<p>সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত প্রবীণ সাংবাদিক একরামুল কবির এখনও হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথার খুলি আপাতত আলাদা রাখা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময় পার হলে তা পুনঃস্থাপন করা হবে। একরামুল কবিরের পরিবার উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন। তিনি দৈনিক আমার সংবাদ-এর খুলনা ব্যুরো প্রধান।</p> <p>পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১১ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের নিজ বাড়িতে একরামুল কবির হামলার শিকার হন। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার স্ত্রী দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও তারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।</p> <p>মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১১ নভেম্বর দুপুর ১১টার দিকে দৌলতপুরের দেয়ানা এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকাকালীন একরামুল কবির জমি দখলবাজ চক্রের হামলার শিকার হন। প্রথমে তারা চলে গেলেও দুপুর ২টার দিকে পুনরায় ফিরে এসে মোবাইলে ফোন করে বাইরে ডেকে নেয়। তিনি বের হতেই তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলেও পরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি পুনরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।</p> <p>এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী জানান, এজাহারভুক্ত দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।</p>