<p>রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সোমবার অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমাদেশগুলো ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির কথা বলছে, যাতে তারা কিয়েভকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পুনরায় সজ্জিত করতে পারে।  </p> <p>গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভের পর তিন বছরের এই সংঘাতের জন্য যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে।  </p> <p>এদিন মস্কোয় হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজার্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে লাভরভ বলেন, ‘পশ্চিমারা যুদ্ধবিরতির কথা বলতে শুরু করেছে, যাতে ইউক্রেনকে সময় দেওয়া যায় এবং সুযোগ করে নিয়ে আধুনিক দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে আবার সজ্জিত করা যায়।’  </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘এটি অবশ্যই শান্তির পথ নয়।’  </p> <p>লাভরভ যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ একটি আকস্মিক সফরে কিয়েভে ছিলেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে শোলজ, অতিরিক্ত সহায়তার প্রতিশ্রুতি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/02/1733141480-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে শোলজ, অতিরিক্ত সহায়তার প্রতিশ্রুতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/02/1453080" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত মাসে শোলন প্রথম প্রধান কোনো পশ্চিমা নেতা হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন। সেই আলোচনায় তিনি ক্রেমলিনকে কিয়েভের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসার ব্যাপারে খোলামেলা থাকার আহ্বান জানান। পুতিন অবশ্য প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ইউক্রেনকে ছেড়ে দিতে হবে।</p> <p>অন্যদিকে জেলেনস্কি বারবার সংঘাত চলাকালে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূখণ্ডের বিষয়ে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। তবে তিনি রবিবার বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনার আগে তার দেশের ন্যাটো থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও প্রতিরক্ষার জন্য আরো অস্ত্র প্রয়োজন।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>