শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের পরিবর্তে নতুন সংঘ গঠিত হতে পারে : বুলবুল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের পরিবর্তে নতুন সংঘ গঠিত হতে পারে : বুলবুল

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের পরিবর্তে নতুন সংঘ গঠিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জাতিসংঘের নীরব ভূমিকায় মুসলিম উম্মাহ ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। মুসলমানদের হত্যা করা হলে কোনো মানবাধিকার থাকে না! বিশ্ব মোড়লরা মুসলমানদের মানুষই মনে করেন না।

তাদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ গর্জে উঠলে কেউ রক্ষা পাবে না।’

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ

 

ইসরায়েলকে ছিন্নভিন্ন করতে না পারা ইসলামী রাষ্ট্র নেতাদের ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০ কোটি মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বে যারা রয়েছেন ইহুদিদের প্রতি তাদের আনুগত্যশীলতা প্রকাশ পাচ্ছে। ইহুদিদের প্রতি নতজানু নীতি পরিহার করে ইসলামী আদর্শে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান এবং ওআইসির প্রতি আহ্বান জানাই।’ 

৯৮৭৬৫

তিনি আরো বলেন, মানবতাবিরোধী নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া।

নেতানিয়াহুর নির্দেশে ফিলিস্তিনের অগণিত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা সত্ত্বেও জাতিসংঘ চুপ করে বসে রয়েছে। অনতিবিলম্বে জাতিসংঘ কর্তৃক ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। 

ফিলিস্তিনের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শুধু পতাকা উত্তোলন নয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে কঠোর জবাব দিতে হবে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী। তিনি বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধা এবং আস্থার এক মহান প্রতীক।

তাই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে উদ্যোগ গ্রহন করার আহ্বান জানাই।’ 

তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ না করলে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েলের নাম মুছে দিতে হবে। এ জন্য ২০০ কোটি মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘বোমার আঘাতে মানুষের দেহ যখন ছিন্নভিন্ন হয়ে বাতাসে উড়ে জমিনে পড়ে সেই দৃশ্য কোন মানবতার অংশ? ধর্মের ভিত্তিতে বিশ্ববাসীকে মূল্যায়ন না করে, মানুষ হিসেবে বিশ্বের সব মানুষকে সমানভাবে মূল্যায়ন করতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।’

সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, ইহুদি গোষ্ঠী আশ্রয়ের জন্য আরব ভূখণ্ডে এসেছে।

মুসলিমরা দয়া দেখিয়ে তাদের আশ্রয় দেওয়ার পর তারা ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠন করে। ফিলিস্তিন দখল করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমেরিকার মদদে ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান। 

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহ যখন ঈদুল ফিতরের উৎসবে, ঠিক সেই সময় সন্ত্রাসী ইসরায়েল গোষ্ঠী ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকজনের ওপর এমনভাবে হামলা চালিয়েছে যে লোকজনের লাশ পাখির মতো আকাশে উড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে জমিনে পড়েছে। এমন নিকৃষ্টতম ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’ তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লংমার্চ করার প্রস্তুতি নিতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান। 

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েল সন্ত্রাসী কায়দায় ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের রাফা শহর নিঃশেষ করার প্রতিবাদে মুসলিম উম্মাহর উচিত ইসরায়েলকে নিঃশেষ করে দেওয়া। ইসরায়েলের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে পারলে ইসরায়েল দুর্বল ও নিঃশেষ হয়ে যাবে। এ জন্য তিনি ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানান। 

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকজনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত ৬১ হাজার বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করেছে। তিনি পণ্য বয়কট করার মাধ্যমে সন্ত্রাসী ইসরায়েল গোষ্ঠীকে দুর্বল করতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাস রক্ষা করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। জাতিসংঘের নীরব ভূমিকা মুসলমানদের ব্যথিত করছে। 

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি শামছুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, ডা. আতিয়ার রহমান, আবদুস সালাম, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, ড. মোবারক হোসেন, কামরুল আহসান হাসান, শাহীন আহমদ খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন সহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে শেষে জননেতা মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সহ হাজার-হাজার তৌহিদি জনতা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে কর্মসূচি সম্পন্ন করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার তাঁর স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান।

এদিন সন্ধ্যা ৭ টায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনের স্মৃতিচারণ করা হয়।

কর্মজীবনে ডা. জাফরুল্লাহ অবদান নিয়ে আলোচনা করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন
‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’

‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’

 

দোয়া মাহফিলে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন গরীবের ডাক্তার। বিগত আওয়ামী সরকার তাকে বারবার অসম্মানিত করেছে, মিথ্যা মামলা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু আফসোস, তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা দেওয়া হলো না, কোনো দোয়া মাহফিলের আয়োজন হলো না।

তিনি বলেন, ‘আমরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’

দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান অপরিসীম। ২০১৮ সালের ভোট চুরির নির্বাচনের পর যখন কেউ কথা বলার সাহস পেতো না তখন ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলতেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ হতাশা নিয়ে বলতে হচ্ছে, তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়ভাবে কিছুই করতে দেখা যায়নি।

দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় মানুষের পক্ষে ছিলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। এমনকি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি রাজপথেও শামিল হয়েছিলেন। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কোনো আয়োজন করেনি, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।’

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- দলের কেন্দ্রীয় নেতা জিলু খান, আনিসুর রহমান মুন্না, আশরাফুল হাসান তপু, শাহজাহান চৌধুরী, মনির মওলা, আলাউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা সানাউল্লাহ প্রমুখ।

মন্তব্য

ড. ইউনূসে লাভ কী, সারজিসেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত : দুদু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসে লাভ কী, সারজিসেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত : দুদু
শামসুজ্জামান দুদু। ফাইল ছবি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘এতবড় গণ-অভ্যুত্থান আমরা সংঘটিত করেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা এক সাগর রক্ত দিয়েছে। সেটিকে রক্ষা করতে হবে, দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এখন জরুরি কাজগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।

সরকারের ৫ বছর থাকা নিয়ে সঞ্চালক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টানলে দুদু বলেন, ‘এই সরকারের ৫ বছর, ১০ বছর থাকার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ঠিক না। এতে বিপদ হতে পারে আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারই (সারজিস আলম) প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত; ড. ইউনূস এলে লাভ কী, সে যখন বুঝতে পেরেছে।

সবকিছু নিয়ে ছেলেমানুষি করা ঠিক হবে না। নির্বাচন করলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি মনে করেন, ৫ বছর কেন মানুষ ভোট দিলে ১০ বছর থাকবেন।’

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ৫ বছর তাকে কীভাবে রাখব? ভোট করার মতো অবস্থা নেই, কম সংস্কার, বেশি সংস্কার; এই বিষয়গুলো আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। নব্বই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটা সাংবিধানিক সরকারই ছিল, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।

এটাও সাংবিধানিক সরকার। দুটো ৯০ দিন চলে গেল। অর্থাৎ, একটি বিদায়ী সরকারের ৯০ দিনের মধ্যে আরেকটা নির্বাচিত সরকার আসার কথা। সেটি নেই। এদের মাথায় এগুলো কাজ করছে না।

তিনি বলেন, ‘সারজিস আলম একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল। ভারত কী চায় এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বড় ঘটনা না। তারা কী জিনিস তা আমরা ৫২ বছরে বুঝেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষকে ক্ষমতায়ন করা। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এতে কার্পণ্য করলে বাংলাদেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে নিয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে পরিবর্তন দরকার, সেটা করে নির্বাচন দিতে হবে। ৮ মাসে রোডম্যাপও পাওয়া গেল না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি-নির্বাচন অনেক পরের ব্যাপার, তারা যে নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে তারা বের হলেই মানুষ ধরবে।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এই দেশে মুসলিম লীগ পাকিস্তান সৃষ্টি করেছিল ও বড় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু প্রথম নির্বাচনের পরেই তারা ধুয়েমুছে গিয়েছিল। ১৯৫৪ এর নির্বাচনে আমরা দেখেছি। আওয়ামী লীগ তো একবার শেখ মুজিবের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এবার শেখ হাসিনা বাকিটুকু শেষ করেছে।’

মন্তব্য

‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’

সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কুমিল্লা-১০ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, আগামী দিনের রাজনীতি হবে সুস্থ ধারার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, দখলদারি, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত রাজনীতি। মাত্র ৫ বছরের জন্য আমরা ম্যান্ডেট চাই। কথা দিচ্ছি দুর্নীতিমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত রাষ্ট্র উপহার দেব, ইনশাআল্লাহ। 

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আটিটি বাজারে জামায়াতের ইউনিয়ন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আরো পড়ুন
জমি দখল করে বিএনপি কার্যালয় নির্মাণচেষ্টার অভিযোগ

জমি দখল করে বিএনপি কার্যালয় নির্মাণচেষ্টার অভিযোগ

 

তিনি বললেন, আমরা দেখেছি যখন বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও জামায়াতে ইসলামীর ২ জন মন্ত্রীর ৩ টি মন্ত্রণালয়ে ১ টাকার দুর্নীতিও কেউ বের করতে পারেনি। আস্থা রাখতে চাই, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রণালয় যদি জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া হয় ১ টাকার দুর্নীতিও জামায়াতে ইসলামী করবে না। 

পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. হায়াতুন্নবীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন- কুমিল্লা-৯ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরওয়ার মজুমদার কামাল, লালমাই উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুন নূর, সেক্রেটারি মাওলানা মু. ইমাম হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল ইসলাম, মু. কামাল হোসেন, কবি ফারুক আহমেদ, মেসবাহুল ইসলাম, বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা নঈম উদ্দিন সিদ্দিকী, পেরুল উত্তরের আমির ডা. জাহাঙ্গীর আলম, বাগমারা ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শিল্পী জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন

গোপনে ঢাকায় জমায়েতের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গোপনে ঢাকায় জমায়েতের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ
সংগৃহীত ছবি

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফেরানোর দাবিতে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সমবেত হতে বলা হয়েছে। এই তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের সব থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের একটি গোপন রিপোর্টে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

গোয়েন্দাদের ধারণা, পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে অস্থিরতা তৈরি কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে গেছে।

আরো পড়ুন
সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতো ফরহাদের স্ত্রী-ভগ্নিপতি-ভাই

সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতো ফরহাদের স্ত্রী-ভগ্নিপতি-ভাই

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামে সহিংসতা, দখল, সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। একদিকে রাজনৈতিক শূন্যতা, অন্যদিকে পুলিশের দুর্বল মনোবলের সুযোগে এসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিএসবি) থেকে সব থানায় একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে অস্থির পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের জন্য ৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে— সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, যাদের নামে মামলা আছে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো, নৌঘাট, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে নজরদারি বাড়ানো, বিএনপি ও জামায়াতপন্থি স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করে উসকানিদাতাদের শনাক্তকরণ, অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, ভাড়ায় চালিত গাড়ি ও স্ট্যান্ডগুলোর ওপর নজর রাখা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম বলেন, ‘নগরীতে পুট ও নাইট পেট্রোল, নতুন নতুন চেকপোস্ট, এবং মিনি টিম গঠন করে কাজ করা হচ্ছে। যেসব এলাকা অস্থিরতার ঝুঁকিতে আছে, সেখানে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জুনায়েত কাউছার বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো চিঠির বিষয়ে নিশ্চিত নই, তবে হুমকি বা গুজব পেলে আমরা নিয়মমাফিক প্রস্তুতি নিই, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে। পুলিশ সবসময় সচেতন ও সতর্ক রয়েছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ