<p>আয়াতের অর্থ : “হে বনি ইসরায়েল, আমি তোমাদেরকে তোমাদের শত্রুদের থেকে উদ্ধার করেছিলাম এবং তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তুর পর্বতের দক্ষিণ পার্শ্বে। তোমাদের কাছে আমি ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’ পাঠিয়েছিলাম। তোমাদের যা দিয়েছি তা থেকে ভালো বস্তু তোমরা আহার করো এবং এ ক্ষেত্রে তোমরা সীমা লঙ্ঘন কোরো না। এমনটি করলে তোমাদের ওপর আমার ক্রোধ অবধারিত। আর যার ওপর আমার ক্রোধ অবধারিত সে তো ধ্বংস হবে।” (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৮০-৮১)</p> <p>উল্লিখিত আয়াতগুলোতে বনি ইসরায়েলের প্রতি আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেন তারা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে এবং তাঁর নির্দেশ পালন করে।</p> <p> </p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. মহান আল্লাহ বনি ইসরাঈল জাতির ওপর অসংখ্য নিয়ামত দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নিয়ামত হলো ফেরাউনের সৈন্যবাহিনী থেকে মুক্তিলাভ, তুর পর্বতে আল্লাহর বিশেষ প্রতিশ্রুতি এবং মান্না ও সালওয়া নামে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাপনা।</p> <p>২. নিয়ামত লাভের পর কর্তব্য হলো আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া এবং নিয়ামতের প্রতি যত্নবান হওয়া। তাই বনি ইসরাঈল জাতির উচিত ছিল, প্রয়োজন অনুসারে আহারসামগ্রী গ্রহণ করা, তা অপচয় না করা এবং আল্লাহর অবাধ্য না হওয়া।</p> <p>৩. আল্লাহর নিয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হলে তিনি বান্দার প্রতি ক্ষুব্ধ হন। আর যার ওপর ক্রোধান্বিত হয়েছে সে দুনিয়া ও আখিরাতে ধ্বংস হয়েছে। কারণ অবাধ্যদের জন্য তিনি কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।</p> <p>৪. অবশ্য মহান আল্লাহ অসীম ক্ষমার অধিকারী। তাই যে ব্যক্তি শিরক ও কুফর থেকে তাওবা করে, আল্লাহ ও তাঁর নবী-রাসুলদের প্রতি ঈমান আনে, তিনি তার তাওবা কবুল করেন। (তাফসিরে মুনির : ১৬/৬১৪)</p> <p> </p>