গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়েছে। কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। এ দেশের জনগণ সে সুযোগ দিবে না। আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়েছে। কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। এ দেশের জনগণ সে সুযোগ দিবে না। আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রংপুর জেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নূর বলেন, যে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, যারা এতগুলো মানুষকে হত্যা করেছে, রাজপথে রক্ত ঝরেছে, গুলি করেছে, বাংলাদেশকে বিদেশি তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অনৈতিক অধিকার নেই।
তিনি বলেন, পুরোনো পদ্ধতি জিয়ে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
নূর আরো বলেন, গণঅধিকার পরিষদ আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া একটি দল। কোনো রাজনৈতিক ছত্রছায়া বা সেনা কর্মকর্তার মদদে এ দলের সৃষ্টি হয়নি। তাই রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কারে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে গণঅধিকার পরিষদ।
তিনি বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিল জালিয়াতির নির্বাচন। ভোট ডাকাতির নির্বাচন। ২০০৮ সালেও ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাতানো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল।
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর উচিত ছিল গণহত্যায় জড়িতদের শহীদ মিনারে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলা। কারণ তারা ভয়ংকর রূপে ফেরার পাঁয়তারা করছে। ছাত্রদের উচিত ছিল, আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা, কিন্তু সবাই তা করছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত কয়েক বছর তরুণ, ছাত্র, যুব শ্রমিকরা যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল তার ফলেই কিন্তু ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই ঘোষণাপত্রে গত ১৫ বছরে বিরোধী মতের সবার ত্যাগকে লিপিবদ্ধ করতে হবে। শুধু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত কিংবা নিহতদের পরিবারকে নয়। গত ১৫ বছরে লড়াই করতে গিয়ে যারা আহত হয়েছে তাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে। যারা জীবন দিয়েছিল তাদের পরিবারকেও সহযোগিতা করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য মুখপাত্র হানিফ খান সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, রংপুর বিভাগীয় কার্যকরী সদস্য হাজী কামাল হোসাইন প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর
বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্রয়ে থেকে ড. ইউনূস সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাই আপনাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবে, কিন্তু আপনাদের কাছে অনুরোধ মনোবল হারাবেন না।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট, সাংবিধানিক অধিকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রজন্ম ’৭১ নামের সংগঠন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমরা আপনাদের (সরকারকে) সমর্থন দিচ্ছি এবং দিয়ে যাব। তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, আপনারা হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। জাতীয়তাবাদী শক্তি হেরে যাবে। আপনাদের আশপাশের কিছু লোক আপনাদের নিরাশ করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐক্য থাকতে হবে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। অবিচার যারা করেছেন, তারা নির্মমভাবে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ হচ্ছে তার উদাহরণ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ্ আল মিলনকে (২৭) বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত আব্দুল্লাহ আল মিলন আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার কলেজ রোডের মো. আরফিন মোল্যার ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। সেই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার সাথে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু বলেন, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আলফাডাঙ্গা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’
এর আগে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল্লাহ আল মিলন (২৬) ও তার দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা হয়।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি নগরীর টাউন হল চত্বর থেকে মিছিল বের হয়ে সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজার, গির্জা মহল্লা ঘুরে সদর রোডে এসে শেষ হয়। এর আগে টাউন হল চত্বর এলাকায় একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, বিমান বন্দর থানা আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, বরিশাল মহানগর শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘শতাব্দীকালব্যাপী ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এবারো রমজান মাসে কাপুরুষের মতো নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে ৪ শতাধিক নারী ও শিশু হত্যা করেছে। আমরা বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বিপ্লবী সরকার জাতিসংঘে প্রস্তাব তুলে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়াবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।
আজ বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
লন্ডনে এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরে হয় তো তিনি দেশে ফিরবেন। এক সাথে দুই জন অবশ্যই যাবেন না এটা আমি বিশ্বাস করি।