<p>দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় (নবসৃষ্ট পদ) গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে আবেদন করা প্রক্রিয়াধীন নিয়োগ পরীক্ষা আগের নিয়মে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ।</p> <p>আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।</p> <p>ওই অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান চাকরিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ-এর সভাপতি ও অবস্থান কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক খান সাইফুল ইসলাম, সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম, সমন্বয়ক ওলিউর রহমান, সমন্বয়ক আশিকুর রহমান, সমন্বয়ক মাওলানা ইসমাইল হোসেনসহ আরো অনেকে।</p> <p>প্রধান সমন্বয়ক খান সাইফুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) আলোকে (নবসৃষ্ট পদ) দৈনিক পত্রিকায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমরা সরকারি নিয়মনীতি ও মাদরাসার সব শর্ত পূরণ করে চাকরির জন্য আবেদন করি। </p> <p>খান সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ভাগ্যবশত এ নিয়োগ পরীক্ষা ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দীর্ঘ ছয় মাস পর্যন্ত কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবের মৌখিক নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়। পরে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই ওই পদ দুটি পরিবর্তন করে শিক্ষক পদমর্যাদা দিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। তাতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) এই দুটি পদে পরীক্ষার সনদ ও নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। </p> <p>প্রধান সমন্বয়ক আরো বলেন, আমরা সরকারের এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে অতীতের বিভিন্ন সময় এরকম অফিস আদেশ/পরিপত্রের একাংশে আগে আবেদন করা চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রক্রিয়াধীন থাকা নিয়োগ কার্যক্রম আগের নিয়মে সম্পন্ন করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। (১১ নভেম্বর ২০১৫ সালের অফিস আদেশ তার প্রমাণ) অথচ ২০২১ সালের ১৮ জুলাই প্রকাশিত অফিসে আদেশে তা বলা হয়নি। তাই সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত বন্ধ থাকা নিয়োগ পরীক্ষা আগের নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন করার দাবিতে আজ থেকে লাগাতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। </p> <p>তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে গত ১০ বছর যাবত নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় ২০২১ সালের ৩১ মে এক অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে পদ দুটিকে শিক্ষক পদমর্যাদা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। ফলে যারা সারা দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় (নবসৃষ্ট পদ) গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিল সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের অনেকের চাকরির নির্ধারিত বয়স প্রায় শেষের দিকে। এমতাবস্থায় মাদরাসায় আবেদন করা চাকরিপ্রত্যাশীরা চরমভাবে বৈষম্য ও ক্ষতির শিকার হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাসহ প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।<br />  </p>