<p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ায় আজ রবিবার সকালে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দু’জনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং বাকিদের লাশ খাটের ওপর ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়ার পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইল না।</p> <p style="text-align:justify">আত্মীয়, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে ওই এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফিরেন। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ। </p> <p style="text-align:justify">রবিবার সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাদের সবার<br /> লাশ দেখতে পান। এর মধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার লাশ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাতের লাশ ও অপর কন্যার লাশ খাটে পড়ে ছিল।</p> <p style="text-align:justify">সোহাগের বোন ইয়াছমিন আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ৪-৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। এছাড়া আর কোনো সমস্যার কথা শুনি নাই। কিন্তু টাকার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটবে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না।’</p> <p style="text-align:justify">এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনায় পুলিশ ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহের কারণে সোহাগ মিয়া প্রথমে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করেন এবং পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন তিনি। </p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন লাশ পড়ে থাকার ধরনসহ পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে সোহাগ প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হওয়া যাবে।’<br />  </p>