<p style="text-align:justify">ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বামদলগুলো। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পৃথক বিবৃতিতে দলগুলো বলছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে অস্বীকার করা মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। তাই সরকারকে অবশ্যই ওই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে অস্বীকার করা মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। এটি অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। তারা বলেন, আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে অনেক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ও তাদের মতামত ছাড়াই গ্রহণ করা হচ্ছে। অনেকে মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কাজের পরিধি সুনির্দিষ্ট করে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান তারা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৮০৩ এসআই ও ৬৭ এএসপির নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729162813-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৮০৩ এসআই ও ৬৭ এএসপির নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/17/1436134" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তটি ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে সরে যাওয়া। সরকার এ ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে বলে আশাকরি। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষে কামরূল আহসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একাত্তরের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বক্তৃতা সেদিন পূর্ব পাকিস্তানের আপামর মানুষের মুক্তি সংগ্রামের জাতীয় আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির ঐতিহাসিক ঘোষণা হিসেবে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে ৭ মার্চ। এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে কলমের খোঁচায় বদলে দেওয়ার ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।</p> <p style="text-align:justify">অপর এক বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া জাতীয় দিবসসমূহের সাথে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অপরাপর জাতীয় দিবসের সাথে ৭ মার্চকে একাকার করে দেখা বিবেচনাপ্রসূত নয়। তাছাড়া ৭ মার্চে সরকারি কোনো ছুটিও ছিল না। এই সিদ্ধান্তে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে এবং সরকারকে অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাঙ্খিত বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দেবে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস বাতিলের দাবি বিএনপির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729156257-65eb6ae26f813553fc53838cb09d9789.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস বাতিলের দাবি বিএনপির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/17/1436103" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, পরিবারকেন্দ্রীক কয়েকটি দিবসের সাথে ৭ মার্চকে গুলিয়ে ফেলার অবকাশ নেই। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও তাদের গণহত্যার মতো অপরাধের সাথে মুক্তিযুদ্ধ ও ৭ মার্চকে সম্পর্কিত করে দেখারও কোনো সুযোগ নেই। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ায় দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিল, জনগণকে রাজনৈতিক দিশা দিয়েছিল।</p>