ঈদ মানেই নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে নতুন টুপি আর সুগন্ধি বা আতর। আর ঈদগাহে যেতে নতুন জায়নামাজের যেন বিকল্প নেই। তবে গেল বছরের মতো এ বছরেও যেন এসব পণ্যে মানুষের আগ্রহ কমেছে। তার অন্যতম কারণ মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাত।
ঈদ মানেই নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে নতুন টুপি আর সুগন্ধি বা আতর। আর ঈদগাহে যেতে নতুন জায়নামাজের যেন বিকল্প নেই। তবে গেল বছরের মতো এ বছরেও যেন এসব পণ্যে মানুষের আগ্রহ কমেছে। তার অন্যতম কারণ মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে গত বছর আতর, সুরমা ও টুপি ব্যবসায় লাভের চেহারা দেখেননি। গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে এ বছর ব্যবসা সচ্ছল করার আশায় দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু ব্যবসা নেই বললেই চলে।
আতর, সুরমা, টুপি ও জায়নামাজ বিক্রিতে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার বায়তুল মোকাররম মার্কেট। এখান থেকেই সারা দেশে চলে যায় এসব পণ্য।
বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণ মার্কেটের অংশে রয়েছে সবচেয়ে বেশি আতর, টুপি আর সুরমার দোকান। এখানে এ জাতীয় দোকানের সংখ্যা ২১৬টি। কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ীর মুখে হতাশার চিত্র। মূলত ঈদের সপ্তাহে বেশি ব্যস্ত থাকার কথা এখানকার ব্যবসায়ীদের। কিন্তু সেই ব্যস্ততা নেই। গত বছর করোনা মহামারিতে বন্ধ ছিল এই মার্কেট, এবার সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য থাকলেও দোকান খুলে হতাশ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গেল বছর আমরা ব্যবসা করতে পারিনি। এ বছরও দোকান খুলে বসে থাকতে হচ্ছে। বেচাকেনা অর্ধেকও নেই। আগে এই সময় দোকানে আমরা তিনজন ডিউটি করতাম। এখন একজন ডিউটি করি তাও বসে থাকতে হচ্ছে।’
যোহরা আতর হাউসের এক কর্মচারী মোমিন বলেন, ‘আগে সবার মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ থাকত আতর কেনার। কারণ ঈদগাহে যেতে হবে আতর দিতে হবে আর এ বছর সেই আগ্রহ নেই।’ আরেক ব্যবসায়ী শহিদুল আলম বলেন, ‘এই সময় এই মার্কেটে আমরা কথা বলার সময় পেতাম না, ক্রেতায় ভরপুর থাকত, এখন বসে থাকতে হচ্ছে।’
এই মার্কেটের সামনে ফুটপাতে টুপির ব্যবসা করেন হাবিবুল ইসলাম। জানান, ঈদকে সামনে রেখে দোকানে যা মাল তুলেছেন তার অর্ধেক অবিক্রীত। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বেচাকেনা ভালো নাই দেহি কাইল পরশু কী হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই করপোরেট করহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে সংকটের মধ্যে থাকা পোশাক খাতের রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট করহার ১২ শতাংশ। সবুজ কারখানার জন্য এই হার ১০ শতাংশ।
বিস্তারিত ভিডিওতে...
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমরা বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করেছি। কারণ আমরা সিস্টেমেটিক্যালি এ ধরনের সমস্যা আগে ফেস করিনি। করলেও এ ধরনের প্রচেষ্টা আগে নেওয়া হয়নি। এই প্রথম আমরা এই উদ্যোগ নিচ্ছি।
আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আর দেশের কয়েকটি পরিবার ও গোষ্ঠী দেশের বিপুল টাকা পাচার করেছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া।
আজ শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যংকিং ইস্যু’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
অর্থ পাচারের বিষয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, হয়ে গেছে যা, তা হয়ে গেছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন কোনো কিছু যেন না হয়, তা আমরা ঠিক করতে আসছি।
প্রথম ধাপে পাচার হওয়া সম্পদকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আমরা অ্যাসেটগুলোকে ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্সের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে কথা বলেছি এবং খুব শিগগিরই তাদের হায়ার (নিয়োগ) করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন ল ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যারা অ্যাসেট ট্রেসিংয়ের কাজ করে (মানে কার সম্পদ কোথায় আছে, সেটা খুঁজে বের করা)।
এই কাজের জন্য বিদেশি অ্যাসেট ট্রেসিং ফার্মগুলোর সহায়তা নেওয়া হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, তাদের সহায়তায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কম্পানি বা সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য শনাক্ত করতে হবে। আমরা এখনই কিছু সহযোগিতা পাচ্ছি, তবে কাজটা মোটেও সহজ নয়। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য আগামী ৬ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের অ্যাসেট ফ্রিজ করা। এটাকে আমরা ইনিশিয়াল অ্যাচিভমেন্ট হিসেবে দেখছি। একবার ফ্রিজ হলে এরপর বিষয়টি কোর্টে যাবে, সেখানে মামলা মোকদ্দমা হবে। এরপরই সেই অ্যাসেট ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
দেশে আগে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে দেখানো হত জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হত। কিন্তু প্রকৃতভাবে দেখা গেছে ১৩-১৪ শতাংশ। গত মাসে সেটি দেখা গেছে ৮-৯ শতাংশে আছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি স্বস্তির দিকেই আছে। আগামী বছর সেটিকে ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনতে পারব।
কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, সব মিলিয়ে আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে বড় শিল্পগ্রুপ ও তাঁর পরিবারও আছে। বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপ। ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না।
আদালতের মাধ্যমে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টাকা ফেরানোর চেষ্টা জানিয়ে তিনি বলেন, সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়শনে গেলে সব তথ্য নিয়েই যাওয়া লাগবে। না হলে তো আমরা ঠকে যাব।
অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকে কি জড়িত আছে এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে চাকরিচ্যুত করার পক্ষে আমি নই। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুদক বা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা যদি তথ্য প্রমাণ দেয় যে কেউ জড়িত আছে আমরা ব্যবস্থা নেব। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে এখন আর কোনো ঘাটতি নেই। বিশাল ঘাটতি ছিল, সেটা আমরা মিটিয়ে এনেছি। আমাদের রিজার্ভও এখন স্থিতিশীল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিভিন্ন রকমের গোলযোগ, আন্দোলন ইত্যাদি সত্ত্বেও রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত আট-নয় মাসের তথ্য বলছে, এখনো রপ্তানি ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন ও বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামন, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, বিএফআইইউ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে আকস্মিক ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করলেও এমনটি মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা।
তবে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে গত ১৫ মাসে ভারতীয় রুট ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে ৪৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে রপ্তানির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৯০০ টনের বেশি।
ভারত সরকার ২০২০ সালের ২৯ জুন তাদের স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছিল। পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল ব্লাউজ, ট্রাউজার, টি-শার্ট, শিশুদের পোশাক ইত্যাদি। প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্স, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বিজিএমইএ তথ্য অনুযায়ী, মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি গত ১৫ মাসে ভারতের মাধ্যমে মোট ৩৬টি ট্রান্সশিপমেন্ট হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত বলছে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে তাদের ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে পণ্য রপ্তানির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ সম্ভবত ৩৪টি দেশেই ভারতের মাধ্যমে শিপমেন্টে আমাদের সমস্যা হবে।
ইতালির ফ্যাশন পাওয়ারহাউস ‘প্রাদা’ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে তারা মার্কিনভিত্তিক ক্যাপরি হোল্ডিংস থেকে তাদের জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ভার্সাচি’-কে ১.৩৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ৭১০ কোটি টাকা) মূল্যে অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে — যা ফ্যাশন দুনিয়ার ভারসাম্যে বড় রদবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রাদা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাক্সারি প্রতিষ্ঠান ক্যাপরি হোল্ডিংসের কাছ থেকে ভার্সাচিকে তারা অধিগ্রহণ করছে। যার মাধ্যমে এক ছাদের নিচে আসছে ইতালির দুটি প্রভাবশালী ফ্যাশন ব্র্যান্ড।
এর আগে ২০১৮ সালে ক্যাপরি হোল্ডিংস প্রায় ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে ভার্সাচিকে কিনেছিল।
এই চুক্তি ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে তৈরি হবে একটি ইতালিয়ান বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের জায়ান্ট, যার বার্ষিক রাজস্ব ৬ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি — যা এলভিএমএইচ ও কেরিংয়ের মতো ফরাসি জায়ান্টদের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
প্রাদার নির্বাহী পরিচালক ও দীর্ঘদিনের পথপ্রদর্শক পাত্রিজিও বার্তেল্লি বলেন, আমরা ভার্সাচিকে প্রাদা গ্রুপে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আমরা সৃজনশীলতা, কারুশিল্প ও ঐতিহ্যের প্রতি একসঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই চুক্তিটি ডিসকাউন্টে হয়েছে। ২০১৮ সালে ক্যাপরি হোল্ডিংস ভার্সাচিকে ১.৮৩ বিলিয়ন ইউরোতে কিনেছিল, কিন্তু দুর্বল বিক্রয় ও ট্রাম্প যুগের ট্যারিফের কারণে তাদের কম মূল্যের (১.২৫ বিলিয়ন ইউরো) প্রস্তাবে সম্মত হতে হয়েছে।
এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে, ডোনাটেলা ভার্সাচি — যিনি ১৯৯৭ সালে ভাই জিয়ানি ভার্সাচি-এর হত্যাকাণ্ডের পর হাউসের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন — ১ এপ্রিল সৃজনশীল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি এখন ব্র্যান্ডের প্রধান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে থাকবেন।
তার পরিবর্তে আসছেন ডারিও ভিটালে, যিনি প্রাদার তরুণ, সাহসী সাব-ব্র্যান্ড মিউ মিউ-এর উত্থানের পেছনে মুখ্য শক্তি — যা ইঙ্গিত করছে যে ভার্সাচি সম্ভবত ঝাঁ-চকচকে গ্ল্যামার থেকে জেন-জেড ঘরানার দিকে মোড় নিতে পারে।
যদিও প্রাদা বলেছে, তারা ভার্সাচির মূল পরিচয় মুছে ফেলবে না, বরং নিজেদের শিল্পদক্ষতা ও পরিচালন দক্ষতা দিয়ে সেটিকে সমৃদ্ধ করবে। তবে বিশ্লেষকরা এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
বার্নস্টেইনের বিলাসবহুল পণ্যের বিশ্লেষক লুকা সোলকা বলেন, এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ চাল। প্রাদা তার মূল ব্যবসা থেকে বিচ্যুৎ হয়ে পড়তে পারে, যেমনটা আগের জিল স্যান্ডার ও হেলমুট ল্যাংয়ের ক্ষেত্রে হয়েছে।
২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ভার্সাচির রাজস্ব ১৫ শতাংশ কমে ১৯৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যেখানে প্রাদা তাদের ২০২৪ সালের আয়ে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখিয়েছে যেখানে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৩৯ মিলিয়ন ইউরোতে, আর রাজস্ব বেড়ে হয়েছে ৫.৪ বিলিয়ন ইউরো।
প্রাদার সিইও আন্দ্রেয়া গুয়েরা বলেন, এটি হবে একটি দীর্ঘ যাত্রা এবং এর জন্য সুশৃঙ্খল বাস্তবায়ন প্রয়োজন হবে। ভার্সাচির অপার সম্ভাবনা আছে, তবে পরিবর্তনে সময় প্রয়োজন হবে।
তবে এটি ফ্রান্সের ওপর পাল্টা চাল। এই অধিগ্রহণ শুধু একটি আর্থিক পদক্ষেপ নয় — এটি একটি উদ্দেশ্যের ঘোষণা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফরাসি ব্র্যান্ডগুলো ইতালির সবচেয়ে খ্যাতিমান ব্র্যান্ডগুলো অধিগ্রহণ করেছে যেমন— গুচি, ফেন্ডি, বোতেগা ভেনেতা। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রাদা পাল্টা চাল চালল। তবে কৌশলটি সফল হবে কি না তা এখনো দেখা বাকি।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া