<p style="text-align:justify">একাধিক স্থানে শ্রমিক আন্দোলনে অবরোধ হওয়ায় ৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় জিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার অশোক কুমার পাল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, শ্রমিক বিক্ষোভে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সেনাবাহিনী শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার পর যান চলাচল শুরু হয়। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, আজ সকাল ১০টা থেকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা খাঁ পাড়া রোডে অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার দেড় হাজার শ্রমিক তাদের জুলাই মাসের অবশিষ্ট অর্ধেক বেতনের দাবিতে উৎপাদন কাজ বন্ধ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে কারখানার মালিক বাহাউদ্দিন চৌধুরী বাকের কালের কণ্ঠকে বলেন, সব সময় নিয়মিত বেতন দিলাম। এখন অর্ধেক মাসের বেতনের জন্য শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে আগস্ট মাসের বেতনের দাবিতে প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের শ্রমিকেরা কর্মবিরতি থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা কারখানার সামনে একটি পিকআপ ভাঙচুর করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে দুই কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়কে শক্ত অবস্থান তৈরি করে।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল থেকে টঙ্গীর সাতাইশ বাগান বাড়ি রোড এলাকায় অবস্থিত প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের ৪৫০ জন শ্রমিক কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করছিল। বেলা ১২টার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে কারখানার সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি পুড়ে যায়। এরপর তারা একটি পিকআপভ্যান ভাঙচুর করে মিছিল নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে অবরোধ করে।</p> <p style="text-align:justify">গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ৫ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ ছিল। আমরা অবরোধ নিরসনে কাজ করছি।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে দীর্ঘ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ থাকায় বিভিন্ন শাখা সড়ক দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে চলে গণপরিবহন। মূল সড়কে অবস্থান ছিল শ্রমিকদের। ফলে মহাসড়কে ছিল দীর্ঘ যানজট। প্রায় দিনব্যাপী যানজটে গণপরিবহন বিভিন্ন শাখা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। আর মহাসড়কে আটকা পড়া পরিবহনের যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তি পোহায়।</p> <p style="text-align:justify">জিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার অশোক কুমার পাল গণমাধ্যমকে জানান, সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছেড়ে যায়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।</p>