প্রশ্ন-উত্তর

কবরস্থানের ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ানো যাবে?

ইসলামী জীবন ডেক্স
ইসলামী জীবন ডেক্স
শেয়ার
কবরস্থানের ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ানো যাবে?
প্রতীকী ছবি

প্রশ্ন : কবরস্থানের ঘাস কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়ানো বা সেখানে গরু চরানোর বিধান কী?

-রোকন, কুমিল্লা

উত্তর : কবরস্থানে গরু চরানো নিষিদ্ধ। আর সেখান থেকে সবুজ ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ানো মাকরুহ। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার খাতিরে কাটার প্রয়োজন হলে কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়ানো যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ২/২৪৫, হিন্দিয়া : ১/১৬৬, কিফায়াতুল মুফতি : ৭/১১৬, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৯/৪০৮)

সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকা।


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মুমিনের জীবনে ইহসান কেন গুরুত্বপূর্ণ

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
শেয়ার
মুমিনের জীবনে ইহসান কেন গুরুত্বপূর্ণ

মহান আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম আমল হলো ‘ইহসান’। শব্দটি অনেক ছোট হলেও এর অর্থ ও মাহাত্ম্য ব্যাপক। বিজ্ঞ আলেমরা ইহসানকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি অন্যের প্রতি অবিচার ও অন্যায়ের বিপরীত।

এর অর্থ হলো সব ধরনের কদর্য ও নিন্দনীয় কাজ পরিহার করা এবং উত্তম ও সুন্দর কাজ করা।

কেউ কেউ বলেছেন, ইহসান হলো এমনভাবে দায়িত্ব পালন করা, যা শরিয়ত অনুযায়ী সর্বোত্তম হয়। আবার আরেক সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ইহসান হলো আল্লাহকে এমনভাবে উপাসনা করা যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছ। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত এই বিশ্বাস রাখা যে তিনি তোমাকে দেখছেন।

এ ছাড়া ইহসান মানে হলো দেশ ও মানুষের কল্যাণে যথাসম্ভব উপকার ও মঙ্গলসাধন করা। এককথায় বলতে গেলে ইহসান এক মহৎ গুণ, যার মধ্যে সব উন্নত গুণের সম্মিলন ঘটেছে। ইহসান মানুষকে কল্যাণকামী হতে শেখায় এবং মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত তৈরি করে।

ইহসান মানুষকে নিঃস্বার্থ দান, দ্বিধাহীন আত্মত্যাগ, অহংকারহীন অনুগ্রহ ও অন্যকে সম্মান দিতে শেখায়।

মহান আল্লাহ এই গুণের অধিকারী, কারণ তিনি তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি সদয় এবং সব কল্যাণ ও অনুগ্রহের মূল উৎস। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহই তো, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন অবস্থানস্থল, আকাশকে করেছেন (উঁচু গম্বুজস্বরূপ) এক ছাদ, তোমাদের আকৃতিকে করেছেন সুন্দর এবং উৎকৃষ্ট বস্তু থেকে তোমাদের রিজিক দান করেছেন। তিনিই আল্লাহ, যিনি তোমাদের প্রতিপালক। তিনি অতি বরকতময়, জগৎসমূহের প্রতিপালক। (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬৪)

নিচে কোরআন-হাদিসের আলোকে ইহসানের কয়েকটি প্রকার তুলে ধরা হলো :

আল্লাহর ইবাদতে ইহসান : হাদিসে জিবরাইলে রাসুল (সা.) ইহসানের এই শাখার সংজ্ঞা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইহসান হলো তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তাঁকে দেখছ, যদি তাঁকে না দেখ তাহলে তিনি তোমাকে দেখছেন বলে অনুভব করবে। (মুসলিম, হাদিস : ১)

মা-বাবার প্রতি ইহসান : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মা-বাবার সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে ইহসান অবলম্বনের আদেশ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত কোরো না, মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, মা-বাবার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাঁদের উফ্ পর্যন্ত বোলো না এবং তাঁদের ধমক দিয়ো না; বরং তাঁদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো। (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)

এই আয়াতে মা-বাবার প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে ইহসান বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেশীর প্রতি ইহসান : নবীজি (সা.) প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহারের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন, যাতে সমাজে পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। সমাজে শান্তি আসে। প্রতিবেশীর প্রতি ইহসানের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীর প্রতি দয়াপরবশ হয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৬৭২)

এতিম ও দরিদ্রদের প্রতি ইহাসন : এতিম ও গরিব-দুঃখীর প্রতি ইহসান মানুষের হৃদয়কে কোমল করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মা-বাবার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন ও এতিম, মিসকিনদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবং (সেই সময়ের কথা স্মরণ কর) যখন আমি বনি ইসরাঈলের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না, মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে এবং আত্মীয়-স্বজন, এতিম ও মিসকিনদের সঙ্গেও। আর মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বলবে, নামাজ কায়েম করবে ও জাকাত দেবে...। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৮৩)

লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ইহসান : মুমিনের উচিত, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করা। ইনসাফ বজায় রাখা, হারাম ও জুলুম থেকে বিরত থাকা। কেননা পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ‘আদল’ ও ‘ইহসান’-এর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়-স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)

বিতর্কে ইহসান : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তুমি নিজ প্রতিপালকের পথে মানুষকে ডাকবে হিকমত ও সদুপদেশের মাধ্যমে আর (যদি কখনো বিতর্কের দরকার পড়ে, তবে) তাদের সঙ্গে বিতর্ক করবে উত্কৃষ্ট পন্থায়। (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)

পশুপাখির প্রতি ইহসান : পশুপাখির প্রতি সদাচরণের অন্যতম রূপ হলো তাদের খাদ্য ও পানি দেওয়া, যত্ন নেওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা করা। যেসব প্রাণীর মাধ্যমে মহান আল্লাহ মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণের নিয়ম করেছেন, তাদের জবাই করার ক্ষেত্রেও তাদের নিয়ম মেনে চলা। রাসুলুল্লাহ (সা.) পশু জবাইয়ের সময় ছুরিকে ভালোভাবে ধার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে প্রাণী অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না পায়। তিনি আরো নিষেধ করেছেন, যেন কোনো পশুর সামনে ছুরি ধার না করা হয় এবং এক পশুর সামনে আরেক পশুকে জবাই করা না হয়। ওমর (রা.)-ও দয়ার কারণে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন কোনো পশুর সামনে আরেকটি পশুকে জবাই না করা হয়। এটি ইসলামে দয়া ও ইহসানের অন্যতম শিক্ষা, যা শুধু মানুষের প্রতি নয়, বরং সব সৃষ্টির প্রতিও প্রযোজ্য।

কথাবার্তায় ইহসান : কথাবার্তায় উত্তম ভাষা ব্যবহার ও সম্মানসূচক শব্দ প্রয়োগও এক ধরনের ইহসান। একজন মুসলমানের উচিত আলোচনায় সুন্দর ও উত্তম ভাষা ব্যবহার করা। সে যেন সদ্ব্যবহার ও ভালো কথা বেছে নেয়, যাতে অপ্রয়োজনীয় বিরোধ সৃষ্টি না হয়। অনেক সময় তর্ক-বিতর্ক থেকে শয়তানের প্ররোচনায় তা কলহ ও সংঘর্ষে রূপ নেয়, যা সমাজে অশান্তি ও অনৈক্য ছড়িয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আমার (মুমিন) বান্দাদের বলে দাও, তারা যেন এমন কথাই বলে, যা উত্তম। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের মধ্যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা : ইসরাঈল, আয়াত : ৫৩)

উল্লিখিত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়, মানুষ যদি তার জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ইহসান অবলম্বন করত, তাহলে তার ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যেত। সমাজের চিত্র পাল্টে যেত। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়ে যেত।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইহসান অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্য

রোজা অবস্থায় চুমু দেওয়ার বিধান

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রোজা অবস্থায় চুমু দেওয়ার বিধান

ইসলামে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। রোজাদারের জন্য সুবহে সাদিকের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। এ ছাড়া যাবতীয় পাপ কাজ পরিহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোজাদারকে। 

কিছু বিষয় এমন আছে যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ না হলেও তা করা অনুচিত।

কারণ এতে রোজা ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া বা আদর-সোহাগ করা। এতে সহবাস বা বীর্যপাতের পরিস্থিতি তৈরি না হলে কোনো সমস্যা নেই। তবে রোজা যেহেতু পানাহার ও যৌনতা থেকে সংযমী হওয়ার মাস, তাই এই মাসে দিনের বেলা রোজাদারদের যৌন উত্তেজক কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।

পক্ষান্তরে গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা থাকলে এমন কাজ করা মাকরুহ। আর গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে রোজা ভেঙে যাবে। পরবর্তীতে তা কাজা দিতে হবে।

হাদিস শরিফে এসেছে, 

عن عائشة رضي الله عنها قالت: (كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ، وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ، وَلَكِنَّهُ أَمْلَكُكُمْ لِإِرْبِهِ) رواه البخاري

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘নবী (সা.) রোজা অবস্থায় চুমু দিতেন এবং শরীর স্পর্শ করতেন।

কিন্তু তিনি তাঁর যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে বেশি সক্ষম ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৭), মুসলিম, হাদিস : ১১০৬)

অন্য হাদিসে এসেছে, 

وعن أبي هريرة: أن رجلاً سأل النبي ﷺ عن المباشرة للصائم فرخَّص له، وأتاه آخر فنهاه. هذا الذي رخص له شيخ، والذي نهاه شاب.

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে রোজাদার ব্যক্তির স্ত্রীকে স্পর্শ করা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন। তখন রাসুল (সা.) তাকে অবকাশের কথা জানালেন। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে তাঁকে একই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বারণ করেন। যে ব্যক্তিকে তিনি অবকাশ দিয়েছিলেন তিনি বৃদ্ধ ছিলেন এবং যাকে তিনি বারণ করেছিলেন ওই ব্যক্তি যুবক ছিল।

(আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৮৭)

অন্য হাদিসেও যুবক ও বৃদ্ধের ক্ষেত্রে বিধানটির তারতাম্যের বিবরণ বর্ণিত হয়েছে। যেমন- 

 عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال: (كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم فجاء شاب فقال: يا رسول الله! أقبل وأنا صائم؟ فقال النبي صلى الله عليه وسلم: لا، فجاء شيخ فقال: أأقبل وأنا صائم؟ فقال: نعم)، قال الراوي (فنظر بعضنا إلى بعض فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: قد علمت لم نظر بعضكم إلى بعض، إن الشيخ يملك نفسه).

হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘আমরা নবী (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন এক যুবক এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি রোজা রেখে চুমু খেতে পারি?’ নবী (সা.) বললেন, ‘না।’ এরপর এক বৃদ্ধ এলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। নবী (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ।’ আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, ‘আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোনো, বৃদ্ধ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২ / ১৮০ ও ২৫০)

শায়খ আবদুল আজিজ বিন বাজ (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, পুরুষ যদি রমজান মাসে দিনের বেলা স্ত্রীকে চুম্বন করে বা তাকে আদর-সোহাগ করে, তাহলে কি তার রোজা নষ্ট হবে, নাকি হবে না?

তিনি উত্তরে বলেছিলেন, একজন পুরুষের জন্য রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা, আদর-সোহাগ করা, সহবাস ছাড়া স্পর্শ করা এসব কিছুই বৈধ। এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ নবী (সা.) রোজা অবস্থায় চুম্বন করতেন, রোজা অবস্থায় স্পর্শ করতেন। কিন্তু কেউ যদি হারামে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে তাহলে তার জন্য চুম্বন করা মাকরুহ। আর যদি সে বীর্যপাত করে ফেলে তাহলে সে দিবসের বাকি সময় সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকবে এবং ওই দিনের রোজা পরে কাজা করবে। তবে এর জন্য তাকে কাফফারা দিতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমের মত। (ফাতাওয়াশ শাইখ ইবনে বাজ, (পৃষ্ঠা : ৩১৫; খণ্ড ১৫)
 

মন্তব্য
প্রতিদিনের আমল

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া

পার্থিব জীবনে মহান আল্লাহর নির্দেশনা মতে জীবন পরিচালনা করা মুমিনের কর্তব্য। তবে মানুষ হিসেবে ভুল করাও অস্বাভাবিক নয়। তাই পবিত্র কোরআনে ভুল-ত্রুটি থেকে তাওবা করে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে এ বিষয়ের দোয়া বর্ণিত হয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে,

 رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْراً كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنا رَبَّنَا وَلا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

অর্থ : হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না যদি আমরা ভুলে করি বা ত্রুটি করি। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর কোনো ভারী বোঝা চাপাবেন না, যেমন চাপিয়েছিলেন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর এমন দায়িত্বভার অর্পণ করবেন না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের (সব ত্রুটি) ক্ষমা করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন।

আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন। ২/২৮৬
 

মন্তব্য
হাদিসের বাণী

রমজানের শেষ ১০ দিনের জন্য মহানবী (সা.)-এর প্রস্তুতি

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রমজানের শেষ ১০ দিনের জন্য মহানবী (সা.)-এর প্রস্তুতি
ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। বিশেষত এ মাসের শেষ দশ দিন অত্যন্ত বরকতপূর্ণ সময়। রাসুল (সা.) শেষ দশক শুরু হলে ইবাদতের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতেন। এমনকি রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং পরিবারকে জাগিয়ে দিতেন।

হাদিসে এসেছে- 

عن عائشةَ -رضي اللهُ عنها- أنها قالت : كانَ النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ إذَا دَخَلَ العَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ، وأَحْيَا لَيْلَهُ، وأَيْقَظَ أهْلَهُ

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, যখন রমজান মাসের শেষ দশদিন শুরু হতো তখন রাসুল (সা.) ইবাদতের জন্য কোমর বেধে নিতেন। আর রাতভর সজাগ থাকতেন এবং নিজ পরিবারকে ঘুম থেকে তুলে দিতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২০২৪)

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ