<p>আবারও রক্ত ঝরল মাঠে। তবে রাজনীতির মাঠ নয়, ফুটবল মাঠে। একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। </p> <p>ঘটনাটি আফ্রিকার দেশ গিনির এনজেরেকোরের। রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। পরে তা স্টেডিয়ামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মামাদু ওরি বাহ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক  বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে,  সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানানো যাচ্ছে না। স্থানীয় হাসপাতালে বেশ কয়েকটি লাশের সারি ছিল। এবং মর্গটি পূর্ণ ছিল।</p> <p>একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেছেন, ‘রেফারির একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। মাঠে বেশ কয়েকজন সমর্থক ঢুকে পড়েন। তার পরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তা ক্রমেই বড় হয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা এনজেরেকোর থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।’</p> <p>গিনির জুনটা নেতা মামাদি দৌমবৌয়াকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এই ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জোর করে গিনির ক্ষমতা দখল করেছিলেন মামাদি। নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক বিরোধিতায় ক্ষমতা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আগামী বছর মামাদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হলো সংঘর্ষ।</p> <p>এর আগে গিনির ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যাও একটি স্টেডিয়ামে সংঘটিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে রাজধানী কোনাক্রির এক স্টেডিয়ামে বিরোধীদের সমাবেশে সৈন্যরা গুলি চালালে ১৫৬ জন নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং স্টেডিয়ামে চার্জ করায় অনেকেই গুলি, ছুরিকাঘাত, মারধর বা পদদলিত হয়ে পিষ্ট হয়েছিলেন। ধর্ষণের শিকারও হন বহু নারী। ওই ঘটনায় সাবেক সামরিক শাসক মুসা দাদিস কামারাকে সম্প্রতি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিবিসি</p>