<p>কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭১৮টি পুকুর, বেড়ি ও দিঘী। এতে মৎস্য চাষীদের ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বেশিরভাগ চাষী ব্যাংক লোন করেই মাছ চাষ শুরু করেছেন। হঠাৎ এমন ভয়াবহ বন্যায় নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে মাছ চাষিরা। সরকারি প্রণোদনা না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা নতুন করে মাছ চাষ শুরু করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যাংক লোন পরিশোধ করাও অনিশ্চিত হয়ে যাবে।</p> <p>পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের সরকারি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিমুল মৎস্য খামারের মালিক হুমায়ুন কবির শরীফ বলেন, বন্যায় আমার ৪টি পুকুর ও ৭টি বেড়ি প্লাবিত হয়ে ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমার ২০ লাখ টাকা ব্যাংক লোন রয়েছে। আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে এই বন্যা। এখন কীভাবে ব্যাংক লোন পরিশোধ করব কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।</p> <p>পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের দোশারীচোঁ গ্রামের রহমান ফিশারিজের মালিক গোলাম মোর্শেদ বলেন, সম্প্রতি প্রবাস থেকে ফিরে ব্যাংক লোন করে আমি ৫ একর জমিতে ১০টি বেড়ি তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করি। এবারের বন্যায় আমার সবগুলো ফিশারিজ প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। সরকার যদি মৎস্য চাষিদের একটু সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।</p> <p>লালমাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যায় মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৭১৮টি পুকুর, বেড়ি ও দীঘি প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছ। ইতিমধ্যে উপজেলার ৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে লিখিতভাবে আমাদের জানিয়েছেন।</p>