ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাসও বর্জন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপি জমা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের এএফ মুজিবুর রহমান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে লালের মোড় গিয়ে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ‘ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’ ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের জন্য সকল বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ দেওয়া এবং ডিপ্লোমাধারীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ মাহিম, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাফিজুল রোহান ও ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৩য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী লামীম ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে অবৈধ রিটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং আন্দোলন চলমান থাকবে।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আক্কাস আলী শেখ জানান, শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
যা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্যাম্পাসের বাইরে না থেকে ক্লাসে ফিরে আসে। আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।