পারিবারিক ধর্ষণের শিকার দেশের শতকতার ৮৫ ভাগ শিশু। ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য সমাজের প্রতিটি মানুষকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা উচিত।
একইসঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের ধর্মীয় চর্চাও বাড়ানো উচিত।
মাগুরার শিশু আছিয়ার কথা তুলে তারা বলেন, আর যেন কোন আছিয়াকে আমাদের আবিষ্কার করতে না হয়। সেজন্য সকলকেই সজাগ থাকতে হবে। ধর্ষিতার পরিচয় নয়, বরং ধর্ষকদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য মিডিয়ার ভূমিকা রাখা উচিত।
একইসঙ্গে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই শিশু সুরক্ষা সম্ভব বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, এক সময় পারিবারিক বন্ধন ও একক পরিবার ছিল। তখন শিশুরাও পরিবারে নিরাপদ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে মোবাইল আসক্ত হওয়ার পাশাপাশি পর্ণগ্রাফি সহজ হওয়ায় শিশুর যৌন নির্যাতন যেমন বেড়েছে তেমনি মাদকাসক্তও বেড়েছে।
এজন্য বক্তারা দেশে আইন করে পর্নগ্রাফির সাইডগুলো বন্ধ করার প্রস্তাব দেন। সেইসঙ্গে ১৮ বছরের কোন শিশুর হাতে স্মার্ট ফোন না দেওয়ার পরামর্শ দেন।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, মাদকাসক্ত থেকে আমাদের সন্তানদের দূরে রাখাসহ সকল প্রকার সামাজিক ব্যাধি থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
জেজেএসর নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের(কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুরাইয়া সিদ্দিকা, খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল হক ও জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন।