<p>রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা রেল সেতুটি উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলমান। আগামী জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। </p> <p>শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনের ভবন ও প্লাটফর্ম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।</p> <p>নতুন ট্রেন সংযুক্ত করার আশ্বাস দিয়ে ফাহিমুল ইসলাম আরো বলেন, যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে কম গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও রেল সেতু দিয়ে ট্রেন তার পূর্ণ গতিতে যেতে পারবে। রেল সেতুটি যেমন জাইকার সহায়তায় বাস্তবায়ন হয়েছে ঠিক তেমনি আরো বেশ কিছু প্রকল্প জাইকার সহায়তায় করা হবে। সেই প্রকল্পগুলোর আওতায় জনগণের সুবিধার জন্য টাঙ্গাইল-গাজীপুর রেল সড়কটি ডাবল লেনে করা হবে। এ সময় প্রকল্পের মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন সচিব।</p> <p>এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন, যমুনা রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম প্রমুখ।</p> <p>সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের মূল সেতুর অবকাঠামোর কাজ শেষ। রেলসেতুতে যুক্ত হয়েছে যমুনা নদীর দুই তীর, সেতু আজ দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু দিয়ে বর্তমানে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে প্রতিদিন ৩৯টি ট্রেন পারাপার হয়। এতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। তবে রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহণের সুবিধা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রুটে সহজে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ, সার্ক, বিমসটেক, সাসেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেলওয়ে রুট এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলপথ নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেতুটি।</p> <p>২০২০ সালে যমুনা নদীর ওপর এবং বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে টাঙ্গাইল অংশের ভূঞাপুর উপজেলা ও সিরাজগঞ্জের অংশে পৃথক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ সেতুর দেশীয় অর্থায়ন ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা যা প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ। মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানি কম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্টভেঞ্চার। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবাইশি করপোরেশন, জেএফই ও টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। </p>