ধর্মীয় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে বিভাজন আমরা মানি না : জামায়াত আমির

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধর্মীয় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে বিভাজন আমরা মানি না : জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে বিভাজন আমরা মানি না। এ দেশের যারা নাগরিক তারা সবাই সমমর্যাদাবান গর্বিত নাগরিক। মর্যাদার ভিত্তিতে আমরা সকলেই সমান, নাগরিক অধিকারের ভিত্তিতে আমরা সকলেই সমান।’

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা কোনো দুষ্কৃতকারীকে এ দেশে কোনো মতলব হাসিল করতে দেব না। আমাদের দেশে কোনো মেজরিটি, মাইনরিটি নেই। এ দেশের সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।

একদল দুষ্টু চক্র জাতিকে টুকরা টুকরা করার জন্য, জাতিকে ভাগ করার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত আছে৷ কিন্তু জনগণ তাদের ফাঁদে আর পা দেবে না। জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই এক। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা একটা শান্তিপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে শফিকুর রহমান বলেন, “ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক খাত লুটেপুটে শেষ করে দিয়ে দেশের মানুষের গচ্ছিত আমানত সব কিছু গিলে ফেলে নিজেরা পালানোর আগে সব কিছু বিদেশে পাচার করেছে।

পালায় কারা? সন্ত্রাসী-অপরাধীরা। যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা পালায় না। গালভরা বুলি দিয়েছিলেন সেই চোর-ডাকাতের লিডার, ‘আমি অমুকের মেয়ে, আমি পালাব না’।”

জামায়াতের আমির আরো বলেন, ‘তিনি যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা আমাদের প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই।

আমাদেরকে আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন।’

কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের শূন্যরেখা সীমান্ত সংলগ্ন ভাজাবুনিয়া গ্রামের চিতারখূমে এই ঘটনা ঘটে।

আহত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (২০), ঘুমধুম ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল কবিরের ছেলে। গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল। পুলিশের এই পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জানান, আহত যুবক বর্তমানে চিকিৎসাধীন, তার বাম পায়ে দুটি গুলি লেগেছে। 

আহতের পরিবার বলছে, জাহাঙ্গীর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চাষাবাদের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন।

তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, যে এলাকায় জাহাঙ্গীর আহত হয়েছেন সেখানে সীমান্তের চোরাকারবারিদের আনাগোনা আছে।

অন্যদিকে মায়ানমার অংশের পুরো সীমান্ত এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে আসছে রাখাইনে জান্তার সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে থাকা জান্তার অধীনস্থ মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের দুটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট দখল করে।

এ ছাড়াও সীমান্তের মায়ানমার অংশে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্যও পাওয়া যায়। কাদের ছোঁড়া গুলিতে ওই যুবক আহত হয়েছে সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মন্তব্য

হেলিকপ্টারে পালানোর মতো লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই : ফজলুল হক মিলন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
হেলিকপ্টারে পালানোর মতো লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই : ফজলুল হক মিলন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলন বলেছেন, আমরা বলেছিলাম, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা তা করলেন না। সর্বশেষ ২৪ সালে যে নির্বাচন করল, তারা ভেবেছিল, এই নির্বাচনে ৫/৬ বছর ক্ষমতায় থাকবে।

কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেল, এর চেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় বাঘুন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় পবিত্র মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিলন এসব কথা বলেন।

কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক নয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মাষ্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান লাভলু, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাঠান মিঠু, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, জামালপুর কলেজের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন মোল্লাসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

মন্তব্য
কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ

পদ্মায় বালু লুটের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পদ্মায় বালু লুটের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটের ঘটনায় কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত। শুক্রবার (২১ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমলযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরেও মামলা না করায় আদালত এই আদেশ দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে সংবাদে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে রাত গভীর হওয়ার সঙ্গেই শুরু হয় বালু লুটের মহোৎসব। প্রায় ৪ থেকে ৫টি কাটার দিয়ে চলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ। এতে বিপাকে মেঘুলা, নারিশা ও মুকসুদপুর এলাকার বেড়িবাঁধ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব কাটার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ভিটে বাড়ি হারিয়েছে পদ্মাপারের অন্তত দুই শ পরিবার।

মন্তব্য

ঠাকুরগাঁওয়ে নারীর শরীরে স্পর্শ, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে নারীর শরীরে স্পর্শ, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীর শরীরে স্পর্শ করায় জহিরুল হক (৪৮) নামে ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক জহিরুল হক কচুবাড়ি কৃষ্টপুর এলাকার ধিহান আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ইফতারের পর ঈদের কেনাকাটা করতে বাজারে আসেন তিনিসহ আরেকজন।

পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কাপড়ের মার্কেটে যাওয়ার পথে ওই ব্যক্তি হঠাৎ করে তাদের পিছু নেন এবং সুযোগ বুঝে তার শরীরে স্পর্শ করেন। এসময় তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহীদুর রহমান জানান, আটক ব্যক্তি থানা হেফাজতে আছে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ