ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

নিঃসন্তান মায়েরা ঝুঁকছেন শিশু চুরিতে! ২০ দিনে ৪

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নিঃসন্তান মায়েরা ঝুঁকছেন শিশু চুরিতে! ২০ দিনে ৪
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জে আবারো শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের কদমপাল এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ছোঁয়ামনি নামের আড়াই মাস বয়সী শিশুটি চুরি হয়। এর প্রায় চার ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছোঁয়ামনি কদমপাল গ্রামের সুলতান শেখের সন্তান।

আজ রবিবার দুপুরে জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট বাজার এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা মাহিম নামের ২৩ দিন বয়সী একটি শিশু চুরি হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি সলঙ্গা থানার সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সামিউল নামের পাঁচ ঘণ্টা বয়সী এক নবজাতক চুরি হয়।

ওই দিন রাতেই সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রাম থেকে একটি শিশুকে জীবিত ও অপরটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এর আট দিন পর ৬ মার্চ কামারখন্দ উপজেলার বারাকান্দি গ্রাম থেকে আলিফ নামের ২৩ দিন বয়সী আরো একটি শিশু চুরির পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এসব শিশু চুরির ঘটনায় নিঃসন্তান মায়েরাই জড়িত।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, রবিবার সকালে শিশুটি হাঠাৎ হারিয়ে যায়।

পরিবারের লোকজন পুলিশকে তাৎক্ষণিক অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করে। কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট বাজার এলাকায় একটি মোটরসাইকেলে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী আরো জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের সময় মোটরসাইকেলসহ দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

এর মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উপহাস থেকে চাচাতো ভাইকে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
উপহাস থেকে চাচাতো ভাইকে হত্যা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপহাস থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির নাম মো. জামাল মিয়া (৪৫)। তিনি খাঁটিহাতা গ্রামের শনু মিয়ার ছেলে।

ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত জামাল মিয়ার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। জামাল মিয়ার চাচাতো ভাই বাবুল মিয়ার ছেলেরও সম্প্রতি বিদেশে যাওয়ার কথা। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবুল তার চাচাতো ভাই জামালকে উপহাস করেন।

এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে দুই পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে জামাল মিয়া আঘাতপ্রাপ্ত হন।
গুরুতর আহত জামাল মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোঘণা করেন।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফপর হোসেন জানান, 'খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেও লিখিত অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মন্তব্য
সুন্দরগঞ্জ

আ. লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত, আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত, আটক ৩
সংগৃহীত ছবি

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের মণ্ডলেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই বাবুর সঙ্গে ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলামের কথাকাটাকাটির জেরে হামলা ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন শফিকুলসহ বিএনপি ও যুবদলের ৬ নেতা।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাটে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গোলম কিবরিয়া মির্জা নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

 

এ ঘটনায় পুলিশ ছাপড়রহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাজমুল মাস্টার, তার ভাই একই ইউনিয়ন সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও বাঁধনসহ তিনজনকে আটক করেছে। তবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাবু আগেই পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছাত্রনেতা ও ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবুর ওষুধের দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে থাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

এ সময় বাবুর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল মাস্টার ও মঞ্জুরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন শফিকুলের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। পরে শফিকুল জীবন রক্ষায় পাশের আলম ডাক্টারের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও হামলা করেন তারা।

খবর পেয়ে পাশেই দলীয় কার্যালয় থেকে যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মী শফিকুলকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালানো হয়।

এতে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতাকর্মীসহ অন্তত ৬ জন আহত হন। পরে বিক্ষুদ্ধ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাবুর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল মাস্টার ও তার ভাই মঞ্জুরুলসহ তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আরো পড়ুন
বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

 

ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক এফ আই জাহাঙ্গীর মন্ডল হামলার ঘটনাটি আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইদের পরিকল্পিত বলে দাবি করে বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যু্বদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ছাড়রহাটি ইউনিয়ন বিএনপি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলম কিবরিয়া মির্জা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলম মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব।

তাদের মধ্যে গোলম কিবরিয়া মির্জাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বসার বেঞ্চে মোটরসাইকেল ধাক্বা লাগার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে উভয়ের দলীয় পদ-পরিচয় থাকলেও ঘটনাটি কোন রাজনৈতিক নয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিযা চলছে।’

মন্তব্য

বৈশাখের ছুটিতে নদী-প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পারেন বরিশালে

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
বৈশাখের ছুটিতে নদী-প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পারেন বরিশালে
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাত সকালে ব্রজমোহন (বিএম) স্কুল মাঠে প্রাভাতী অনুষ্ঠান দিয়ে পহেলা বৈশাখের শুরু। সেখানে পরানো হবে রাখি। বর্ষবরণের গানের আয়োজনও থাকছে। তারপর বর্ষবরণের সমবেত গান নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। বরিশাল চারুকলার উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রা ব্রজমোহন (বিএম) স্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

শোভাযাত্রার দীর্ঘ বিরতির পর বিকেলে বিএম স্কুল মাঠেই উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকছে। পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রার পর থেকে বিকেল মেলা শুরুর আগ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়টা পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব মিলে ঘুরতে বের হন অনেকেই।

 

আরো পড়ুন
কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

 

কীর্তনখোলা নদীর পাড় ঘেঁষে সবুজের বেষ্টনী। আছে নদী তীরে ঝাউ বন। এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পামগাছের সারি। শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ।

কীর্তনখোলা তীরে এ শহরের রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারবেন বেশ কয়েকটি স্পর্ট।

কীর্তনখোলা নদীর পাড়
বরিশাল শহরের অদূরেই কীর্তনখোলা নদী তীরে এ জায়গাটি কীর্তনখোলা তীরের বেরিবাঁধের একটি অংশ। যেখানে আছে ঝাউবন। তার পাশের এ জায়গাকে ত্রিশ গোডাউন বলে।

এখানে বধ্যভূমিও রয়েছে। বিকেলের দিকে কীর্তনখোলাা পাড়ে গেলে নদীর শান্ত, শীতল পানির স্পর্শ নিয়ে যখন বাতাস আপনার গায়ে এসে লাগবে, তখন মন প্রফুল্ল হয়ে যাবে। সন্ধ্যার দিকে এখানে নানান মুখরোচক খাবারের পসরা বসে। 

মুক্তিযোদ্ধা পার্ক
বরিশাল নগরের বান্দরোডে কীর্তনখোলা নদী ঘিরে গড়ে উঠেছে আরেক বিনোদনকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। ঝাউ-কাঠবাদাম, নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফুল ও বনজ গাছে ছায়া সুনিবিড় এই পার্কে এলে নগরের ইটপাথর আর কোলাহল থেকে একটু স্বস্তি মেলে। প্রায় ৪ হাজার বর্গমিটার আয়তনের পার্কটিতে ৬২টি বসার আসন আছে। নদীতীরের প্রশস্ত সড়ক ধরে হেঁটে কীর্তনখোলার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এখান থেকে। এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ট্রলারে ভ্রমণ করা যায় নদী। যাওয়া যায় ত্রিশ গোডাউন রিভারভিউ পার্কে। বিনামূল্যে পার্কটি ঘুরে দেখার সুযোগ থাকায় নগরবাসীর কাছে পার্কটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্ল্যানেট পার্ক
বরিশালে যতগুলো শিশু বিনোদনকেন্দ্র আছে, তার মধ্যে অন্যতম বান্দরোডের প্ল্যানেট পার্ক। ৫০ টাকা প্রবেশ ফি এই পার্কের। ভেতরে আছে শিশুদের জন্য ৮টি রাইড। প্রতিটি রাইডের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। রাইডগুলোর মধ্যে আছে প্লেন, ট্রেন, হর্স রাইডার, সুপার চেয়ার, ফ্লাওয়ার কাপ, শান্তা মারিয়া, প্যাডেল বোট ও প্যারাট্রুপার। এ ছাড়া পুরো পার্কের মধ্যে শিশুদের জন্য আছে রাইড ছাড়াও ঘুরে দেখার মতো নানা স্থান।
 
পার্কের ঠিক বিপরীত পাশের রয়েছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)। এই উদ্যাগ ঘীরে সব সময়ই মানুষের ঢল নামে। তবে যে কোনো উৎসবকে ঘীরে সেটা জনস্রোতে রুপ নেয়। উদ্যানে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আরো আছে বিশাল মাঠ। আপনি চাইলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেই মাঠে বসে আড্ডা দিতে পারেন। উদ্যান ঘেঁষেই রয়েছে গ্রীণ সিটি পার্ক। প্রায় ৯ বছর পর এই পার্কে সিটি করপোরেশন জনপ্রতি ১০টা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেছে। এখানে শিশুদের জন্য কয়েকটি খেলনা রয়েছে। সবগুলো খেলনাই ফ্রিতে শিশুরা ব্যবহার করতে পারবে।

লাল গির্জা
বরিশাল নগরীর জীবনানন্দ দাশ সড়কের (বগুড়া রোড) পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লাল গির্জাটি। লাল ইটের তৈরি বলে স্থানীয় মানুষের কাছে এটি ‘লাল গির্জা’ হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন এ গির্জারকেতাবি নাম ইপিফানি গির্জা হলেও এটি অক্সফোর্ড মিশন নামেই বেশি পরিচিত। গির্জাটি ১২২ বছর আগে গ্রিক স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে গির্জাটি দেখতে এখনো ঝকঝকে তকতকে রয়েছে।

গির্জার দক্ষিণ পাশে শানবাঁধানো বড় পুকুর। পুকুরের টলটলে জলে গির্জার মোহনীয় প্রতিবিম্ব নজরকারে পর্যটকদের। মূল গির্জাটির রং লাল হলেও এর আঙিনায় পরতে পরতে সবুজের সমারোহ। সুদৃশ্য পামগাছে ঘেরা গির্জার চারদিকের সীমানা। ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি গাঢ় সবুজ আঙিনা, বৃক্ষশোভিত উদ্যান, মাঠ, ফুল ও ঔষধি বাগান। অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন এই গির্জায়।

বিএম কলেজ ক্যাম্পাস
অক্সফোর্ড মিশন চার্চ ঘুরে হাটা পথের দুরত্বে সরকারি বজ্রমোহন (বিএম) কলেজ। কলেজে কবি জীবনানন্দ দাশের অনেক স্মৃতি রয়েছে। প্রধান ফটকে লেখা ‘সত্য প্রেম পবিত্রতা’। কলেজের লাল-সাদা রঙের মূল দোতলা ভবন এক চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন। ভবন পেরোলেই বিশাল মাঠ। এক কোনায় জীবনানন্দ দাশ চত্বর। জীবনানন্দ দাশ হিন্দু ছাত্রাবাস রয়েছে। তার পাশেই বিএম স্কুল মাঠে উদীচীর বৈশাখী মেলা বসে।
 
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
বিএম কলেজ থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। জমিদার রাজচন্দ্র রায় আনুমানিক ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে বরিশালের লাকুটিয়া গ্রামে এ জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি ইউরোপীয় স্থাপত্যের ছোঁয়াও রয়েছে নকশায়। বাড়ির মূল কাঠামোটি দোতলা। সেখানে রয়েছে কারুকাজ করা দরজা, জানালা, নকশা করা ছাদ এবং বিস্তত বারান্দা। বাড়ির অঙ্গনে আছে বিশাল এক পুকুর এবং সুন্দর উদ্যান।

মন্তব্য

কারামুক্ত জাকির খান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কারামুক্ত জাকির খান
ছবি : কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এর আগে ৭ জানুয়ারি আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানসহ সব আসামি বেকসুর খালাস পান। 

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১-এর একটি অভিযানে রাজধানী ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। মামলাগুলোর মধ্যে ৩০টি মামলায় আগেই খালাস পান তিনি। বাকি তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন। সাব্বির আলম হত্যা মামলার খালাসের মাধ্যমে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা ছিল না।
 

প্রসংগত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি, বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ