যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল-আমির খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল-আমির খসরু

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রর স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির এই দুই নেতা নিরাপদে পৌঁছেছেন।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।

জানা গেছে, ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধিত্ব করবেন ব্যারিস্টার জায়মা জারনাজ রহমান। আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্রেকফাস্ট প্রেয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এতে যোগ দিতে গত ১০ জানুয়ারি বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আমন্ত্রিতরা হলেন- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্রত্যেক বছরই আমেরিকায় ব্রেকফাস্ট প্রেয়ার হয়। এ অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বক্তব্য দেবেন।

উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস ও সিনেটের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের পর সেদিন ডিনার হবে। পরের দিন আবার ব্রেকফাস্ট হবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ইউএস কংগ্রেসনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট হবে।

যা প্রার্থনা এবং আন্তধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের একত্রিত করার একটি মঞ্চ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না : মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না : মুরাদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেছেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না। সংস্কারের নামে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ কোনো অবস্থায় কাম্য নয়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ধামরাইয়ের স্থানীয় মহিসাষী পূর্বপাড়া ইসলামীয়া মাদরাসা মাঠে সানোড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। 

ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ৬ মাসে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে বসে আছে। তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।

ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুরাদ বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

স্থানীয় নেতা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন, এম এ জলিল, খন্দকার আবু তাহের মুকুট, খলিলুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, যুবদল নেতা এবাদুল হক জাহিদ, মনিরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সুমন, ইসতিয়াক আহমেদ ফারুক প্রমুখ।

মন্তব্য

গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রশিবির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রশিবির
সংগৃহীত ছবি

গাজায় নতুন করে হামলা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬ হয়েছে। গাজায় নতুন করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে। এই ভয়াবহ গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিল, আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরাইল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

আমরা দখলদার ইসরায়েলের এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা ১৬ মাসের হত্যাযজ্ঞে ইসরায়েল ১৮ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ৪৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে শহীদ করেছে এবং ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে। এই গণহত্যা মানব ইতিহাসের সব নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে গেছে।

তারা আরো বলেন, ‘নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষক দাবি করা আমেরিকা শুরু থেকেই এই হত্যাযজ্ঞের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে আসছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে হামলার অনুমোদন দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে যে, তাদের কাছে মানবাধিকার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দেশের জন্য বরাদ্দ; সর্বজনীন মানবতার প্রতি তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। গাজায় নতুন করে চালানো হামলা ট্রাম্পের ১০ ফেব্রুয়ারির গাজাকে জাহান্নামে পরিণত করার’ হুমকিরই বাস্তবায়ন। আমরা তার এই উন্মাদনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

যৌথ বিবৃত্তিতে নেতারা আরো বলেন, মার্কিনিদের মদদে পরিচালিত এই গণহত্যা কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়? দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সরকারকেও এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

মন্তব্য

তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক : ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক : ইসলামী আন্দোলন

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে একগুচ্ছ মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে ভারতকে খুশি করার অপচেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তীতে রাজনৈতিক কিছু হানাহানি হলেও তাতে যে সাম্প্রদায়িক কোনো ইস্যু ছিল না তা সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত সত্য।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এসব কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, তুলসি গ্যাবার্ড সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার জ্ঞানের অপ্রতুলতার বহিঃপ্রকাশ করলেন।

দায়িত্বে নতুন হওয়ায় তথ্যের অভাবের কারণেও এটা হতে পারে, অথবা তার ভারতকে তুষ্ট করার প্রয়াসও হতে পারে। সভ্যতায় বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ইসলাম এই ভূখণ্ডে হাজার বছর ধরে মানুষের আনন্দ ও মুক্তির প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ইসলাম এখানে শান্তি ও সম্প্রতির উৎস।
পশ্চিমরা যে অর্থে ‘মৌলবাদ’-কে সংজ্ঞায়িত করে সেই অর্থে মৌলবাদ বাংলা অঞ্চলে কোনো কালেই ছিল না। ফলে মিস গ্যাবার্ড যা বলেছেন, তা ইতিহাস সম্পর্কে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। সমস্যা তৈরি হয় যখন কেউ বাংলাদেশের ওপরে প্রভুত্ব করতে চায় তখন।

কারণ আমাদের রক্তে অন্যের প্রভুত্ব করার বিষয়টা নেই। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান অবনতির কারণ ভারতের শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। এখানে আমাদের তরফে কিছু করার নেই।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সাম্প্রতিক গাজায় যে অপরাধ করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে তার দায় ইতিহাসের কাছে শোধ করতে হবে।

তার পরও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক চাই। তবে অবশ্যই তা হতে হবে সত্য, সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে।’

মন্তব্য

দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টার’ পদত্যাগ দাবি গণ অধিকার পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টার’ পদত্যাগ দাবি গণ অধিকার পরিষদের
ছবি : কালের কণ্ঠ

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টা’ মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণ অধিকার পরিষদ। তারা পদত্যাগ না করলে গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন দলটির নেতারা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

আরো পড়ুন
মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গুরুতর : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একতরফাভাবে সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু সরকার সবার সঙ্গে ইনসাফ না করে বরং গণ-অভ্যুত্থানের একটি গোষ্ঠী বা পক্ষের সরকার হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছে। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩ জন ছাত্র উপদেষ্টা ছিলেন, তাদের একজন পদত্যাগ করে একটি দলের প্রধান হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে বাকিরাও সরকারে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেনে।
আর দল গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কি পদত্যাগকৃত উপদেষ্টা সম্পৃক্ত ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন। আর ৩ জন ছাত্র উপদেষ্টার একই নেক্সাস। সুতরাং আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বাকি ২ জন ছাত্র উপদেষ্টারও পদত্যাগ দাবি করছি।
এ ছাড়া ছাত্ররা যেহেতু দল গঠন করেছে। এ ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়কের কোনো অস্তিত্ব বিদ্যমান নেই বলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে সরকারের সবে সেক্টর ও দপ্তর থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা অতীব জরুরি।’

আরো পড়ুন
আইনজীবী হতে চান আঁখি আলমগীর!

আইনজীবী হতে চান আঁখি আলমগীর!

 

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসায় আউটসোর্সিং নিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে। এটা স্থায়ী নিয়োগের প্রাথমিক ধাপ।

২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যম প্রকাশিত হয়, প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ আউটসোর্সিং কর্মী ঢাকা ওয়াসায় বিভিন্ন বিভাগ ও পদে কর্মরত আছেন। ওয়াসা তাদের চাকরির সুরক্ষায় বয়স শিথিল করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে।
এ ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ হলেও পরবর্তীতে স্থায়ী করার সুযোগ আছে। সুতরাং এই নিয়োগ অনৈতিক নিয়োগ। এই নিয়োগের তদন্তসহ সরকারের সকল দপ্তরে নিয়োগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি করছি।’

রাশেদ খান বলেন,‘ আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার আগে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন জরুরি। যেহেতু এই উপদেষ্টা পরিষদে বিতর্কিত ব্যক্তিরা রয়েছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া জরুরি। গণ অধিকার পরিষদ গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও রোডম্যাপ দাবি করছে। আমরা মনে করি, প্রধান উপদেষ্টার গতকালের বক্তব্য অনুযায়ী ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি। এ জন্য দরকার জাতীয় ঐকমত্য। কিন্তু উপদেষ্টাদের বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ বলে দিল্লিতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। আমরা এই বক্তব্যোর তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে কোনো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নেই, সংখ্যালঘুদের ওপরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং ইতোপূর্বে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ