<p>দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০২৩ সালে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পরেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন ফারজানা হক পিংকি। এতটাই যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের চার ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি বাংলাদেশি ওপেনার।</p> <p>সেই পিংকিই এবার টানা তিন ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ঘরের মাঠে প্রথমবার কোনো প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত স্বাদ দেওয়ার সিরিজটা নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া পিংকির ইনিংস তিনটি যথাক্রমে ৬১, ৫০ ও ৬১। সবমিলিয়ে ১৭২ রান করার স্বীকৃতিও জুটেছে তার কপালে।</p> <p>ধারাবাহিক নৈপুণ্যের জন্য সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন পিংকি। টানা তিন ফিফটি করতে পেরে দারুণ খুশি হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো। আমার আসলে পরিকল্পনা ছিল, ওভাবেই অনুশীলনে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম; যেহেতু ওয়ানডে খেলে থাকি। আমার জায়গাটাও আমি জানি। আমাকে ওই রকম একটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আমার প্রথম নক থেকেই শুরুটা খুব ভালো ছিল। আমি চেষ্টা করছিলাম যদি আমার প্রথম শুরুটা ভালো হয়, তাহলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টা আমি চেষ্টা করব বড় ইনিংস খেলার।’</p> <p>আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বল জাজ করা কঠিন ছিল বলে জানান পিংকি। তবে ভিডিও দেখে পরে সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন তিনি। বাংলাদেশি ওপেনার বলেছেন, ‘আসলে প্রথম ম্যাচ হিসেবে ওদের সঙ্গে আমার একটু বল জাজ করতে সমস্যা ছিল। পরে ভিডিও দেখে নিজেকে জাজ করে আমার শক্তি অনুযায়ী ক্রিকেটটা খেলেছি দেখেই মনে হয় ফিফটি তিনটা হয়েছে। আমি যাদের সঙ্গে ব্যাট করি সুপ্তা, হ্যাপি (মুর্শিদা) এরা সব সময় আমাকে রিল্যাক্স রাখে। আমাকে বলে যে তুই তোর প্যাটানে থাক, আমরা আমাদের মতো খেলব। সুতরাং এ জিনিসটা শুধু ওদের নয়, আমার ম্যানেজমেন্ট থেকেও এটা আসলে...একটা বড় জায়গা যে তুমি কমফোর্ট থাকো, লম্বা খেলবা।’</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="33" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/ম্যঅচ.jpg" width="1000" /> <figcaption>সিরিজসেরা পিংকির (ডানে) সঙ্গে ম্যাচসেরা সুপ্তা। ছবি : কালের কণ্ঠ, মিরপুর থেকে </figcaption> </figure> </div> <p>অন্যদিকে দেড় বছর পর ওয়ানডেতে ফেরাটা রাঙিয়েছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। সিরিজে সর্বোচ্চ ২১১ রান করেও সিরিজসেরা না হলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। তবে তার প্রত্যাবর্তনটা আরও দুর্দান্ত হতো যদি প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারতেন তিনি। ৯৬ রানে আউট হওয়ায় সেই আক্ষেপ থেকে গেছে তার। তবে পরের সিরিজে সেঞ্চুরির চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>সুপ্তা সেঞ্চুরি করতে না পারায় আক্ষেপে পুড়েছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সতীর্থরা। আক্ষেপের বিষয়টি নিজে স্বীকার করে ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘এ সিরিজে যেটা হয়েছে আমি যেটা মিস করেছি সেটা নিয়ে পরিবার থেকে শুরু করে, বন্ধু সবাই আক্ষেপ করেছে। টিমমেটরাও আক্ষেপ করেছে। আজকে যদি বলেন সুযোগ, দলের জন্য...রান কম ছিল। জানি না হতো কি না। কিন্তু চেষ্টা করেছি, হয়নি। পরের সিরিজে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব।’</p>