বাউল শিল্পী শরিয়ত সরকারের ফাঁসির দাবিতে ধামরাইয়ে মানববন্ধন

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
বাউল শিল্পী শরিয়ত সরকারের ফাঁসির দাবিতে ধামরাইয়ে মানববন্ধন
ধামরাইয়ের সুয়াপুরে আল্লাহ, নবী-রাসূল, পবিত্র কোরআন ও আলেম-উলামাদের নিয়ে কটুক্তিকারী শরিয়ত সরকারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। ছবি : কালের কণ্ঠ

ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক এলাকায় আল্লাহ, নবী-রাসূল, পবিত্র কোরআন ও আলেম-উলামাদের নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় গ্রেপ্তার হওয়া বাউল শিল্পী শরিয়ত সরকারের ফাঁসি ও তার মদদদাতাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধন করেছে।

আজ মঙ্গলবার ধামরাইয়ের সুয়াপুর এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। শরিয়ত সরকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের আগধল্যা গ্রামের পবন মিয়ার ছেলে। 

মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেন সুয়াপুর হাজী জহির উদ্দিন দারুস সালাম দাখিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা ফজলুল হক, মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএম হলের ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, হালিয়াঘাটা কবরস্থান জামে মসজিদের খতিব আব্দুর রহমান, হালিয়াঘাটা হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ ইমরান হোসাইন, হাফেজ নজরুল ইসলাম, স্থানীয় মহিবুর রহমান মুন্না প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ধামরাইয়ের রৌহারটেক হেলাল শাহর বাৎসরিক মিলনমেলায় পালা গানের অনুষ্ঠানে মির্জাপুর এলাকার বাউল শিল্পী বয়াতি শরিয়ত সরকার আল্লাহ, নবী-রাসূল, পবিত্র কোরআন, আলেম-উলামাদের নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। পরে তার বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হলে মির্জাপুর থানায় তার নামে মামলা হয়। ওই মামলায় গত রবিবার পুলিশ শরিয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে মির্জাপুর থানায় তিনি তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছে।

 

বক্তরা আরো বলেন, শরিয়ত সরকার একজন ভন্ড শিল্পী। আমরা তার ফাঁসি চাই এবং তার মদদদাতাদেরও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। 

সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, হেলাল শাহর চিশতী দরবার শরীফে পালা গানের অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করেছিলেন কিন্তু আমি সেখানে যায়নি। আমার উপস্থিতিতে যদি ওই ভন্ড শরিয়ত বয়াতি ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তিমূলক কথা উচ্চারণ করত তাহলে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করতাম।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রায়পুরায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ২

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
শেয়ার
রায়পুরায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ২

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।  

নিহতরা হলেন, মোহিনীপুর এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া ও আব্দুল বারিকের ছেলে বাশার মিয়া।

আরো পড়ুন

দেশ হাসিনামুক্ত হলেও প্রকৃত বিজয় এখনও অর্জিত হয়নি : টুকু

দেশ হাসিনামুক্ত হলেও প্রকৃত বিজয় এখনও অর্জিত হয়নি : টুকু

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সামসু মিয়ার অনুসারীদের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছিল।

এর জেরে আজ শুক্রবার ভোরে সামসু মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। 

হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের অনুসারী আমিন মিয়া ও বাশার মিয়া টোঁটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংঘর্ষের পর মোহিনীপুর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরো পড়ুন

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, 'গত ছয় মাস ধরে প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আমার অনুসারীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছিলেন।

আজ যখন তারা বাড়িতে ফিরছিলেন, তখন সামসু মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার পক্ষের দুইজন নিহত হয়েছেন।'  

আরো পড়ুন

শাড়ির যত্নে সহজ কিছু টিপস

শাড়ির যত্নে সহজ কিছু টিপস

 

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

'

মন্তব্য

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতিতে বাঁধা দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ীসহ তাঁর পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা কোটাপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী কবির হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কবির হোসেন জানান, শুক্রবার ভোরে ১৫/২০ জনের একদল ডাকাত পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, দা, রামদা, সাবল, লোহার রড নিয়ে এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে।

এ সময় ডাকাতরা পরিবারের সকল সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতেরা ঘরে থাকা আলমারির চাবি না দেওয়ায় কবির হোসেন, তার স্ত্রী রৌশনা আক্তার, মেয়ে নাদিয়া ইসলাম ও ছোট ভাই মোক্তার হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। 

আরো পড়ুন
মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ড, গরু-ছাগল পুড়ে ছাই

মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ড, গরু-ছাগল পুড়ে ছাই

 

পরে ডাকাতরা ঘরের আলমারির তালা ভেঙ্গে ৬ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৩ লাখ টাকা লুট করে। এ সময় কবির হোসেনের বাড়ির আশপাশের লোকজন টের পেয়ে মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা আহত কবির হোসেন, রৌশনা আক্তার, নাদিয়া ইসলাম, মোক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরো পড়ুন
লেভাতানা সংস্কৃতির ধারক 'হাজং'

লেভাতানা সংস্কৃতির ধারক 'হাজং'

 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম জানান, '৯৯৯-এ ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কাওকে আটক করা যায়নি।'

মন্তব্য
জামালপুর

মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ড, গরু-ছাগল পুড়ে ছাই

দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ড, গরু-ছাগল পুড়ে ছাই

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদে মশার কয়েল থেকে বসতঘরে আগুন লেগে দুটি গরু, চারটি ছাগলসহ হাঁস-মুরগি পুড়ে মারা গেছে। ওষুধ আনতে ফার্মেসিতে গেলে ফাঁকা ঘরে আগুন লেগে সব পুড়ে যায় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল আলম কালের কণ্ঠকে জানান, ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাহাদুরাবাদ পুরাতন বাজারের সরকারি জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসবাসরত কাঠমিস্ত্রি ফজল মিয়ার ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুনে তার গৃহপালিত গরু, ছাগলসহ সব হাঁস-মুরগি পুড়ে মারা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘরে ফজল এবং তার স্ত্রী কেউই ছিলেন না। ফজলের স্ত্রী ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরে দেখেন সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

  
গরুর ঘরে দেওয়া মশা তাড়ানোর কয়েল থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা সবার।  

ফায়ার সার্ভিস দেওয়ানগঞ্জ স্টেশন অফিসার কামরুজ্জামান জানান, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির দুই ঘরসহ দুই গরু, চার ছাগল আগুনে পুড়ে মারা গেছে। 

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিস্তারিত সংবাদ নিয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।

মন্তব্য
শেরপুর

আবারও ক্ষেত রক্ষার বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
আবারও ক্ষেত রক্ষার বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

শেরপুরে নালিতাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন পূর্ব সমশ্চূড়া গ্রামের লালনেংগর এলাকায় হাতিটির মৃত্যু হয়। খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে এসেছিল বন্য হাতিটি। পরে কৃষকের আবাদ করা বোরো ধানক্ষেত রক্ষায় পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে সেটির মৃত্যু হয়েছে বলে বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

শেরপুর বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জার দেওয়ান আলী হাতির মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয় জিয়ারুল নামে এক কৃষকের ধানক্ষেত রক্ষায় জেনারেটরের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের লোকজন গেছে।

ইআরটি (এলিফেন্ট রেসপন্স টিম) সদস্যরাও সেখানে রয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকাসমূহে গত কয়েক দিন ধরে পাহাড় থেকে বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। স্থানীয় কৃষকরা আবাদ করা ফসল রক্ষার জন্য জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখেন।

এতে ভয়ে বন্য হাতির দল ধানক্ষেতে হানা দিতে আসে না। 

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রায় ২০টি বন্য হাতির একটি দল পূর্ব সমশ্চূড়া গ্রামের লালনেংগর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুলের বোরো ধানের ক্ষেতে খাবারের সন্ধানে হানা দেয়। একপর্যায়ে ক্ষেতের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে এলে একটি হাতি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যান্য হাতিরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে তাণ্ডব চালায় ও মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। ফলে ভয়ে ফসল রক্ষায় বা হাতিটি উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি।

খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ