<p>লিভারপুলের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়নস লিগের হেরে যাওয়া ম্যাচে এমন মিস করায় সমর্থকদের ‘কাঠগড়ায়’ দাঁড়িয়েছিলেন ফরাসি তারকা। তার শাস্তি হিসেবে যেন আজ পেনাল্টি কিকের ‘অধিকারই’ কেড়ে নেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি!</p> <p>সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন জুড বেলিংহাম। এমবাপ্পের বদলে স্পটকিক নেওয়ার <br /> সুযোগ পেয়ে হেতাফের গোলরক্ষককে কি ধোঁকাটাই না দিলেন ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৩০ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টিটা নিলেন পানেনকা কিকে। গোলরক্ষক ডেভিড সুরিয়া ডান দিকে পড়ে গিয়ে বেলিংহামের ধীর গতির শটকে জালে জড়াতে দেখলেন।</p> <p>পেনাল্টি কিক নেওয়ার ক্ষমতা হারালেও ঠিকই দ্রুত গোল পেয়েছেন এমবাপ্পে। সতীর্থের গোল উদযাপন শেষ হওয়ার ৮ মিনিটের মাথায় দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রান্সের অধিনায়ক। ৩৮ মিনিটে বেলিংহামের দারুণ পাসকে নিঁখুতভাবে জালে জড়িয়েছেন তিনি। বাঁ প্রান্তের বক্সের কাছাকাছি থেকে ধনুকের মতো বাঁকানো শটে গোল করেন এমবাপ্পে। এতে করে রিয়াল প্রথমার্ধ শেষ করে ২-০ ব্যবধানে।</p> <p>বিরতির পর আরেকটি পেনাল্টির আবেদন করেছিল রিয়াল। তবে ভিএআরের সহায়তায় রেফারি জানিয়ে দেন পেনাল্টি হয়নি। ৭২ মিনিটে জোড়ালো এক শট নিয়েছিলেন ফেদে ভালভার্দে। কিন্তু তার শট দারুণ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন হেতাফের গোলরক্ষক সুরিয়া। তবে ২ মিনিট পরেই এমবাপ্পে যে মিসটা করলেন তার কোনো ব্যাখ্যাই হয় না। গোলরক্ষককে ড্রিবলিংয়ে বোকা বানিয়েও খালি পোস্টে বল জড়াতে পারলেন না তিনি। ৭৭ মিনিটে আবার তারই নেওয়া একটা শট সামনে এসে দুর্দান্তভাবে রুখে দেন হেতাফের গোলরক্ষক।<br />   <br /> ৮৪ মিনিটে ব্যবধান কমানো সুযোগ পেয়েছিল হেতাফে। কিন্তু ভাগ্য তাদের সঙ্গ দেয়নি। বদলি নামা জন প্যাট্রিকের শট বারে লেগে ফিরে আসে। এর আগেও ৫৬ মিনিটে হেতাফের একটি শট পোস্টে লাগে। অন্যদিকে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে আরেকবার সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন এমবাপ্পে। প্রতিপক্ষের বক্সে আর্দা গুলারের পাসটি যখন পেলেন তখন তার সামনে শুধু গোলরক্ষক ছিলেন। কিন্তু প্রায় ৮ গজ দূরত্ব থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন রিয়াল স্ট্রাইকার। সে যাই হোক শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে জয়ে ফিরল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।</p>