বিরাজনৈতিকীকরণের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না : সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিরাজনৈতিকীকরণের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না : সাকি
ছবি : ফেসবুক

রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সন্দেহ বা বিভাজন সৃষ্টি হলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

আজ শনিবার দুপুরে এক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার যৌথ উদ্যোগে এই গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাই, অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা-চৈতন্য তা ধারণ করার জন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন।

আগামী পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই আকাঙ্ক্ষা যাতে বাস্তবায়িত হয় তার জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এমন কোনো ধারণা যাতে তৈরি না হয়, এমন কোনো অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, যাতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হলে, বিভাজন সৃষ্টি হলে আমাদের এই অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।’

সাকি বলেন, ‘রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা, আস্থা ধরে রাখা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি।

বিরাজনৈতিকীকরণ, কাউকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার মতো ইতিহাস বাংলাদেশে আছে। বাংলাদেশের জনগণ অভ্যুত্থান করে এই সমস্ত ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির কবর রচনা করেছে। কাজেই এ দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে সমস্ত শক্তির মধ্যে এই জায়গা নিশ্চিত করতে হবে, এই আস্থা তৈরি করতে হবে যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে এবং সেটা সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাবে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাংলাদেশে আগামীর রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা হবে।

সে্‌ই জায়গা আমরা সবাই মিলে করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গণসংহতি আন্দোলন, আমাদের মঞ্চ গণতন্ত্র মঞ্চ। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ন্যূনতম ঐক্য তৈরি করতে চাই। যাতে করে এই রাজনৈতিক রূপান্তর জনগনের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানাই, নতুন করে গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।

নতুন গণতান্ত্রিক শক্তি যদি গড়ে না ওঠে এই নতুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সফল নাও হতে পারি। বাংলাদেশের সর্বত্র গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলুন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে সাকি বলেন, ‘আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন, একটা ভঙ্গুর রাষ্ট্র, পুনর্গঠন করার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা আপনাদের সংকট, নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা বুঝি। আমরা আপনাদের সমর্থন করি, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু দিনের পর দিন একই সমস্যা বহাল থাকলে জনগণ আর গ্রহণ করবে না। জুলাই বিপ্লবের আহতরা যদি রাস্তায় নেমে চিকিৎসা দাবি করে, সেটা আপনাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার হওয়া উচিত, বিব্রতকর হওয়া উচিত।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা অভ্যুত্থানের আহত সমস্ত যোদ্ধাদের অবিলম্বে চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। শহীদ পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে।’

সাকি বলেন, ‘মানুষ দ্রব্যমূল্যে নাকাল। এই ঊর্ধ্বগতি থামাতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নানা দিক থেকে অবনতি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার জবাবদিহিতা চাই। সরকারের দিক থেকে উদ্যোগ চাই যে, এ সমস্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থের ভিত্তিতে সমস্ত চুক্তি, সমস্ত সম্পর্কে যেন নবায়ন করা হয়।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেবেন তত তাড়াতাড়ি দেশ সংস্কার হবে : টুকু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেবেন তত তাড়াতাড়ি দেশ সংস্কার হবে : টুকু
ফাইল ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেবেন, তত তাড়াতাড়ি দেশ সংস্কার হবে। ২০২৪ সালের ভোটকেন্দ্রে মানুষ ছিল না, ছিল কুত্তা।’ 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

বাংলাদেশে সন্ত্রাস জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ, চাঁদাবাজির জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন। জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিন।’ 

এ সময় গালা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসগর আলী, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, শফিকুর রহমান শফিক, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হক ভিপি মুনীর,কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নির্বাহী সদস্য সৈয়দ শহিদুল ইসলাম টিটু, আবদুল্লাহ কাফী শাহেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র মমিনুল হক নিক্সন প্রমুখ।

মন্তব্য

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান এনসিপির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান এনসিপির

ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক দিন ধরে লক্ষ করছি, বিভিন্ন কল-কারখানায় বেতন-বোনাসের জন্য শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। শ্রম ভবনের সামনেও শ্রমিকরা অবস্থান করছেন।

তার মধ্যে স্টাইল ক্রাফটস লিমিটেডের শ্রমিকদের ১৪ মাসের মজুরি বকেয়া রয়েছে। আন্দোলনরত অবস্থায় স্ট্রোক করে স্টাইল ক্রাফটসের কর্মকর্তা রাম প্রসাদ সিং জনির মৃত্যু হয়েছে। একই স্থানে ৩ মাসের বকেয়া মজুরির দাবিতে অ্যাপারেলস ইকো প্লাস লিমিটেডের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন।

এ ছাড়া এক মাসের বকেয়া বেতন ও লে-অফ ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে ভালুকার রোর ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা অবস্থান করছেন।

শুধু পোশক শ্রমিক নয়; সিলেটের কালাগুল, বুরজান, ছড়াগানসহ চারটি চা-বাগানের শ্রমিকগণ ১৪ সপ্তাহ ধরে মজুরি এবং ৮ সপ্তাহ ধরে রেশন পাচ্ছেন না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এসব সমস্যা সমাধানে সরকারকে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে শ্রমিকের সমস্যার সুরাহা করতে হবে। শ্রমিকের জীবনের সংকটকে আড়াল করা যাবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন শ্রমিকরা।

ছাত্র-শ্রমিক-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়েছে। ফলে, সামনের বাংলাদেশ শ্রমজীবী জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করেই এগিয়ে যাবে।

ঈদের আগেই সকল শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার জোর দাবি জানিয়ে এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রম খাতকে সংস্কারের মাধ্যমে পুর্নগঠন করা এখন সময়ের চাহিদা। একইসাথে, ন্যায্য দাবিতে শ্রমিকের আন্দোলনে পুলিশি হামলার নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশকে ফ্যাসিস্ট আমলের পুলিশের ভূমিকায় আমরা দেখতে চাই না।

অনতিবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত সকল ন্যায্য দাবিদাওয়া পূরণের দাবি জানানো হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গণহত্যা চালানোয় শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে : সেলিমা রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গণহত্যা চালানোয় শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে : সেলিমা রহমান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য পিলখানায় হত্যাকাণ্ড করেছে। তেমন করে ছাত্রদের ওপরও গণহত্যা চালায়। সে জন্য বাংলাদেশের সব ছাত্র-জনতা রাজনৈতিক নেতাকর্মী রাজপথে নেমে আসে। এ জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার (শেখ হাসিনাকে) পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

তাই সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শুধু শ্রদ্ধা জানালেই হবে না। তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। এ জন্য আমাদের দেশের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ওয়েস্টন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক ভাবন ‘ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, দেশের ক্ষমতায় একের পর ফ্যাসিস্ট এসেছে যারা, জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে। আমরা এই ফ্যাসিস্টে শিকার হয়ে হয়েছিলাম।

৯০-এর গণ-আন্দোলন দেখেছেন, যেখানে এরশাদের পতন আমরা ঘটিয়েছিলাম। তারপরে গত ১৭ বছর যে ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল, সেই ১৭ বছর তারা এ দেশের জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করেছে।

আরো পড়ুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে যশোরে সেনাবাহিনীর ইফতার মাহফিল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে যশোরে সেনাবাহিনীর ইফতার মাহফিল

 

তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে ছিল বৈষম্য। সে জন্য আগস্টের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল। এখনকার তরুণরা চিন্তা ভাবনায় অনেক এগিয়ে।

তরুণদের চিন্তা আর প্রবীণদের অভিজ্ঞতা দিয়ে এই দেশকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্টে যে বিজয় অর্জন করেছি, তা কোনোভাবেই হারাতে দেওয়া যাবে না। ওই অর্জনকে বিপথগামী করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পাশের দেশে বসে পতিত সরকার চক্রান্ত করছে। বিগত ১৭ বছর আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেভাবে আমাদের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় ইফতার মাহিফলে আরও বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আমজনতার দলের আহবায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, বিডিপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, পিআরপি মহাসচিব রাজা রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার রক্তপিপাসু মন শান্ত হয়নি : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক,রংপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক,রংপুর
শেয়ার
শেখ হাসিনার রক্তপিপাসু মন শান্ত হয়নি : রিজভী
ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘হাজার হাজার শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবকের রক্ত নিয়েও এখনো তার (শেখ হাসিনার) রক্তপিপাসু মন শান্ত হয়নি। এখনো তিনি প্রতিহিংসা থেকে হত্যার নির্দেশনা দেন। যা একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।’

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার মধ্যে কোনো অনুশোচনা তৈরি হয়নি। তার মধ্যে এখনো হত্যার মানসিকতা ও প্রতিহিংসা রয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘এই শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে চিরকাল নিজের করে রাখার জন্য নির্বাচন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোট, এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন করেছেন, যা ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

রিজভী আরো বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এক লাখ লোক মারা যাবে, কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেশে এরকম কিছুই ঘটেনি। অথচ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।’

স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য খাতের সঠিক উন্নয়ন হলে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে, দেশের মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে যেতেন না। একই বই, একই পদ্ধতি বিশ্বের চিকিৎসকরা অনুসরণ করেন।

তারপরও দেশের মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। এটার পরিবর্তন একমাত্র দেশের চিকিৎসকগণ ঘটাতে পারেন।’

এ সময় তিনি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের চিকিৎসকদের ওপর আস্থা নষ্ট করেছে। দেশের মানুষকে ভারতমুখী করেছে। কিন্তু দেশেও যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, তার প্রমাণ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।

তাকে দেশের চিকিৎসকরাই সুস্থ করে তুলছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ভাইরাল ভিডিওতে শেখ হাসিনার যেসব বক্তব্য শোনা যায়, তাতে তার অত্যাচারী মনোভাবই প্রকাশ পায়। তাদের মধ্যে এখনো ক্ষমতার লোভ কাজ করছে।’

এ সময় ড্যাব রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মাহামুদুল হক সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, রংপুর জেলা ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. মো. খালেকুজ্জামান বাদল, সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. মো. দেলওয়ার হোসেন সরকার, ড্যাব রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ডা. আকমল হাবিব চৌধুরী, ড্যাব রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব শামসুজ্জামান সরকার, মহানগর ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায়, সদস্যসচিব ডা. শরিফুল ইসলাম ননতু, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম মন্ডল।

অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. জাবেদ আখতার, ডা. এবিএম মারুফ হাসান প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ