দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে

  • আরো ১৭০০ ফুট দীর্ঘ রানওয়ের কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
    প্রথম সমুদ্র বক্ষের রানওয়ের নির্মাণ খরচ ১৫ শ ৬৯ কোটি
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে

দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সমৃদ্ধ কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে রানওয়ের ৪ হাজার ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। যে রানওয়ের প্রস্থ ছিল ১০০ ফুট এখন তা করা হয়েছে ২০০ ফুটে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয পর্যায়ে বিমানবন্দরটির রানওয়ে বৃদ্ধি করা হবে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট।

যা করা হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্য।

ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১০ হাজার ৫০০ ফুট। সেই তুলনায় কক্সবাজার বিমান বন্দরে হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম রানওয়ে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন উদ্বোধন করা হবে।

এ প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৯ হাজার ফুট থেকে ১০ হাজার ৭শ ফুটে রানওয়ে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে দেশের ৪র্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রা শুরু করবে। রানওয়ে বৃদ্ধির কাজ শেষ হ‌ওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোয়িং-৭৭৭ পরিসরের অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও শুরু হবে।

দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের সমুদ্র বক্ষে নির্মাণ হচ্ছে রানওয়ে।

যার খরচ হিসেব করা হয়েছে ১৫ শ ৬৯ কোটি টাকা। আর বিমানবন্দর রানওয়ের এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি। প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে দৃশ্যমান করতে কাজ শুরু হচ্ছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরের ৯ হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

সেই সঙ্গে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারণ হবে। আর এই ১৭০০ ফিট হবে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলের ‌ওপরে। যেখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। এছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯ শ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং।

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী এনামুল হক শুক্রবার বিকালে কালের কণ্ঠকে বলেন- ‘সোনাদিয়া দ্বীপের বুকচিরে মহেশখালী চ্যানেলের কিয়দংশ ভরাটের মাধ্যমে যখন কক্সবাজার বিমানবন্দরটির রানওয়ের পূর্ণাঙ্গ রুপ পাবে তখন দেখা যাবে সৌন্দর্য্যরে আরেক ভিন্ন জগত।’

তিনি বলেন, সাগরের চিক চিক জলরাশি, দ্বীপাঞ্চলের সবুজ বনায়ন সংলগ্ন কক্সবাজার বিমানবন্দরটি হবে এশিয়ায় দ্বিতীয়টি। এর আগে মালদ্বীপের বিমানবন্দরটিও এরকম সুন্দর পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. ইউনুস ভুঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন- ‘করোনাকালীন সময় ও চলতি বর্ষার অধিকাংশ সময়ই বৈরী আবহাওয়া সত্বেও রানওয়ের কাজ থেমে নেই। পুরো বিমানবন্দর এলাকার ময়লা আবর্জনা সরানো থেকে মাটি কাটা ও ঢালাইয়ের কাজ সমানে চলছে।’

তিনি জানান, পুরোদমে চলছে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ। পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে দুবাই বিমান বন্দরের মতো কক্সবাজারের বিমানবন্দরেও থাকবে রি-ফুয়েলিং-এর ব্যবস্থা।

বিমানবন্দরটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে এর রানওয়ে। অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের কাতারে নাম লেখাতে যাওয়া কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র-ছুঁয়ে। সমুদ্রের নোনা জলের ঠিক ওপরেই উড়োজাহাজটি অবতরণের প্রস্তুতি নেবে। পৃথিবীর উপকূলীয় শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর হবে এশিয়ার যেগাযোগের নতুন মাধ্যম।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এবার এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।

মন্তব্য

বিলের মাছ ধরা নিয়ে সরিষাবাড়ীতে বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বিলের মাছ ধরা নিয়ে সরিষাবাড়ীতে বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনা
সংগৃহীত ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিনভর দফায় দফায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়িসহ মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষই অস্ত্রের মহড়া দেখিয়েছেন।

দুপুর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় পাল্টাপাল্টি অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তালতলা এলাকায় সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে জেলা বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ও মহাদান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল ও মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের (লিটন) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল আউয়ালের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই বিলে মাছ ধরতে যান।

এ সময় ইসমাইল হোসেনের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া দেন।

এরপর থেকে থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে মহড়া চলে। এরপর উভয় পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের কয়েকটি দোকানপাট, বসতবাড়ি ও মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর করেন।

বিএনপি নেতা আনোয়ার উস সাদাত লাঞ্জু, ইসহাক মেম্বার, ইসমাইল হোসেন লিটনসহ অনেকেই অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা বিএনপির জলাবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ও তার ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।

এর প্রতিবাদ করলে তার সমর্থকরা আমাদের লোকজনের দোকানপাট ও বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আনোয়ার উস সাদাত লাঞ্জু, ইসমাইল হোসেন লিটন, ইসাহাক আলীর একটি পক্ষ সরকারি তালতলার বিল থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিএনপি সর্মথিত জেলে হাসমত আলী, মিজানুর রহমান মিজানসহ অনেক জেলে বঞ্চিত হচ্ছে।’ বঞ্চিত জেলেরা মাছ ধরতে গেলে উল্টো তাদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি তার।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকেই ওই ইউনিয়ন দুইটি পক্ষের মধ্যে পারিবারিক রেষারেষি হয়ে আসছিল।

আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকেই বুঝিয়ে শান্ত করেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দলীয় পর্যায়ের কোনো ঘটনা এটি নয়।’

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরিষাবাড়ী ও সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু

শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত হাতিটি। ছবি : কালের কণ্ঠ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতিটি কৃষকের আবাদ করা বোরো ধানক্ষেত রক্ষায় পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে মারা গেছে।

শেরপুর বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, স্থানীয় জিয়ারুল নামে এক কৃষক ধান ক্ষেত রক্ষায় জেনারেটরের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন বন বিভাগের লোকজন। সেই সঙ্গে ইআরটি (এলিফেন্ট রেসপন্স টিম) সদস্যরাও গেছেন।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মধুটিলা রেঞ্জে গত কয়েকদিন ধরে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। স্থানীয় কৃষকরা আবাদ করা ফসল রক্ষার জন্য জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বৈদুুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এতে ভয়ে বন্য হাতির দল ধানক্ষেতে আসে না।

বৃহস্পতিবার সন্ধার পর প্রায় ২০টি বন্যহাতির একটি দল পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুলের বোরো ধানের ক্ষেতে খাবারের সন্ধানে হানা দেয়। একপর্যায়ে ক্ষেতের পাশে থাকা বৈদ্যুুতিক লাইনের স্পর্শে এলে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

মন্তব্য

ঝোপখালী পাখির চর অনেকটাই অজানা

স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী (বরগুনা)
স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী (বরগুনা)
শেয়ার
ঝোপখালী পাখির চর অনেকটাই অজানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন যখন দক্ষিণের জনপদ বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় ঠিক সেই সময়ে বরগুনার বেতাগীর বুকে জেগে ওঠা নতুন নতুন চর।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের বিষখালী নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি চর; স্থানীয়দের কাছে ‘ঝোপখালীর চর’ নামেই এটি পরিচিত। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জীববৈচিত্র্য। রয়েছে পাখির অভয়ারণ্য।

চরের ভেতরে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে ছোট ছোট ৫ থেকে ৭টি নালা। মৎস্য প্রজাতি ধ্বংসের মাঝেও এসব নালায় রয়েছে সুস্বাদু প্রজাতির মাছ।

নদীর মাঝে জেগে ওঠায় জোয়ারের সময় চরটি পানিতে প্রায় পরিপূর্ণ থাকে। নৌকায় করে উপভোগ করা যায় এখানকার পাখির কলতান ও চরের সবুজের সমারোহ।

যা সহজেই সকলকে আকৃষ্ট করে।

বিষখালী নদীর বুক চিরে আগামী দশকে এখানে আরো ভূমি জেগে ওঠার আশা করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনে এখনকার ব্যাপক পরিমাণ ভূমি যেভাবে বিলীন হচ্ছে, তেমনিভাবে চারপাশে যেভাবে চর জেগে উঠছে তা আশাই জাগাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এই চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা অনেকের কাছেই অজানা।

দেড় লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি পৌরসভাসহ বেতাগী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২৫ একর আয়তনের উল্লেখযোগ্য চরগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষখালীর নদীর মাঝে জেগে ওঠা ‘ছোট ঝোপখালীর চর’।

এসব চরের অধিকাংশই বেদখলে রয়েছে। তবে এসব চরের সমভূমিতে জনবসতি গড়ে ওঠার পাশাপাশি চাষাবাদ, নতুন নতুন বনায়ন করতে পারলে নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ পাবে। স্থানীয়দের দাবি, এজন্য  প্রশাসনের উদ্যোগ জরুরি।

2

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জেলা সন্বয়কারী হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি ঘেষেই প্রচুর সম্ভবনাময় এ স্পটটি এখনো উন্মোচিত হয়নি।

দেশ তো দূরের কথা এমনকি এলাকার মানুষের কাছেই অনেকটাই অজানা রয়েছে।’

বেতাগী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোরঞ্জন বড়াল বলেন, ‘মানুষকে সচেতন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগী করে তুলতে পারলে এখানে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে উঠবে। এ থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে।’

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, ‘পাখিদের আশ্রয়স্থল ঝোপখালী চরকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া অবৈধ দখলে থাকা খাস জমিগুলো উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’

মন্তব্য

মহেশপুরে বিএনপি কর্মী হত্যা, অভিযোগ জামায়াতের দিকে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
মহেশপুরে বিএনপি কর্মী হত্যা, অভিযোগ জামায়াতের দিকে
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাফর হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সামন্তা গ্রামের জীবননগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাফর হোসেন ওই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। জাফর স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জাফরকে হত্যার পেছনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন।

কাজীড়বেড় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা সাইদুর রহমান জাফরকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন।

পরে জামায়াতের নেতা আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি দল তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। সে সময় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’

যদিও অভিযোগের বিষয়ে জানতে জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ