বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) নামে আত্মপ্রকাশ করছে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল। ইংরেজিতে দলের নাম হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে থাকছেন নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেন। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দলটি আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করবে।
যে কারণে দুঃখ প্রকাশ করল জাতীয় নাগরিক কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক

দল ঘোষণা নিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম করার চেষ্টা করছেন আয়োজকরা। এ কারণে ওই এলাকার একটি সড়ক সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।
এই সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটির ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে নাগরিক কমিটি জানায়, তারুণ্যের নেতৃত্বে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় 'নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ' উপলক্ষে ২৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাস্তাটির ২টি সাইডের ১টি সাইড (উত্তর সাইড) আড়ং-এর মোড় থেকে থেকে খামারবাড়ি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ঢাকাবাসীর প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সম্পর্কিত খবর

গণহত্যার দায়ে আ. লীগকে বিচারের আওতায় আনা হোক : সালাউদ্দিন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে—সেই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা হোক। প্রয়োজনে দেশের প্রচলিত আইন সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের লোকবল বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি আমরা প্রকাশ্যে করেছি, লিখিতভাবে করেছি, সরকারকে জানিয়েছি।
আমরা চাই আওয়ামী লীগকে গণহত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনা হোক। এজন্য সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন করা যায় এবং আইন সংশোধন করা যায়। বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যদি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হয় তাহলে এদেশের জনগণ তা মেনে নেবে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যেমন সংস্কার চাই, বিচার চাই আওয়ামী লীগের তেমনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করতে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন। জাতির সামনে অনেকবার তিনি বলেছেন। কিন্তু প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে কিছুদিন পরপর বলা হচ্ছে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনে; আবার জুনে থেকে ডিসেম্বরে এরকম একটা শিফটিং দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করারও বিভিন্ন রকম পায়তারা আমরা লক্ষ্য করছি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের উপর যে নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার, তার সঠিক সংখ্যা এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা হয়নি। সেই হত্যাযজ্ঞের বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি ও বিচার চাওয়া হয়েছে। আমরাও তাদের সঙ্গে একমত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আলেম-ওলামাদের উপরে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলে ভরা হয়েছে এবং সীমাহীন নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ীকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
বৈঠকটি শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে শুরু হয় এবং শেষ হয় রাত পৌনে দশটায়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, তিনি ছাড়াও হেফাজতের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মূফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

বিএনপির সঙ্গে হেফাজতের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক
অনলাইন ডেস্ক

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লিয়াজোঁ কমিটি।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত আছেন।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মানব না : আখতার
অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চাপিয়ে দিয়েছে, তাতে করে কোনোভাবেই এই দলের পুনর্বাসনকে তারা মেনে নেবেন না।’
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে রংপুর চেম্বার ভবনে এনসিপির সংগঠকদের নিয়ে আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কেউ যদি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন, তাদের আইনের কাছে সোপর্দ করার কথাও বলেন তিনি।
আখতার বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো প্রগ্রামে কোনোভাবেই যদি আওয়ামী লীগের কেউ যুক্ত হওয়ার মতো সাহসও দেখান, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপির বর্তমানে সম্পর্ক কী, এ বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি—প্রতিটি আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র সংগঠন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক প্রসঙ্গে কথা বলেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকভাবে কথা বলেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের মতো যোগ্য ও দক্ষ মানুষই এখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তার যোগ্যতা ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসিত।’
এ সময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফারজানা দিনা, রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়নসহ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাসে জামায়াতের নিন্দা
অনলাইন ডেস্ক

ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপে উদ্বেগ জানিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নিন্দা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস ও বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় পাস করা বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানা ও অধিকার হরণে বিজেপি সরকারের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার আরেকটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত।
‘এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের দান করা মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো ধর্মীয় সম্পদগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ ও দখলের পথ তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংশোধনী বিলে ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম দুইজন সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে করে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব হয়ে যাবে, যা মুসলমানদের জন্য চরম উদ্বেগের বিষয়। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগ্ন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়বে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বর্তমানে ভারতে ২৫ কোটির বেশি মুসলমানের বসবাস। ভারতে হাজার বছরের পুরনো মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নানা কূটকৌশলে ধ্বংস করা হচ্ছে। মুসলমানদের অন্যতম শরীয়তের বিধান তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমরা ভারতের বিজিপি সরকারকে এসব মুসলিমবিদ্বেষী অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করছি যে, তারা ভারতের মুসলমানদের জীবন, সহায়-সম্পত্তিসহ সব স্বার্থরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।