নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ 'বৈসাবি'

  • সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা বৈসাবি সম্পর্কে জেনেছ। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর নববর্ষের এই উৎসব বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
আল সানি
আল সানি
শেয়ার
নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ 'বৈসাবি'
ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বৈসাবি উৎসব। ছবি : সংগৃহীত

বৈসাবির শিকড় মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোতে একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়, যা স্থানীয়ভাবে ‘সংক্রান’ নামে পরিচিত। এ বছর ১৩ এপ্রিল পালিত হবে বৈসাবি। ধারণা করা হয়, শত শত বছর আগে আরাকান ও বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে আসার সময় তাদের সাংগ্রাই উৎসব সঙ্গে নিয়ে আসে।

একইভাবে চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবও ধীরে ধীরে একসঙ্গে মিলিত হয়ে ‘বৈসাবি’ নাম ধারণ করে। মারমা, চাকমা ও ত্রিপুরা মূলত বৃহত্তর মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তিব্বত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত নতুন বছর শুরু হয় বৈশাখ মাসে। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি জনগোষ্ঠী নিজেদের নববর্ষ পালন করে থাকে এই সময়।

বৈসাবি নামটি তিনটি জনগোষ্ঠীর উৎসবের প্রথম অক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে। চাকমাদের ‘বিজু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’—এই তিন উৎসব মিলেই ‘বৈসাবি’। যদিও প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে উদযাপনের ধরন কিছুটা আলাদা, তবু উৎসবের মূল চেতনায় থাকে আনন্দ, ভালোবাসা ও নতুন বছরের শুভ সূচনা। চাকমারা তিন দিনব্যাপী বিজু পালন করে।

প্রথম দিন ‘ফুল বিজু’, যেখানে নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুভ কামনা জানানো হয়। দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’, যেদিন ঘরে ঘরে বিশেষ খাবার ‘পাজন’ রান্না হয়, সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করে, গান-বাজনায় মেতে ওঠে। তৃতীয় দিন ‘গোজ্যেপোজ্যে’, যা বিশ্রামের দিন। এই দিনে ধর্মীয় প্রার্থনা করা হয়। মারমাদের উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ জলকেলি।

তরুণ-তরুণীরা একে অন্যের গায়ে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে। এটিকে তারা পবিত্রতার প্রতীক মনে করে। এ ছাড়া বুদ্ধমূর্তি স্নান করানো হয় এদিন। ত্রিপুরারা ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, বড়দের আশীর্বাদ নেওয়া ও ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের মাধ্যমে উদযাপন করে বৈসু। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ে বসবাসকারী  এই জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে।

চাকমারা বড় কোনো গাছ থাকলে তার নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে সম্মান জানিয়ে থাকে। গৃহপালিত পশুদেরও বিশ্রাম দেয় এদিন। বিজু উৎসব চলাকালে কোনো জীবিত প্রাণী হত্যা করা নিষেধ চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে। পার্বত্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই উৎসবের মাধ্যমে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জাবির মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জাবির মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনুর রহমান খানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের ফটকে হ্যান্ডমাইক নিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এদিকে রাত ১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)  অধ্যাপক সোহেল আহমেদ আসেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে। তাকে আজ মঙ্গলবার ২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

এর ভেতর হল প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করতে হবে। 

এদিকে, এর আগে গত রবিবার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে নামফলক খুলে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা। ওইদিন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন।

হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেন ও হাউজ টিউটরদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চাওয়া শিক্ষার্থীরা।

তবে ওই আলোচনা প্রাধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন না। আলোচনায় বিক্ষুব্ধরা রাতের মধ্যেই প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি করেন। 
এরপর হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রাধ্যক্ষের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত জানান, ‘প্রাধ্যক্ষ বলেছেন, উপাচার্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি বললে প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবেন। তাছাড়া স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগ করবেন না।
’ এরপরই একদল শিক্ষার্থী হলের ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ আসেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চান রাতের মধ্যে। তবে প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে তারা তাদেরকে আজ মঙ্গলবার ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এর ভেতরে হল প্রাধ্যক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
 

আলোচনায় উপস্থিত ও বিক্ষোভকারী ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান তাজ বলেন, ‘আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হলের শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে মিটিং করেন। আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই। আমরা স্যারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাদেরকে সময় দিয়েছি। আগামীকাল ২টার মধ্যে আমাদের হল প্রভোস্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে প্রশাসনকে। অন্যথায় আমরা আরো কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তাদের কথা শুনেছি। আমি তাদের দাবি দাওয়া মাননীয় উপাচার্য স্যারের কাছে পৌঁছে দেব।’ 

যেসব কারণে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চান সে বিষয়গুলো উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। অভিযোগপত্রে তারা জানান, প্রাধ্যক্ষে হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন, মসজিদ সংস্কারের অসহযোগিতা, হলের সকল কর্মচারীদের কাজের তদারকিতে অবহেলা ও হলের নোংরা পরিবেশে নিয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া, রিডিংরুম সংস্কারের দায়িত্বহীনতা, শিক্ষার্থীদের রুম সংস্কারে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রতা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া, হলের দীর্ঘ দিনের ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে দায়িত্বহীনতা ও দীর্ঘ ৫ মাস উনাকে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া, হলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা সামগ্রী দিতে অস্বীকৃতি, একাধিকবার বলার পরেও বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া, ওয়াশরুম সংস্কার ও পরিষ্কারে তদারকি না করা, শিক্ষার্থীদের হুমকি ও ক্ষমতার দাপট দেখানো, কোনো শিক্ষার্থী রাতে ফোন দিলে বিভিন্ন ধরনের কৈফিয়ত চাওয়া। 

তবে গত রবিবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘হলের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের জন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। ঈদের আগে পর্যন্ত কোনো অভিযোগের কথা তারা আমাকে বলেনি। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুলেছে মাত্র কয়েকদিন হলো। এরমধ্যে কিভাবে এসব অভিযোগ আসলো। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলেছি। তারা পেছনে থেকে শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দিয়ে একাজগুলো করাচ্ছে।’

মন্তব্য

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত, হল খুলবে ২ মে

    অবস্থান কর্মসূচিতে অনড় শিক্ষার্থীরা
খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত, হল খুলবে ২ মে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে।

 

তবে এ সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা এখনো তাদের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। অর্থাৎ দ্বিতীয় রাতের ন্যায় আজও কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে থাকবেন এমনকি প্রয়োজনে ২ মে পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়।

উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় একাডেমিক ও হল খোলার ব্যাপারে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত হয়।

অপরদিকে, কুয়েটের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে গতকালের ন্যায় আজকেও অবস্থান করব।

যতক্ষণ না পর্যন্ত হল না খোলে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব
হবে। কিন্তু কুয়েট প্রশাসন আমাদেরকে খোলা আকাশের নিচে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কুয়েট ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন বন্ধ করার নিমিত্তে হল ভ্যাকেন্ট এর ঘোষণা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না’ বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এসময় তারা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে কুয়েট প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং আহবান করা হয় এবং মিটিং শেষে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সৃষ্ট সংঘর্ষের পর ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে হল খালি করা হয়। এ ছাড়া কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুধুমাত্র দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা।

মন্তব্য

কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা, বাইরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা, বাইরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একদিকে চলছে সিন্ডিকেট সভা, অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের হল খোলার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক হল না খুললে তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে এবং আজ রাতেই হল খুলে দেওয়ার নোটিশ আসবে। আমরা যেন আমাদের হলে আজকে রাতেই সুন্দরভাবে রাত্রিযাপন করতে পারি।

আমরা চাই না আর খোলা আকাশে নিচে মশার কামড় খেয়ে এখানে অবস্থান করতে। আমাদের হল আমাদের জন্য খোলা হোক।’

তারা আরো বলেন, ‘আজকের সিন্ডিকেট মিটিং থেকে যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন আমরা আশা করব শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা যেন দ্রুত আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারি।

আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, প্রশাসন দলীয় স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করব। সেই সঙ্গে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকব।’

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সিন্ডিকেট মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জানা যাচ্ছে না।

মন্তব্য

পানিতে ডুবে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
শেয়ার
পানিতে ডুবে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

পুকুরের পানিতে ডুবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হুসাইন মোহাম্মদ আশিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

জানা যায়, কয়েকজন বন্ধু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন জনতা কলেজ পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে আহত হলে আশিককে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

হুসাইন মোহাম্মদ আশিকের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তালুক সুবল গ্রামের নুর আলম সরদার ও বিলকিস আক্তার বেগমের ছেলে।

হুসাইন মোহাম্মদ আশিকের বন্ধু সাকিব বলেন, ‘সময়মতো চিকিৎসা পেলে আমার বন্ধুর এই মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না। চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর মো. আবুল বাশার খান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।

ঘটনাটি মর্মান্তিক, যদি কারো গাফিলতি থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ