নবাবগঞ্জের নিখোঁজ বিএনপি নেতা উদ্ধার হলেন খুলনা থেকে

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
নবাবগঞ্জের নিখোঁজ বিএনপি নেতা উদ্ধার হলেন খুলনা থেকে
আজাদুল হাই পান্নু। সংগৃহীত ছবি

প্রায় আড়াই মাস নিখোঁজ থাকার পর ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল হাই পান্নুকে খুলনা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামানের নির্দেশনায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনা শহর থেকে নিখোঁজ পান্নুকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন

রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তার

রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তার

 

মো. আশরাফুল আলম জানান, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে অভিমান করে আত্মগোপনে ছিলেন আজাদুল হাই পান্নু। উদ্ধারের পর তাকে পরিবারের ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ ও ভাল আছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।'

আরো পড়ুন

শেকৃবিতে ছাত্রদলের গণ সেহরি

শেকৃবিতে ছাত্রদলের গণসাহরি

 

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি বাসা থেকে বের হন বিএনপির এ নেতা।

তার মোবাইল বন্ধ থাকায় ১০ জানুয়ারি তার ছেলে বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। এরপরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ১৫ মার্চ এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আরো পড়ুন

বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলা, রিমান্ডে নাট্য ব্যক্তিত্ব এহসানুল বাবু

বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলা, রিমান্ডে নাট্য ব্যক্তিত্ব এহসানুল বাবু

 

বিএনপি নেতা আজাদুল ইসলাম হাই পান্নুকে অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানান দলটির মহাসচিব।

বুধবার একই দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতারা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
বিএনপিতে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতারা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাত্র দুইদিন আগেও যখন যুবদলের সদস্য সচিব আবু কাউছারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়, ঠিক তখনই 'বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই এবং ভবিষ্যতে চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না' বলে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বক্তব্য দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট এম এ মান্নান।

আরো পড়ুন
ভারতের দেওয়া তথ্য শেখ হাসিনা উপেক্ষা করেছিলেন : জয়শঙ্কর

ভারতের দেওয়া তথ্য শেখ হাসিনা উপেক্ষা করেছিলেন : জয়শঙ্কর

 

শনিবার (২২ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, 'বিএনপিতে যদি কোনো চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসীর খবর আপনারা খুঁজে পান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন। আমি তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে সাংগঠনিকভাবে সেইসব চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ইনশাল্লাহ।

'

আরো পড়ুন
গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

 

পরে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে সওজের যাত্রী ছাউনী দখল করে সেখানে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু কাউছারের চাঁদাবাজি নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, সে বিষযে তাঁর দৃষ্টি আনলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করা হচ্ছে, সত্যতা পেলে প্রযোজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তবে সাংবাদিকদের সব সংবাদে ইদানিং সঠিক তথ্য থাকে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুন
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু

ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা আবু কাউছার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাঙ্গরা বাজারে যাত্রী ছাউনী নিয়ে আমার বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির অভিযোগের কেও প্রমাণ দিতে পারলে, রাজনীতি নিজে থেকেই ছেড়ে দেব।

এসব সস্পূর্ণ অপপ্রচার। মূলত রাজনৈতিকভাবে আমাকে ঘায়েল করতে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার করেছে। আমি এসব মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'

শনিবারের ইফতার মাহফিলে জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল করিম।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদুল হক মাসুদসহ জেলা এবং উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে এক পর্যায়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হাজী কবির আহমেদ ভূঁইয়া। এ সময় নবীনগর উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ছাড়াও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য
অভয়নগর

গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
নিহত আবু বক্কার আলী ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল। ছবি : কালের কণ্ঠ

যশোরের অভয়নগরে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবু বক্কার আলী (১৮) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার সঙ্গী অহিদুজ্জামান রাতুল (১৯) নামে একজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামে সামাদের ভাটার সামনে সিংগাড়ী-শুভরাড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত আবু বক্কার আলী শুভরাড়া ইউনিয়নের লেবুগাতী গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।

সে ওই ইউনিয়নের পল্লী মঙ্গল আদর্শ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। আহত অহিদুজ্জামান রাতুল একই গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখের ছেলে।

আরো পড়ুন
সিলেটে বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে এনসিপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোল

সিলেটে বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে এনসিপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোল

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি মোটরাইকেল সামাদের ভাটার মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছে আঘাত করে। এতে মোটরসাইকেলর চালক ও আরোহী দুই যুবক গুরুতর আহত হয়।

মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহতকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান বলেন, 'ঈদের কেনাকাটা করতে আবু বক্কার তার বন্ধু রাতুলেকে সঙ্গে নিয়ে বাঘুটিয়া বাজারে গিয়েছিল।

রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।'

আরো পড়ুন
চার মাটি ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা

চার মাটি ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মশিয়ার রহমান বলেন, 'মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত দুজনের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত অপরজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।'

আরো পড়ুন
কবিরাজ

কবিরাজ

 


 
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত যুবকের সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। বাদবাকি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’ 

মন্তব্য

সিলেটে বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে এনসিপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোল

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
সিলেটে বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে এনসিপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোল
ছবি : কালের কণ্ঠ

সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার মাহফিলে হট্টগোল হয়েছে। বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইফতার মাহফিলে এ হট্টগোল হয়। শনিবার (২২ মার্চ) সিলেট নগরের আমানউল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের নিয়ে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ইফতারের ছয়-সাত মিনিট আগে যখন হট্টগোল শুরু হয় তখন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ট যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। বক্তব্যের মাঝামাঝি সময়ে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। 

নাম প্রকাশ না করে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ মঞ্চে বক্তব্য দিতে চাইলে এই হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এ সময় হট্টগোলের ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে বাধা দেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের অনেকে ইফতারে অংশ না নিয়েই বেরিয়ে যান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এবং সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর।

এনসিপির পক্ষে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, অনিক রায়, অর্পিতা শ্যামা দেব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

হট্টগোল নিয়ে এনসিপির বক্তব্য

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সিলেট জেলার গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত এনসিপির সমর্থকরা, ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে সিলেট জেলায় একটি সফল ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের নাম করে কিছু উচ্ছৃঙ্খল দুষ্কৃতকারী এনসিপি সিলেট জেলা কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র ইফতারে হট্টগোল করার চেষ্টা করে, এতে কিছু সম্মানিত সাংবাদিকের সঙ্গেও অপমানজনক আচরণ করে, এনসিপি সিলেট জেলার পক্ষ থেকে এহেন অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে জুলাই বিপ্লবকে কুক্ষিগত করে কোনো চাঁদাবাজ, বিশৃঙ্খলাকারী বা সুযোগসন্ধানীকে এনসিপিতে সুযোগ দেওয়া হবে না।’

মন্তব্য
মির্জাপুর

চার মাটি ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
চার মাটি ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা
সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের পলাশতলী, ভলুয়া ও বেলতৈল এলাকায় লাল মাটি কাটার অপরাধে চার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে রাত ২টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম, পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের মাটি কাটার বিভিন্ন স্পটে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা এই অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, এ উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের পলাশতলী, ভলুয়া, বেলতৈল এলাকায় রাজিব শিকদার, আহাদ হোসেন, সরোয়ার হোসেন ও হৃদয় হোসেন ভেকু মেশিন দিয়ে লাল মাটি কেটে ভারী ড্রাম ট্রাকে ইটভাটায় বিক্রি করছিলেন।

 

খবর পেয়ে শনিবার বিকেল থেকে রাত ২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান আজগানা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় অবৈধভাবে পাহাড়ি এলাকার লাল মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধে চার ব্যবসায়ীকে আটক করেন তারা। পরে রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রাজীব শিকদারকে পাঁচ লাখ, আহাদ হোসেনকে দুই লাখ, সরোয়ার হোসেনকে দুই লাখ ও হৃদয় হোসেনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন বিচারক।

অভিযানে মির্জাপুর থানা ও আনসার সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মাসুদুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম এবং তিনি মির্জাপুর থানা পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কয়েকটি মাটি কাটার স্পটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। 

এ সময় লাল মাটি কাটার অপরাধে চার ব্যবসায়ীকে আটক করেন তারা। পরে তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ