<p>রংপুরের মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। </p> <p>স্থানীয়রা জানান, ‘সকালে লাউ শাক তুলতে গিয়ে পা পিছলে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকেপড়ে যান দেলোয়ারা। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে নামেন ছেলে ইদুল মিয়া ও তার ভাতিজা ইবলুল। এ সময় ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সাভিস।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলা শালটি গোপালপুরের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫), দেলোয়ারা বেগমের ছেলে ইদুল মিয়া (৩৫) এবং তোবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)।</p> <p>নিহতের স্বজনরা জানান, বাড়ির পেছনে থাকা সেপটিক ট্যাংকেপড়ে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকেথেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন। </p> <p>স্থানীয় শাহিন মিয়া,মামুন মিয়া বলেন, ‘মা-ছেলে ও ভাতিজার মৃত্যুর ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। তারা বলেন অসাবধানতায় এই ঘটনা ঘটেছে। পরে য়ায়ার সাভিসকে খবর দিলে দুইটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে।</p> <p>স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেলোয়ারা বেগমের বাড়ির পেছনে গরুর মলমূত্র যাওয়ার জন্য একটা কুয়া খোঁড়া হয়েছিল। ওই সেপটিক ট্যাংকেপাশে মই দিয়ে ঘরের সান শেডের ওপর লাউয়ের পাতা তুলছিলেন দেলোয়ারা বেগম। এ সময় মই পিছলে নিচে কুয়ার ভিতরে পড়ে যান তিনি। পরে তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে তার ছেলে ইদল মিয়াও সেখানে পড়ে যান। এরপর ওই দুজনকে বাঁচাতে প্রতিবেশী ভাতিজা ইবলুল মিয়া গেলে তিনিও ওই সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যান এবং তিনজনই মারা যান।<br />  <br /> মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান বলেন, ‘কুয়াটি সরু ও গভীর ২০-২৫ফুট ছিল।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকালে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।’</p> <p>মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অসাবধানতার কারণে ঘটনা ঘটেছে। </p>