أأقبل وأنا صائم؟ فقال: نعم)، قال الراوي (فنظر بعضنا إلى بعض فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: قد علمت لم نظر بعضكم إلى بعض، إن الشيخ يملك نفسه).

হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘আমরা নবী (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন এক যুবক এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি রোজা রেখে চুমু খেতে পারি?’ নবী (সা.) বললেন, ‘না।’ এরপর এক বৃদ্ধ এলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। নবী (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ।’ আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, ‘আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোনো, বৃদ্ধ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২ / ১৮০ ও ২৫০)

শায়খ আবদুল আজিজ বিন বাজ (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, পুরুষ যদি রমজান মাসে দিনের বেলা স্ত্রীকে চুম্বন করে বা তাকে আদর-সোহাগ করে, তাহলে কি তার রোজা নষ্ট হবে, নাকি হবে না?

তিনি উত্তরে বলেছিলেন, একজন পুরুষের জন্য রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা, আদর-সোহাগ করা, সহবাস ছাড়া স্পর্শ করা এসব কিছুই বৈধ। এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ নবী (সা.) রোজা অবস্থায় চুম্বন করতেন, রোজা অবস্থায় স্পর্শ করতেন। কিন্তু কেউ যদি হারামে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে তাহলে তার জন্য চুম্বন করা মাকরুহ। আর যদি সে বীর্যপাত করে ফেলে তাহলে সে দিবসের বাকি সময় সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকবে এবং ওই দিনের রোজা পরে কাজা করবে। তবে এর জন্য তাকে কাফফারা দিতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমের মত। (ফাতাওয়াশ শাইখ ইবনে বাজ, (পৃষ্ঠা : ৩১৫; খণ্ড ১৫)
 

মন্তব্য
প্রতিদিনের আমল

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া

পার্থিব জীবনে মহান আল্লাহর নির্দেশনা মতে জীবন পরিচালনা করা মুমিনের কর্তব্য। তবে মানুষ হিসেবে ভুল করাও অস্বাভাবিক নয়। তাই পবিত্র কোরআনে ভুল-ত্রুটি থেকে তাওবা করে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে এ বিষয়ের দোয়া বর্ণিত হয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে,

 رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْراً كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنا رَبَّنَا وَلا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

অর্থ : হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না যদি আমরা ভুলে করি বা ত্রুটি করি। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর কোনো ভারী বোঝা চাপাবেন না, যেমন চাপিয়েছিলেন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর এমন দায়িত্বভার অর্পণ করবেন না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (সব ত্রুটি) ক্ষমা করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন।

আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন। ২/২৮৬
 

মন্তব্য
হাদিসের বাণী

রমজানের শেষ ১০ দিনের জন্য মহানবী (সা.)-এর প্রস্তুতি

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রমজানের শেষ ১০ দিনের জন্য মহানবী (সা.)-এর প্রস্তুতি
ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। বিশেষত এ মাসের শেষ দশ দিন অত্যন্ত বরকতপূর্ণ সময়। রাসুল (সা.) শেষ দশক শুরু হলে ইবাদতের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতেন। এমনকি রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং পরিবারকে জাগিয়ে দিতেন।

হাদিসে এসেছে- 

عن عائشةَ -رضي اللهُ عنها- أنها قالت : كانَ النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ إذَا دَخَلَ العَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ، وأَحْيَا لَيْلَهُ، وأَيْقَظَ أهْلَهُ

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, যখন রমজান মাসের শেষ দশদিন শুরু হতো তখন রাসুল (সা.) ইবাদতের জন্য কোমর বেধে নিতেন। আর রাতভর সজাগ থাকতেন এবং নিজ পরিবারকে ঘুম থেকে তুলে দিতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২০২৪)

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পবিত্র রমজান মাসে স্বাস্থ্য সচেতনতা

মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
শেয়ার
পবিত্র রমজান মাসে স্বাস্থ্য সচেতনতা

ইবাদত-আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। এই মাস অন্তত চারটি বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র মর্যাদাপূর্ণ :

(ক) এই মাসে কোরআন নাজিল হয়,

(খ) এই মাসেই রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর,

(গ) এই মাসে শয়তান বন্দি থাকে,

(ঘ) এই মাস মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমায় সমুজ্জ্বল।

সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে আছে, তোমাদের মধ্যে যে কেউ এই মাস পাবে সে যেন এই মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। এর ইংরেজি Who is present during that month should spend it in fasting.

দুঃখজনক সত্য, কিছু মানুষ রমজানে বেশি কেনাকাটা, ভোজন রসিকতায় মেতে ওঠে, ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।

মনে রাখা ভালো, রোজা ভোজনে সংযমের মাধ্যমে খাদ্য-পুষ্টি ও সুস্থতার শিক্ষা দেয়। সুস্থতা ও অবসর মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও অবসর—এই দুই নিয়ামতের বিষয়ে বেশির ভাগ মানুষ ধোঁকার মধ্যে রয়েছে।’ (বুখারি)

মানুষের মধ্যে কে উত্তম—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যার হায়াত দীর্ঘ হয় ও আমল হয় ভালো।

’ (তিরমিজি)

সুস্থ দেহ, সুন্দর-সক্ষম মানবগোষ্ঠী বিনির্মাণে চিকিৎসা ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। রোগের প্রতিকার, প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা আছে পবিত্র কোরআনে, আমি কোরআনে এমন বিষয় নাজিল করি, যা মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমত। (সুরা : বানি ইসরাঈল, আয়াত: ৮২)

জাতীয় কবির ভাষায়, ‘যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা নিত্যউপবাসী...।’

পবিত্র রমজানে আমরা কি তাদের কথা ভেবে দেখেছি? সঠিক খাদ্য-পুষ্টি ব্যবস্থাপনা ও সুস্বাস্থ্য পারস্পরিক পরিপূরক অথচ তা আমরা কয়জনই বা মেনে চলি? প্রিয় নবী (সা.) সব সময় স্বল্প পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতেন।

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলের (সা.) ওফাত পর্যন্ত তাঁর পরিবারবর্গ একাদিক্রমে দুই দিন পেট ভরে যবের রুটি খাননি।’ (শামায়েলে তিরমিজি)

ইসলাম ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ জীবন সমর্থন করে না। বিশ্ব প্রতিপালকের ঘোষণা, ভূপৃষ্ঠের সব প্রাণীর জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিজে গ্রহণ করেছেন। (সুরা : হুদ, আয়াত : ৬)

কিন্তু মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও বঞ্চনার জন্য দায়ী মানুষের অসচেতনতা। সমাজের একাংশের ভোগাকাঙ্ক্ষা অন্যাংশের ভোগান্তির কারণ হয়।

অথচ সম্পদের সুষম বণ্টন প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, তাদের সম্পদে দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে। (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৯)

প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘সে প্রকৃত ঈমানদার নয়, যে পেট ভরে খায় আর তারই প্রতিবেশী অভুক্ত রাত যাপন করে।’ (বাইহাকি)

প্রিয় নবী (সা.) আরো বলেন, ‘ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও...।’ (মুসলিম)

অপরিমেয়, অপরিকল্পিত খাদ্য গ্রহণে obesity (স্থূলতা)-র পথ ধরে আসে অ্যাজমা, ব্লাড প্রেসার, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস তথা A, B, C, D আদ্যক্ষরের ঘাতক ব্যাধি। মেদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেত্রভেদে মানুষের মেধা কমতে থাকে। কথায় বলে, ‘অনাহারে নাহি খেদ, বেশি খেলে বাড়ে মেদ।’

পুষ্টিবিজ্ঞানীরা স্থূলতা হ্রাসের জন্য (ক) ১০০% ইচ্ছাশক্তি (খ) ধৈর্য (গ) খাদ্যতালিকা (ঘ) খাদ্য পরিকল্পনা (ঙ) ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন। প্রিয় নবী (সা.) মুমিন ও কাফিরের মনস্তুষ্টিগত পার্থক্য বোঝাতে বলেন, ‘মুমিন খায় এক পাকস্থলীতে আর কাফির খায় সাত পাকস্থলীতে...। (বুখারি)

প্রিয় নবী (সা.) খাদ্যগ্রহণে সামাজিক সম্প্রীতি ও সুষম বণ্টন নিশ্চিতকরণের শিক্ষা দিয়ে বলেন, ‘দুজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট, তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।’ (বুখারি)

অন্যত্র আছে, ‘একজনের খাবার দুজনের, দুজনের খাবার চারজনের, চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম)

প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের খাদ্যদ্রব্য মেপে নাও, এতে তোমাদের বরকত দেওয়া হবে।’ (বুখারি)

বস্তুত মানুষের ‘রিজিক’ শেষ না হলে তার মৃত্যু হয় না। বুঝতে হবে, মানুষ না খেয়ে মরে না, বরং বেশি খেয়ে, অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে কষ্ট পায়। তাই অপরিমেয় ও অপরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস থেকে বিরত থাকার জন্য পবিত্র রমজান হলো আদর্শ। পরিশেষে মহান আল্লাহর দরবারে প্রিয় নবীর (সা.) ভাষায় মোনাজাত, ‘হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে সুস্বাস্থ্য কামনা করি...।’ (বায়হাকি)

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ