বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার পাওয়া করোনাভাইরাস গত আড়াই মাসে ছড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সময় যতই যাচ্ছে করোনাভাইরাস ততই মহামারী আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা মানুষকে ঘরে থাকতে বললেও অনেকেই তা মানছেন না।
পিচঢালা সড়কে করোনা সচেতনতার বার্তা চিত্রশিল্পীর
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

হালুয়াঘাটের জনগণকে সচেতন করতে প্রধান সড়কে কালো পিচের ওপর অঙ্কন করছেন সচেতনতামূলক বিভিন্ন লেখা।
এ কাজের উদ্যোক্তা চিত্রশিল্পী নুরুজ্জামান শেখ রতন কালের কন্ঠ’কে বলেন, আমার মনে হয়েছে করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই আমি চিন্তা করেছি মানুষজন রাস্তা দিয়েই বেশী চলাচল করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, চিত্রশিল্পী রতন আমার কাছে এসেছিল। তাকে আমি উৎসাহিত করেছি। তার এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।
সম্পর্কিত খবর

শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ডিবি পুলিশের সহায়তায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে পুলিশসহ ৩ মাদক কারবারি আটক
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি

কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবাসহ এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার একটি বাসায় এই অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্যসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার পাঙ্গাস গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ খানের ছেলে রামু থানার ওয়ারলেস অপারেটর জাহিদুল ইসলাম (৩৩), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই থানার কমল মুন্সির হাট এলাকার বাবুল চৌধুরীর ছেলে অভিজিৎ চৌধুরী (৩৫) ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাইন্যারহাট, ডাবুয়া এলাকার নান্টু চৌধুরীর ছেলে পূষন চৌধুরী (৩৭)।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম মন্ডলপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় ইয়াবা কারবার চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়িতে সামনে পার্কিং করা প্রাইভেট কার থেকে ৭ হাজার ৫০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
- প্রত্যাবাসন নিয়ে বিভ্রান্তির শংকা
স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও উদ্বিগ্ন
তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার

যে মুহূর্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একটি সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে, এমন সময়েই ক্যাম্পে নতুন করে ঘর ( রোহিঙ্গা শেড) নির্মাণের কাজও চলছে। ক্যাম্পে নতুন ঘর নির্মাণের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে আবারও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। নতুন আবাসনের ব্যবস্থায় একদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী যেমন ক্ষোভে ফুঁসছে, তেমনি প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
নতুন ঘর নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দারা।
নতুন ঘর নির্মাণের বিষয়টি আরো বেশি আলোচনায় এসেছে এর সুনির্দিষ্ট কারণ না জানানোর জন্য।
'সওয়ার' নামের যে এনজিওটি ক্যাম্পে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ করছে তারা বলছে, পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে রোহিঙ্গা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার- আরআরআরসি সংবাদকর্মীদের বলেছেন, 'নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্যই নতুন ঘর।'
আবার গতকাল সকালে অতিরিক্ত আরআরআরসি মো শামসুদ দৌজা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা।
এদিকে স্থানীয় লোকজন বলছেন, 'গত কয়েক মাসে প্রচুর রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসেছেন। তাদের জন্য এসব করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ক্যাম্পে নতুন করে আবাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আবার পিছুটান পড়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রত্যাবাসনের পুরো ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হতে পারে বিভ্রান্তি।'
তিনি বলেন, 'যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং মায়ানমার সরকারও এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরানোর বিষয়ে ইতিবাচক, সেখানে নতুন করে শেড নির্মাণের আর কোনো দরকার থাকার কথা নয়।'
উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরোয়ার জাহান চৌধুরী ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণের ঘটনাটিকে 'প্রত্যাবাসন বিরোধি' কাজ কিনা তা সরকারি ভাবে খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'কোনো কোনো মহল সরকারের প্রত্যাবাসন ভণ্ডুল করতে নানা কৌশল এঁটে চলেছে।'
অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা শাখার আমির মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ মুহূর্তে ক্যাম্পে নতুন ঘর নির্মাণের ফলে প্রত্যাবাসনের দিকে এগিয়ে যাওয়াকে ব্যহত করবে। সেই সাথে আমরা শঙ্কিত, মায়ানমার থেকে নতুন করে আরো রোহিঙ্গা এপারে পাড়ি দিতেও উৎসাহিত হতে পারে।'
তিনি বলেন, 'আর কোনো ভাবেই বিলম্ব নয়, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেই হবে।'
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের সঙ্গে লাগোয়া বন বিভাগের পাহাড়ে চলছে এই নতুন করে ১২২টির অধিক শেড নির্মাণের কাজ। শেডগুলো নির্মাণ ঘিরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় লোকজন বনবিভাগের সঙ্গে শেয়ারের ভিত্তিতে সেখানে সামাজিক বনায়ন করেছিল। রোহিঙ্গা ঢলের সময় (২০১৭) কিছু বনভূমিতে শেড নির্মিত হয়েছিল। বাদবাকি বনভূমিতে গাছপালা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল আবসার নামের সামাজিক বনায়নের একজন উপকারভোগি কালের কণ্ঠকে জানান, 'যেখানে এখন শেডগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি ২০০৮ সালের সৃজিত বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের জায়গা। সেখানে জলাধারও ছিল। উক্ত জলাধার ভরাট করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। শেডগুলো তৈরি করছে ' সাওয়াব' নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। দেড়শ রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য এগুলো নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।' এসব বিষয় নিয়ে লিখিতভাবে উপকারভোগিরা সরকারের সংশ্লিষ্টদের জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী আকস্মিক রোহিঙ্গা শেড নির্মাণের বিষয়টিকে 'সন্দেহের' চোখে দেখছেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি এলাকার একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। অথচ আমাকেও না জানিয়ে রাতারাতি পাহাড় ও শত শত গাছ কেটে এনজিওটি শেডগুলো নির্মাণ করছে।'
তিনি বলেন, 'সরকারি পাহাড়ে এনজিওটি গাছপালা ও পাহাড় কেটে শেড তৈরির পাশাপাশি সেখানে 'আমিনা ভিলেজ' লিখে একটি সাইনবোর্ডও টাঙ্গিয়েছে। জমির মালিক বন বিভাগ আর সেখানে নামকরণ হচ্ছে 'আমিনা ভিলেজ' নামে- এ টনাটি রিতীমত রহস্যময় বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
সওয়াব নামের এনজিওটির কো-অর্ডিনেটর আতাউল্লাহ বলেন, 'যথারীতি রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শেডগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। পাহাড় ও গাছ কাটার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি সাইনবোর্ড প্রসঙ্গে বলেন, কোনো একজনের দানের টাকায় কাজ করার কারণেই এটি লাগানো হয়েছে। তবে অনুমতি রয়েছে কিনা তা জানাননি তিনি।'

মাউশির বিধি লঙ্ঘন
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন স্কুলশাখার শিক্ষক
তামজিদ হাসান তুরাগ, উত্তরাঞ্চল

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাউশি) পরিপত্র লঙ্ঘন করে স্কুল শাখার সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে। এমন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যোগ্য কলেজ শাখার প্রভাষক থাকা স্বত্বেও প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষমতার বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনিরুজ্জামান সরকার। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।
২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোলেমান খান সাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় হয় তাহলে সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে জোষ্ঠ্য প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপকদের দায়িত্ব প্রদান করবেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।
এই পরিপত্র জারি হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মনিরুজ্জামান সরকার। তিনি ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে স্কুল শাখার সহকারী শিক্ষক হয়েও প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সব মিলিয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৬ বছর ৮ মাস ধরে।
জানতে চাইলে বালারহাট আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি ২০১৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছি।
প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাউসির পরিপত্রের বিধি লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে মনিরুজ্জামান সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্কুল শাখার শিক্ষক হয়েও তিনি কীভাবে প্রায় ৭ বছর ধরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন তা আমাদের বোধগম্য হয় না। যেখানে পরিপত্রে বলা আছে- কলেজ শাখার সিনিয়র প্রভাষক এই দায়িত্ব পালন করবেন।’
তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম নিয়ে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে তদন্ত কার্যক্রর্মের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের হল রুমে ৪ শিক্ষার্থীর নেওয়া হয় সাক্ষাৎকার। তদন্ত প্রক্রিয়া ঠিক শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোনো তদন্ত প্রতিবেদন। ওই তদন্ত কমিটিতে আরো ছিলেন ফুলবাড়ি উপজেলা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
তদন্তে সাক্ষাৎকার দেওয়া শিক্ষার্থী সফিউল হায়দায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা চার জন শিক্ষার্থী ওই তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কনক (ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা) ভাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কিন্তু তিনি কোনো সদউত্তর দেননি। বলেছেন আবার তদন্ত হবে।’
জানতে চাইলে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হ্যাঁ, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা একটি তদন্ত কমেটি করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি উপজেলা নির্বাহী স্যারের কাছে। কোনো কারণে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি, সেই কমিটি তদন্তও করেছে। তারা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনিয়মের প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। তবে তিনি যে স্কুল শাখার শিক্ষক হয়েও দীর্ঘদিন ধরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন সেটি সম্পর্কে আমরা অবগত। তবে বিষয়টি নিয়ে একটি মামলাও চলমান। আর স্কুলের কোনো কমিটিও নেই যে তারা নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ করবে। কমিটি গঠন নিয়ে বারবার তাগাদাও দেওয়া হয়েছে।’