<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানের আজ দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়েন। শুরু হয় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের যাত্রারও নতুন এক অধ্যায়। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকেই একের পর এক বিভিন্ন সংগঠনের দাবি-আন্দোলন প্রশমন, পুলিশ প্রশাসনকে কাজে ফেরানোসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এ সরকারকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা অনুসারে সম্ভাবনাময় যাত্রার মধ্যেও রাষ্ট্র সংস্কারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন,  জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমর্থন লাভ, আন্দেলনের সময় গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক নেতাদের কারামুক্ত করা, আরব আমিরাতে কারাবন্দি ৫৭ জনকে মুক্ত করে দেশে আনা, বহুল আলোচিত </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আয়নাঘর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> উন্মোচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যহার, অবাধ তথ্যপ্রবাহের নিশ্চয়তা, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রস্তুত, তাঁদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা  করা,  ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানো</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এসব উদ্যোগ নিতে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মব জাস্টিস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নিয়ন্ত্রণে আনা, বন্যাপরিস্থিতি মোকাবেলা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এসবও ছিল এ সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আজ স্বৈরশাসনের অবসানের দুই মাস পূর্তির দিনে রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দায়িত্ব গ্রহণের ১৬ দিন পর গত ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিপ্ল্লবী ছাত্র-জনতা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমার ওপর এক গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তাঁরা নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে চান। নতুন প্রজন্মের এই গভীর আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার সংগ্রামে আমি একজন সহযোদ্ধা হিসেবে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি আরো বলেন, আমরা সংস্কার চাই। আমাদের একান্ত অনুরোধ, আমাদের ওপর যে সংস্কারের গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, সে দায়িত্ব দিয়ে আপনারা দর্শকের গ্যালারিতে চলে যাবেন না।  আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা একসঙ্গে সংস্কার করব। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। আপনারা নিজ নিজ জগতে সংস্কার আনুন। একটা জাতির সংস্কার শুধু সরকারের সংস্কার হলে হয় না। আপনি ব্যবসায়ী হলে আপনার ব্যবসায় সংস্কার আনুন। ব্যবসায়ীগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ সমিতির মাধ্যমে সংস্কার আনুন। সমিতিতে সংস্কার আনুন। নতুন করে সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন করুন। আপনি শ্রমিক হলে আপনার ক্ষেত্রে আপনি সংস্কার করুন। আপনি রাজনৈতিক নেতাকর্মী হলে, আপনার ক্ষেত্রে সংস্কার করুন। আপনি প্রতিষ্ঠান প্রধান হলে, আপনার প্রতিষ্ঠানে সংস্কার আনুন। আমি এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। এই সংস্কারের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চাই। এই যাত্রা আমাদের পৃথিবীর একটি সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুক এটাই আমাদের কাম্য।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ড. ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া দ্বিতীয় ভাষণে ছয়টি সংস্কার কমিশনের ঘোষণা দেন এবং পরে আরো কয়েকটি সংস্থার কমিশন গঠন হবে বলে জানান। গত ৩ অক্টোবর জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। এগুলো হচ্ছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সংবিধান সস্কার কমিশনের ঘোষণা থাকলেও সে বিষয়ে এখনো প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া কবে নাগাদ দেশে নির্বাচন হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারের পক্ষে মূল্যায়ন</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন স্বৈরশাসনের  অবসানের পর আজ দুই মাস সম্পর্কে গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, এই দুই মাসে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে যেভাবে সাড়া মিলিছে, তা আগে কখনো হয়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সেগুলো ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। দুই মাস আগে স্বৈরশাসনের অবসান হলেও এর ভূত-পেত্নিরা এখনো বহাল। বর্তমান সরকারের কাছে বাধা সৃষ্টির জন্য, সরকারকে বিরক্ত করার জন্য তারা নানামুখী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীর সংখ্যা কম না। এরা অবৈধভাবে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছে। ওই সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামো যেভাবে ভাঙচূর করে রেখে গেছে, তার মেরামত করতে বর্তমান সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামাতে যে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে গেছেন, তা নজিরবিহীন। দীর্ঘ ১৬ বছরের অপশাসনে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা শুধু কুক্ষিগতই করেননি, সর্বোচ্চ পর্যায়ে অপব্যবহার করেছেন।  সমস্যা এত ব্যাপক, তা ভেতরে না গেলে বোঝা যায় না। বাজারব্যবস্থা নষ্ট হয়ে আছে। এগুলো পুনর্গঠন করতে হবে। যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে, সেসব কমিশনের কাজকে সফল করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। রাজনীতিবিদরাই দেশ শাসন করবেন। দেশে যাতে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসে তার জন্য রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রয়োজন দেশের সবার। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজনৈতিক নেতারা যা বলছেন </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বৈরাচার পতনের দুই মাস মূল্যায়নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিএনপির ১৭ বছরের আন্দোলনের ধারাবাহিকতার অংশ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। দেশ থেকে তাঁর পলায়নের মধ্য দিয়ে টানা সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে দেশের মানুষ। জনগণ এখন কার্যত স্বাধীনতার স্বাদ নিচ্ছে। এই অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের বাক্স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে যে নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়, সেটি সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমরা এখন আশা করছি, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স কালের কণ্ঠকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে কোনো দল বা গোষ্ঠী বিজয়ী হয়নি, অথচ দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্থানে দখলদারি, চাঁদাবাজির হাতবদল হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিতর্কিতদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতকদের পক্ষের আইনজীবীকে প্রধান কৌঁসলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারকে পাচারের টাকা ফেরত আনা, ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংখ্যালঘু, মাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনার ওপর আঘাত-ভাঙচুর ও </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মব জাস্টিস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">-এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সিপিবিসহ বাম গণতান্ত্রিক  জোট প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, দুঃশাসনের অবসান এবং ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে  তোলার ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু এই সরকার গঠনের পর গত মাসে ১২ ও ১৩ তারিখ একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও সেখানে আলোচনা ছিল ১৫ আগস্টের ছুটি নিয়ে। ওই সময় জানানো হয়েছিল, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু ওই বৈঠকের পর সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি। সরকারের কোনো রোডম্যাপও ঘোষণা করা হয়নি। জনজীবনে সীমাহীন সংকট মোকাবেলায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে জনমনে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সরকারের কোনো হিডেন এজেন্ডা আছে কি না, সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। তাই ছাত্র ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারকে আরো সতর্ক হতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><img alt="রাষ্ট্র সংস্কারের চ্যালেঞ্জেও সম্ভাবনার যাত্রা" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/05-10-2024/1_kaler-kantho--5-10-2024.jpg" width="1000" /></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিজয়োল্লাস। <strong>ছবি : ফাইল ফটো</strong></span></span></span></span></span></p>