ঢাকা, শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫
১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫
১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৭ রমজান ১৪৪৬

রাসুল (সা.) যত বছর রমজানের রোজা রেখেছিলেন

মুফতি আবদুল্লাহ নুর
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
শেয়ার
রাসুল (সা.) যত বছর রমজানের রোজা রেখেছিলেন

ইসলাম আগমনের পূর্বে আরব সমাজেও রোজার প্রচলন ছিল। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার রোজা পালন করত এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও এই রোজা পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় আগমন করেন তখনো এই রোজা পালন করেন এবং তা পালনের নির্দেশ দেন। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো তখন আশুরার রোজা ছেড়ে দেওয়া হলো।

যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা পালন করবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০০২)

মুসলমানরা মদিনায় হিজরত করার পর কিছুদিন আশুরার রোজা পালন করেন। এই সময় আশুরার রোজাই মুসলমানের জন্য ওয়াজিব ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) যখন মদিনায় আসেন তখন দেখতে পেলেন ইহুদিরা আশুরা দিন রোজা রাখে।

তাদের রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, এই দিনেই আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাঈলকে ফেরাউনের ওপর বিজয় দিয়েছিলেন। তাই আমরা ওই দিনের সম্মানে রোজা পালন করি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা (আ.)-এর বেশি নিকটবর্তী। এরপর তিনি সাওম পালনের নির্দেশ দিলেন।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৯৪৩)

এ ছাড়া মুসলিমরা প্রতি মাসে তিন দিন রোজা পালন করত বলে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়। তবে বেশির ভাগ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরবর্তী সময়ে নফলে পরিণত হয়। আর আইয়ামে বিদ বা প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার বিধান সব সময় মুস্তাহাব ছিল। হাদিসে আইয়ামে বিদের রোজার বিশেষ তাগিদ এসেছে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমার বন্ধু (সা.) আমাকে তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন।

মৃত্যু পর্যন্ত আমি তা ত্যাগ করব না। তাহলো—প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা, চাশতের নামাজ আদায় করা এবং বিতর আদায় করে শোয়া।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৭৮)

দ্বিতীয় হিজরিতে রমজানের রোজা ফরজ হয়। ইমাম নববী (রহ.) লেখেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কেননা তা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আর নবী (সা.) একাদশ হিজরির রবিউল আউয়ালে ইন্তেকাল করেন।’ (আল-মাজমুআ : ৬/২৫০)

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

যাদের আমল মরুভূমির মরীচিকার মতো

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
যাদের আমল মরুভূমির মরীচিকার মতো

আয়াতের অর্থ : ‘যারা কুফরি করে তাদের কাজ মরুভূমির মরীচিকাসদৃশ, পিপাসার্ত যাকে পানি মনে করে, কিন্তু সে তার কাছে উপস্থিত হলে দেখবে তা কিছু নয় এবং সে পাবে সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর তিনি তার কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেবেন। আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর। অথবা তাদের কাজ গভীর সমুদ্রতলের অন্ধকারসদৃশ, যাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, যার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের ওপর স্তর...।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩৯-৪০)

আয়াতদ্বয়ে পরকালের ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের অসারতা তুলে ধরা হয়েছে।

শিক্ষা ও বিধান

১. উপদেশ প্রদানে কোরআনের রীতি হলো সুসংবাদ ও হুঁশিয়ারি পাশাপাশি নিয়ে আসা। যেন মানুষের ভেতর আশা বা ভয় কোনোটাই প্রবল না হয়।

২. পরকালের ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের প্রত্যাশা মিথ্যা ও মূল্যহীন। পরকালে তাদের কোনো প্রাপ্য নেই।

৩. অবিশ্বাসীদের ভালো কাজগুলো মরীচিকার মতো নিষ্ফল ও বিভ্রম মাত্র, যা দূর থেকে পানি মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে পানি নয়। (আত-তাহরির ওয়াত তানভির : ৩৯-৪০)

৪. তিন জিনিসের অভাবে মানুষের আমল নিষ্ফল হয় : ক. ঈমান, খ. ইখলাস বা নিষ্ঠা, গ. শরিয়তের অনুসরণ।

৫. ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘তরঙ্গ আচ্ছন্ন করে’ বাক্য দ্বারা অবিশ্বাসীদের অন্তর, চোখ ও কানের ওপর বিরাজমান পর্দা উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৮/১৩৪)

 

 

মন্তব্য

২৭ রমজানের রাতে মসজিদুল আকসায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
২৭ রমজানের রাতে মসজিদুল আকসায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে রমজানের ২৬ তম রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ নামাজে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন।

আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ জানায়, রমজান মাসে আল-আকসায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির রেকর্ড করা হয়েছে। জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি তারাবির নামাজে অংশ নেন।

 

লাইলাতুল কদর বা শবেকদর একটি মহিমান্বিত রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তবে রাতটি সুনির্দিষ্ট করা হয়নি; বরং রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের যেকোনো একদিন তা হতে পারে। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে হাজার রাতের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে।

তাই এই রাতে ইবাদতের জন্য মুসল্লিরা পবিত্র মসজিদুল আকসায় অবস্থান করেন। 

সূত্র : আরব নিউজ

মন্তব্য
হাদিসের কথা

রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব

রোজাদারকে ইফতার করানো সওয়াবের কাজ। এরমাধ্যমে রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করা যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, 

 عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْئًا ‏"‏ ‏‏

জায়েদ বিন খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তার জন্য রোজাদারের মতোই প্রতিদান রয়েছে। তবে এর ফলে রোজা পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।

মন্তব্য
প্রতিদিনের আমল

শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া

শত্রুরা মুমিনের ক্ষতি করার জন্য ওত পেতে থাকে। তাই সব ধরনের ক্ষতি বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা মুমিনের কর্তব্য। রাসুল (সা.) শত্রুর হামলার ভয় করলে একটি দোয়া পড়তেন। তা হলো-

 اللَّهُمَّ إنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম অনাউযু বিকা মিন শুরুরিহিম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে তাদের মোকাবেলায় রাখছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।

হাদিস আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন কোনো শত্রুদলকে ভয় করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন। আমিন।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ