<p>চট্টগ্রামে ৫ আগস্ট গুলিতে মোহাম্মদ আলম (৩৫) নামের একজন নিহতের ঘটনায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ,জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ২২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে।</p> <p>মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত আলমের ভাই মো. জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন।</p> <p>মামলা করার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>মামলায় অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাঁচলাইশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. দিদারুল আলম দিদার, চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম ৪-সীতাকু- আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম, চসিকের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোলেমান আলম শেঠ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।  </p> <p>মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এমন খবরে শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। একই সময়ে নওফেল, হাছান মাহমুদের নির্দেশে আসামিরা ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণ ও হামলা করে। ওই দিনেই ভিকটিম মোহাম্মদ আলম (৩৬) ডবলমুরিং থানাধীন মনছুরাবাদ পুলিশ লাইনসের সামনে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ গুলি লাগে ভিকটিম আলমের মাথায়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডাররা এজহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা একই উদেশ্যে গুলিবর্ষণ করে আলমকে হত্যা করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।</p>