<p>আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, জিয়া, ফারুক, রশিদ, খন্দকার মুশতাক এরা প্রকৃতপক্ষে কেউই চিন্তা-চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। না হয় মাত্র চার বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে তারা সরে এসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারত না। খন্দকার মুশতাক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীনও পাকিস্তানের সাথে হাত মেলাতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছর যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, সেই একই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে। জিয়া, এরশাদ- এরা একই ধারার এবং মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির রাজনীতি করেন। এ অপশক্তির মাধ্যমেই একই সাথে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অসহযোগিতা, ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ, ৭৫-এর হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের আগস্টে গ্রেনেড হামলা- সবই পরিচালিত হয়েছিল।</p> <p>আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপকে লজ্জাজনক ব্যাপার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি, দেশের অপশক্তি বলে টেক বেক বাংলাদেশ। তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এ অপশক্তি আইন, আদালত, সংবিধান কিছুই মানে না। তারা সরকারের পদত্যাগ চায় অথচ নির্বাচন মানে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আলোচনার জন্য তারা বিদেশিদের দাওয়াত দিয়ে দেশে নিয়ে আসছে। এটি আমাদের জন্য লজ্জার।</p> <p>পাহাড়ি অঞ্চলে নতুন করে জঙ্গিদের আনাগোনার জন্য তিনি বিএনপিকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার সাধুবাদ জানায়। তবে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ যদি আন্দোলনকে বেগবান করার মূল হাতিয়ার হয় তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং সাধারণ জনগণ অবশ্যই তাদের দমন করবে।</p> <p>অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউিশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ ফয়েজ আহম্মদ।</p>