<p>মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ৮৫ বাংলাদেশি আজ রবিবার কক্সবাজারে ফিরছেন। আবার একই সময়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ১২০ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য ফিরে যাচ্ছেন মিয়ানমারে।</p> <p>মিয়ানমারের রাখাইনের সিতওয়ে বন্দর থেকে গতকাল শনিবার কক্সবাজারের উদ্দেশে ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক রওনা দিয়েছেন। আজ সকালে তাঁদের কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ায় নৌঘাটে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, এবারও আগে তিন দফায় অনুষ্ঠিত প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার মতো হবে। ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি দুপুরের মধ্যে ১২০ বিজিপি ও সেনা সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. রাহাত বিন কুতুব উপস্থিত থাকবেন।</p> <p>মায়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে, গতকাল মায়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে এটি কক্সবাজারে পৌঁছবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রত্যাগত ৮৫ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মায়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, তিনজন চকমারউ কারাগারে এবং অন্যরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার বাসিন্দা।</p> <p>ইয়াংগুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় এ নিয়ে গত ১৫ মাসে ৩৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।</p> <p>এর আগে গত ৯ জুন ৪৫ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে দেশে ফেরেন। ওই দিন মায়ানমারে ফেরত যান ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য। ২৫ এপ্রিল মায়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। আর ওই দিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং কাস্টমস কর্মকর্তাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।</p>