<p style="text-align:justify">কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র ন‌দে বৈদ‌্যু‌তিক শক দি‌য়ে চল‌ছে অবাধে মাছ নিধ‌নের মহাযজ্ঞ। স্থানীয়রা বল‌ছে, এক শ্রেণির অসাধু জে‌লে অতি লো‌ভে এমন কর্মকাণ্ড চা‌লি‌য়ে আস‌ছেন। ফ‌লে ব্রহ্মপুত্র ন‌দে মা‌ছের উৎপাদন ক‌মে যাওয়া‌র পাশা‌পা‌শি হুম‌কির মু‌খে প‌ড়ে‌ছে জীব‌বৈ‌চিত্র্য।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে অবৈধভা‌বে বৈদ‌্যু‌তিক শক দি‌য়ে মাছ শিকা‌রের অভিযো‌গে ৬ জে‌লে‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ‌চিলমারী নৌ বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ উপজেলার বড়ভিটার চর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান চালিয়ে তা‌দের আটক ক‌রে। এ সময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত দুটি বৈদ‌্যু‌তিক শক মেশিন উদ্ধার করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">আটকরা হলেন চিলমারী উপজেলার রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়ারি এলাকার মিলন চন্দ্র দাস (৪১), নয়ন চন্দ্র দাস (৩২), একই ইউনিয়নের ফকিরেরভিটা এলাকার মিলন মিয়া (৩৫) সাদ্দাম হো‌সেন (৩০), শিমুলতলি এলাকার  আবু বকর সিদ্দিক (২৪) ও ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা জেলে পাড়ার এলাকার চন্দন কুমার বিশ্বাস (৩২)।</p> <p style="text-align:justify">চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব সজীব জানান, আটককৃত ৬ জে‌লের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা দা‌য়ে‌রের পর তা‌দের কুড়িগ্রাম জেলহা‌জ‌তে পাঠানো হয়ে‌ছে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় জেলেরা জানান, অবৈধভা‌বে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকারির সংখ্যা দিন দিন বে‌ড়েই যা‌চ্ছে। অল্প সম‌য়ে বে‌শি মা‌ছের আশায় কিছু লো‌ভি জে‌লে বড় বড় ব‌্যা‌টা‌রির মাধ‌্যমে জেনা‌রেটর সি‌স্টেম চালু ক‌রে। এরপর ব্রহ্মপুত্র নদ ও কোলায় তারা লোহার রড ফে‌লে বৈদ্যুতিক শক দেয়। সেখানে প্রায় ১০ ফুট এলাকায় ছোট-বড় মাছ এবং অন‌্য জলজ প্রাণীও মারা যায়। প‌রে তা‌দের তৈ‌রিকৃত বি‌শেষ জাল দি‌য়ে সেসব মাছ তু‌লে আনা হয়।</p> <p style="text-align:justify">চিলমারীর ব‌্যাপারি পাড়ার জে‌লে আমিনুল ইসলাম, হা‌ছেন আলী, মোক্তার হোসেন জানান, প্রায় ৫ বছর ধ‌রে এক শ্রেণির অসাধু জে‌লে চিলমারী উপ‌জেলার ব্রহ্মপুত্র ন‌দে এভা‌বে মাছ নিধন ক‌রে আস‌ছে। শুধু তাই নয় পার্শ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপ‌জেলার কামারজা‌নি, লালচামা, ফুলছ‌ড়ি ও যাত্রাপুর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৫ থে‌কে ২০‌টি নৌকায় এভা‌বে মাছ শিকার ক‌রেন তারা। প্রত্যেকটা নৌকায় চার থে‌কে পাঁচজ‌নের এক‌টি ক‌রে টিম কাজ ক‌রে। অবৈধভাবে মাছ শিকা‌রি‌দের উপযুক্ত শা‌স্তি দা‌বি ক‌রেন তারা।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষ‌য়ে কু‌ড়িগ্রাম জেলা মৎস‌্য কর্মকর্তা মো. মুক্ত‌াদির খান ব‌লেন, বৈদ‌্যু‌তিক শক দি‌য়ে মাছ ধরার বিষয়‌টি প্রকোপ আকার ধারণ ক‌রে‌ছে। তারা রা‌তের অন্ধকা‌রে মাছ শিকার করার ফ‌লে আমা‌দের অভিযান প‌রিচালনা করা সম্ভব হয় না। এজন‌্য সামা‌জিকভা‌বে তা‌দের প্রতিহত কর‌তে হ‌বে ব‌লেও জানান এ কর্মকর্তা।</p>