ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

কাশিয়ানীতে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
কাশিয়ানীতে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ৯৪ নং হাতিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ফলে যেকোনো সময় বিদ্যালয়ের ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯২ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের পিলারগুলো নড়বড়ে, ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তরা খসে রড বের হয়ে গেছে।

কক্ষের ভেতরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বৃষ্টির পানিতে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। পাশের রাস্তা দিয়ে ভারি কোনো যানবাহন গেলে ভবনটি কাপঁতে থাকে।
এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে এই বিদ্যালয় পাঠদান করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অমিত ঢালী জানায়, আমাদের স্কুলের বিল্ডিং পুরানো হয়ে গেছে। প্রায়ই ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ে। সব সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছি।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিশ্বজিত সরকার বলেন, স্কুলের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্লী বিশ্বাস জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হরিদাস বিশ্বাস বলেন, ভবনটিতে এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলতে থাকলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে কোন ফল হয়নি। 

উপজেলার হাতিয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয় ভবনটির যে অবস্থা তাতে যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভালুকায় কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়েছে পিডিবির একাধিক খুঁটি

    বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৩ হাজার গ্রাহক
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভালুকায় কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়েছে পিডিবির একাধিক খুঁটি
ছবি: কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ভালুকায় কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্মাণাধীন সঞ্চালন লাইনের একাধিক খুঁটি। এর প্রভাবে পাশের চলমান লাইনের একটি খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে উপজেলার মল্লিকবাড়ি, নয়নপুর ও আঙ্গারগাড়া এলাকায় প্রায় ৩ হাজার গ্রাহক। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভালুকা-মল্লিকবাড়ি সড়কে মল্লিকবাড়ি বাজার সলগ্ন ব্রিজের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঝড় হাওয়া বয়ে যায়।

এতে ভালুকার মল্লিকবাড়ি এলাকায় ভালুকা-সখিপুরগামী ৩৩ হাজার ও ১১ হাজার ভোল্টের পিডিবির নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ লাইনের ৫টি খুঁটি উপড়ে পাশের একটি মাছের খামারে পড়ে যায় এবং একই স্থানের ৪টি খুঁটি হেলে পড়ে। এর ফলে পাশে পিডিবির চলমান ১১ হাজার ভোল্টের একটি বিদ্যুৎ লাইনের দুটি খুঁটি ভেঙে উপজেলার মল্লিকবাড়ি, নয়নপুর পাশের ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারগাড়া গ্রামের একাংশের প্রায় ৩ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান এমরান জানান, ভালুকা-মল্লিকবাড়ি সড়কের ওই স্থানে সড়কের পাশ ঘেঁষে মাছের খামার করায় সড়কের পাশের মাটি নরম হয়ে খুঁটিগুলো সামান্য ঝড়েই উপড়ে পড়েছে। 

অপরদিকে, মাছের খামার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের খুঁটি পোতা না হলে হয়তো এমটি হতো না বলে তিনি জানান।

পিডিবির বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাসনাইন জামান জানান, মাছের খামারের পাশের মাটি নরম থাকায় ঝড়ে বিদ্যুতের কয়েকটি খুঁটি উপড়ে ও হেলে পড়েছে।

পিডিবি ভালুকার নির্বাহী সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ারুজ্জামান জানান, নির্মাণাধীন লাইনের কয়েকটি খুঁটি উপড়ে পড়ার প্রভাবে পিডিবির চলমান লাইনের একটি ভেঙে ভালুকার তিনটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের মেরামত কাজ চলছে।

মন্তব্য

বরগুনায় চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৬

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
বরগুনায় চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৬
সংগৃহীত ছবি

বরগুনার আমতলীতে হাঁস খামারির থেকে চাঁদার টাকা না পেয়ে হামলা ও পাল্টা হামলায় ৬ জন জখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আহতরা বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের মো. সোহেল মাতুব্বর ৬ মাস ধরে নিজ বাড়িতে একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন।

হাঁসগুলো প্রতিদিন সকাল-বিকেল খামার থেকে বের করে বাড়ির সামনে পাতাকাটা খালে ছেড়ে দেন। খালে হাঁস ছেড়ে লালন-পালন করতে হলে পার্শ্ববর্তী ঘটখালী গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে শনিবার বিকেল ৩টায় উভয় রামদা, ছেনা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলা ও পাল্টা হামলায় রামদার কোপে খামারি সোহেল মাতুব্বর (৩৫), তার বাবা মো. জাকির হোসেন মাতুব্বর (৬০) ও সুমন মাতুব্বর (২২), জহিরুল ইসলাম (৪০), রাজিব হাওলাদার (২২) ও জুয়েল মাতুব্বর (৩৫ ) নামে ৬ জন গুরুতর জখম হন।

আরো পড়ুন
স্বৈরাচারের প্রতিকৃতিতে আগুন, সন্দেহের তীর এক ঢাবি ছাত্রের দিকে!

স্বৈরাচারের প্রতিকৃতিতে আগুন, সন্দেহের তীর এক ঢাবি ছাত্রের দিকে!

 

আহত সোহেল, তার বাবা জাকির ও ভাতিজা সুমন মাতুব্বরকে বরিশাল শেবাচিম এবং জাহিরুল ও রাজিবকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

অভিযুক্ত জহিরুল হাওলাদার চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘খালে হাঁস ছেড়ে পানি নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় সোহেলের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চৌদ্দগ্রামে দুই শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বৃদ্ধা গ্রেপ্তার

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) কুমিল্লা
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) কুমিল্লা
শেয়ার
চৌদ্দগ্রামে দুই শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বৃদ্ধা গ্রেপ্তার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওমর আলী (৫৫) নামের এক বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ওমর আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওমর আলী উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে গজারিয়া গ্রামের ওমর আলী কোদালের জন্য পাশের বাড়িতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন পাশের ক্ষেতে মরিচ তুলছিল। ওই বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি ঘরে দুই শিশু খেলা করছিল। বাড়িতে কাউকে না দেখে ওমর আলী শিশু দুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।

পরে শিশুরা ভয় পেয়ে চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে ওমর আলী দৌড়ে পালিয়ে যান।

ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুই শিশুকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওমর আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুর পরিবার বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালতের মাধ্যমে ওমর আলিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

রান্নাঘরের গর্তে মিলল ১১ কেজি গাঁজা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
রান্নাঘরের গর্তে মিলল ১১ কেজি গাঁজা
ছবি : কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শনিবার রাতে পুলিশের অভিযান রান্নাঘরের গর্ত থেকে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় কামাল ভূঁইয়া (৩৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতকে রবিবার (১৩ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, শনিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদবাদ গ্রামের কামাল ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় একটি টিনশেড দোচালা ঘর, যেটি রান্নার কাজের ব্যবহৃত হয় সেখানে গর্তে লুকিয়ে রাখা ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় কামাল নামের একজনকে। এ ঘটনার তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ