<p>কমে গেছে অর্থনীতি অগ্রযাত্রার অন্যতম নির্ভরশীল সূচক রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যঃসমাপ্ত জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার।</p> <p>বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই শেষে দেশের গ্রস রিজার্ভ গিয়ে ২৫.৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আইএমএফর হিসাবে সেই রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২০.৪৮ বিলিয়ন।</p> <p>খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় এবং ঈদুল আজহা কারণে চলতি বছরের জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এক মাস না যেতে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। এর কারণ দেশজুড়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি। আগামী মাসে আরো কমতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/01/1722513903-da9ca8088150e71ab2dc1ab576cb6d9d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/08/01/1410826" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের রেমিট্যান্সের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু  বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা প্রকাশ করেনি। বিকেলে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হকের কাছে রেমিট্যান্সের তথ্য জানতে চাইলে বলা হয় এখনো প্রতিবেদন কমপ্লিট হয়নি। কাজ চলছে, কমপ্লিট হলে জানানো হবে। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রতিবেদন প্রকাশ না করে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু জুলাই মাসে কত ডলার এসেছে তা হোয়াসঅ্যাপে দেন।</p> <p>মুখপাত্র জানান, জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাস আয় দেশে এসেছে। আগের বছর জুলাই মাসে যা ছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।</p> <p>কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস (২০২৩ সালের) জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে আছে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।</p> <p>কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গেজেটে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/01/1722515920-3515677305470cf338711821a36cddad.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গেজেটে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/08/01/1410831" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে আট কোটি ডলার। কিন্তু গত জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। জুলাই মাসের প্রথম ভাগে এক দিনে যে পরিমাণ প্রবাস আয় এসেছিল, সর্বশেষ গত ছয় দিনে এসেছে তার সমপরিমাণ।</p> <p>এদিকে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার খবরে খোলাবাজারে মা‌র্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। বুববার (৩১ জুলাই) মানি চেঞ্জার গুলোর সংগঠন ‘মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ থেকে বলা হয় খুচরা প্রতি ডলারের মূল্য সর্বোচ্চ ১১৯ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। তবে মানি চেঞ্জারদের এ নির্দেশনা মানেনি কেউ। দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে এক ডলার কিনতে গ্রাহককে গুনতে হয়েছে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা।</p>