<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন খাতে ভ্যাট কমতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, চাপের মুখে এ সিদ্ধান্ত থেকে আংশিক সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি অর্থবছরের মাঝপথে হঠাৎ করে অর্ধশতাধিক পণ্য ও সেবার বিপরীতে ভ্যাট বাড়িয়েছে এনবিআর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক খাতে স্বস্তির প্রত্যাশা করলেও অস্বস্তি ক্রমে বাড়ছে। এর মধ্যে ভ্যাট বাড়ানোয় তা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত থেকে আংশিক সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনবিআর সূত্র জানায়, বিভিন্ন পণ্য ও সেবার বিপরীতে ভ্যাট বাড়ানো হলেও এখন ভ্যাট হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত ওষুধ, রেস্তোরাঁ ও মোবাইল খাতের ওপর বাড়তি করের খড়্গ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের ভ্যাট ইস্যুতে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আলোচনা শেষে অর্থ উপদেষ্টা ওষুধ, রেস্তোরাঁ ও মোবাইল খাতের ওপর দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাট কমাতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে এক অধ্যাদেশ জারি করে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট হার ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল। রেস্তোরাঁ ব্যবসায় এক লাফে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয় ভ্যাট। মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করায় এর প্রভাব পড়েছিল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, আইএমএফের চাপ ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে অনেক পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছিল। তবে এখন জনগণের তোপের মুখে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>