ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ রমজান ১৪৪৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারে ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে যে ধারণা পুলিশের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারে ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে যে ধারণা পুলিশের
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ায় আজ রবিবার সকালে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দু’জনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং বাকিদের লাশ খাটের ওপর ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়ার পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইল না।

আত্মীয়, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে ওই এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন।

শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফিরেন। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ। 

রবিবার সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাদের সবার
লাশ দেখতে পান।

এর মধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার লাশ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাতের লাশ ও অপর কন্যার লাশ খাটে পড়ে ছিল।

সোহাগের বোন ইয়াছমিন আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ৪-৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। এছাড়া আর কোনো সমস্যার কথা শুনি নাই।

কিন্তু টাকার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটবে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না।’

এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনায় পুলিশ ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহের কারণে সোহাগ মিয়া প্রথমে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করেন এবং পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন তিনি। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন লাশ পড়ে থাকার ধরনসহ পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে সোহাগ প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হওয়া যাবে।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে খুলনার প্রকৌশলীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে খুলনার প্রকৌশলীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

খুলনায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাবিবুল্লাহকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হাবিবুল্লাহ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেব কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি এস এম হাবিবুল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। হাবিবুল্লাহ বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল ঠিকাদারের নিকট থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় দুদকের অভিযানে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন এসএম হাবিবুল্লাহ। এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম বাদী হয়ে কয়রা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তিনি আরো জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এসএম শামীম ইকবাল ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট এসএম হাবিবুল্লাহকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত দুটি ধারায় ৫ বছরের তাকে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পাকুন্দিয়ায় রাতের আঁধারে ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
পাকুন্দিয়ায় রাতের আঁধারে ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ
পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামে টিনের ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ছবি : কালের কণ্ঠ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় রাতের আঁধারে ঘর তুলে জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাদেক হোসেন খোকন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৩ মার্চ) রাতে  উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারিকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মো. জুয়েল রানা নামের এক ব্যক্তি।

জুয়েল রানা বলেন, ‘১৯৬৬ সালে আমার দাদা হাসমত উল্লাহ পাশের বাড়ির মৃত আব্দুল মান্নান ও আব্দুল জব্বারের কাছ থেকে সাফ কাওলা দলিল মূল্যে ৮ শতাংশ জমি কেনেন।

প্রায় ৫৮ বছর ধরে আমরা এ জমি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে গত সোমবার রাতে মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে গোলাপ, ভাতিজা খোকন ও নাতি রুবেলসহ আরো ৮ থেকে ১০ জন মিলে ওই জমিতে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে একটি টিনের একচালা ঘর তোলেন।’

আরো পড়ুন
বেলুচিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মাহরাং বালুচের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টির

বেলুচিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মাহরাং বালুচের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টির

 

তিনি আরো বলেন, ‘তারা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। তাদের হুমকি-ধমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তাদের হাত থেকে জমিটি রক্ষা করতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলেও তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এ বিষয়ে আইনরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

অভিযুক্ত সাদেক হোসেন খোকন রাতে ঘর তোলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের জায়গাতেই আমরা ঘর তুলেছি। তাদের জায়গায় কোনোরকম হস্তক্ষেপ করেনি আমরা।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

ঘরের আড়ায় ঝুলছিল প্রতিবন্ধী যুবকের নিথর দেহ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘরের আড়ায় ঝুলছিল প্রতিবন্ধী যুবকের নিথর দেহ
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুমন মিয়া (১৮) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সুমন ওই গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যায় তাকে একা বাড়িতে রেখে তার বাবা রফিক মিয়া ধান খেতে পানি দেওয়ার জন্য বের হন। খেতে পানি দেওয়া শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন- ছেলের নিথর দেহ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পরে থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
 

দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

মন্তব্য

নওগাঁয় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি বুলু গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নওগাঁয় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি বুলু গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

নওগাঁর বদলগাছী আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে উপজেলার ভান্ডারপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর উপজেলার গোবরচাঁপা হাট এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া অবিস্ফোরিত ৬টি ককটেল উদ্ধার করেছিল থানা পুলিশ। 

আরো পড়ুন
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

 

ঘটনার পরের দিন বেলাল হোসেন শৌখিন নামে বিএনপির এক নেতা বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪০ নেতাকর্মীসহ আরো অজ্ঞাত ৮০-১০০ জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় বুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
২৫ মার্চ 'গণহত্যা দিবস' আজ

২৫ মার্চ 'গণহত্যা দিবস' আজ

 

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার আবু খালেদ বুলু বিস্ফোরক মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। সোমবার রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ