রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
শেয়ার
রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

রোজায় শরীরের পানিশূন্যতা এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে চোখের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি দুর্বল লাগা বা ক্লান্তি অনুভব করা। তাই রোজায় চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। রোজায় চোখের যত্নে কী করবেন, তা নিয়েই আজকের আয়োজন।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, যাতে শরীর ও চোখ আর্দ্র থাকে। পানিশূন্যতা থাকলে চোখ শুষ্ক ও ক্লান্ত লাগতে পারে।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

পুষ্টিকর খাবার খান: ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার খান, বিশেষ করে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা চোখের জন্য উপকারী। গাজর, শাক-সবজি, টমেটো, বাদাম, ডিম, দুধ, মাছ, খেজুর ও ফলমূল বেশি পরিমাণে খান।

চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখুন: চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে কৃত্রিম চোখের পানি (আই ড্রপ) ব্যবহার করুন। রোজায় অনেকের চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। চোখের শুষ্কতা দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

চোখ বারবার রগড়ানো এড়িয়ে চলুন: চোখ বারবার রগড়ানো এড়িয়ে চলুন, এতে চোখের সংক্রমণ হতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: তারাবি নামাজ বা সাহরির কারণে ঘুমের ঘাটতি হলে চোখ লাল বা ফুলে যেতে পারে। প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

স্ক্রিনের ব্যবহার কমান: দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের ক্লান্তি বেড়ে যায়। স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সময় প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ড বিরতি নিন এবং ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকান (২০-২০-২০ নিয়ম)।

সরাসরি সূর্যালোক থেকে চোখ রক্ষা করুন: বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন, যাতে রোদ ও ধুলোবালি থেকে চোখ সুরক্ষিত থাকে।

অতিরিক্ত চা-কফি এড়িয়ে চলুন: ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় (চা, কফি, সোডা) বেশি পান করলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চোখে আরামদায়ক ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন: দিনে ২-৩ বার ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে চোখ সতেজ থাকবে এবং ক্লান্তি দূর হবে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

ধুলাবালি ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন: রোজায় বাইরে চলাফেরার সময় ধুলাবালি থেকে বাঁচতে সানগ্লাস বা চশমা পরুন।
ধোঁয়া বা দূষিত পরিবেশে কম থাকার চেষ্টা করুন, কারণ এটি চোখের অ্যালার্জি বা শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

যদি চোখ বেশি লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয় বা ঝাপসা দেখেন, তাহলে দেরি না করে চোখের ডাক্তার দেখান।

 

kkচক্ষু বিশেষজ্ঞ সার্জন 
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লিভারের ক্ষতি করে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
লিভারের ক্ষতি করে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

মানবদেহের জন্য লিভার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে সেগুলো লিভারের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি খাবারগুলো আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলো কী কী।

মদ
প্রচুর পরিমাণে মদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মদ লিভারের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া মদ ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই আগেই সতর্ক হয়ে যান।

ভাজা খাবার
প্রতিদিন তেলে ভাজা খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমে। পরবর্তী সময়ে লিভারে চর্বি জমে যায়, যা ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে। এটি পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা সৃষ্টি করে লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ফাস্ট ফুড, কনফেকশনারি ও অতিরিক্ত লবণ বা চিনি জাতীয় খাবার লিভারের ওপর চাপ তৈরি করে।

এই খাবারগুলো পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

কোল্ডড্রিংকস
প্রচুর পরিমাণে চিনি ও সোডা খাওয়া লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে লিভারে চর্বি জমতে পারে। কোল্ডড্রিংকস বা সোডা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি লিভারের বড় ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

লবণ
অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এটি লিভারের সমস্যা তৈরি করে এবং পেটে পানি জমে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। 

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

জিভের ধরন বলে দেবে রোগের লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জিভের ধরন বলে দেবে রোগের লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

জিভ ছাড়া কোনো কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা অসম্ভব। জিভ না থাকলে আমাদের খাওয়ার ৮০ শতাংশ মজাই নষ্ট হয়ে যেত। কেবল স্বাদ গ্রহণের জন্যই কিন্তু নয়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জিভ দেখেই কিন্তু বলে দেওয়া যাবে শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধছে। সেই কারণেই আমরা কোনো কারণে ডাক্তারের কাছে গেলেই দেখবেন প্রথমেই জিভ দেখাতে বলেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুখে। মুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে জিভে। তাই, সুস্থ থাকতে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

নোংরা জিভ পেট খারাপের কারণ হতে পারে।

যদি আপনার জিভের রং কালো হয় এবং তাতে সাদা দাগ থাকে, তাহলে এটি আপনার পাচনতন্ত্রের বেহাল দশাকেই নির্দেশ করে।

আরো পড়ুন
খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

 

যদি জিভ খুব নরম হয়, তাহলে তা শরীরে আয়রনের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। এমনকি রক্তাল্পতার শিকার হতে পারেন আপনি। আবার ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও জিভের হাল খারাপ হতে পারে।

প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন জাতীয় খাবার দাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।

খেয়াল করে দেখবেন অনেকের জিভে ফাটল থাকে। এটি কিন্তু মোটে ভালো লক্ষণ নয়। কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা যায়। এমন কিছু দেখলে একে অবহেলা করবেন না।

মুখের স্বাস্থ্যবিধির জন্য জিভ পরিষ্কার করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া জিভে বাস করে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াসমূহ মুখে বাসা বাঁধতে পারে না।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

গরমে হার্ট ভালো রাখতে ৫ টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে হার্ট ভালো রাখতে ৫ টিপস
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো হার্ট। তাই হার্ট ভালো রাখা জরুরি। আর হার্ট সুস্থ থাকলে আপনিও সুস্থ থাকবেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের খেয়াল রাখা বাড়িয়ে দিতে হবে।

কারণ এ সময় ধীরে ধীরে হার্ট কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে।

বর্তমান সময়ে কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। প্রবল গরমে জীবন একেবারে নাজেহাল। চড়া রোদে মানুষের অবস্থা খারাপ।

যখন তখন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তীব্র গরমের ফলে অজান্তেই বাড়তে পারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও। বিপদের সামনে এসে দাঁড়াতে পারে যখন-তখন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনো আগাম সংকেত ছাড়াই আসে।

হৃদ্‌স্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

শীতকালে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমেও যখন-তখন হানা দিতে পারে হৃদ্‌রোগ। হিট স্ট্রোকের ফলে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যেতে পারে। আর তখনই ঘটতে পারে বিপত্তি।

কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়তে থাকা মানসিক চাপ এবং চাপা উদ্বেগও হৃদ্‌রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে।

ধমনি ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদ‌্‌যন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদ্‌যন্ত্রের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমের দিনে সামান্য কিছু খেলেই হজম করতে বেশ অসুবিধা হয়। বদহজম হলে হার্টের ওপর তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।

আরো পড়ুন
কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

 

গরমে কিভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াবেন

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শরীরের তাপমাত্রা যত স্বাভাবিক থাকবে, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।
  • গরমে যত হালকা খাবার খাবেন, ততই হার্টের জন্য ভালো। 
  • শাক-সবজি, বাদাম, ফল বেশি করে খান। এতে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
  • গরমে ক্লান্ত লাগলেও শরীরচর্চা বাদ দেবেন না। ভারী শরীরচর্চা না করলেও সন্ধ্যার পর হাঁটাহাঁটি করুন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেও কমানো যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। 
  • ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের মতো ক্রনিক অসুখ ডেকে আনতেই পারে। আর এসব শারীরিক অবস্থা হার্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুন
রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেই সর্বদা ক্লান্ত ও নিস্তেজ থাকেন। তারা যতই খান না কেন, তাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না। এর পেছনে ছোটখাটো কিছু বিষয় থাকতে পারে। এগুলো অবহেলা করা উচিত নয়।

কখনো কখনো এটি একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও ঘটতে পারে। বিশেষত রক্তাল্পতা আপনাকে সর্বদা ক্লান্ত ও ক্লান্ত বোধ করাতে পারে।

বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বাধা পেলে এই সমস্যা দেখা দেয়।

তাৎক্ষণিকভাবে তা শনাক্ত করা না গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

অ্যানিমিয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা খুবই জরুরি। তবেই আপনি সময়মতো চিকিৎসা পেতে পারেন এবং আরো গুরুতর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন, লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

আরো পড়ুন
খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

 

চুল পড়া

রক্তাল্পতা চুল ও নখে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। চুল পড়া বেড়ে যায়, নখ দুর্বল হয়ে যায় এবং সহজেই ভেঙে যায়। কেউ কেউ নখের গায়ে দাগ দেখতে পান। চুল পাতলা হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়রনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণেই এমন হয়।

প্রতিদিন ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে রক্তাল্পতা থাকলে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, আয়রনের ঘাটতির কারণে চুলের ফলিকল শক্তি হারায়, চুল পড়ে যাওয়ার মাত্রা বাড়ে।

শ্বাস নিতে না পারা

রক্তে লোহিত রক্তকণিকা কম থাকলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো অক্সিজেন পায় না। এ কারণে আপনি সাধারণত হাঁটা বা কাজ করার সময় দমবন্ধ বোধ করেন। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

অনেকের সিঁড়ি বেয়ে উঠলেও বা কিছুটা দ্রুত হাঁটলেও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এই উপসর্গ প্রতিদিন বাড়লে অ্যানিমিয়া সন্দেহ করা হয়। অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গেলে হৃৎপিণ্ড আরো বেশি কাজ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর সমস্যা নিয়ে আসবে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

পিরিয়ডের সমস্যা

নারীদের রক্তাল্পতা পিরিয়ড চক্রকে প্রভাবিত করে। রক্তপাত বাড়তে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। অথবা নিয়মিত না-ও আসতে পারে। যদি খুব বেশি রক্তক্ষয় হয়, তবে আয়রনের মাত্রা আরো হ্রাস পাবে এবং ক্লান্তি ও মাথা ঘোরা বৃদ্ধি পাবে।

কিছু ক্ষেত্রে কম আয়রন হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে। এর ফলে পিরিয়ড ধীর হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে, শক্তির স্তর, ফোকাস ও প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়বে। গবেষণা অনুসারে, নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশ রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত।

আরো পড়ুন
কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

 

স্বাদে পরিবর্তন

রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জিহ্বায় সমস্যা দেখা যায়। জিহ্বা জ্বলতে ও মসৃণ বোধ করতে শুরু করে। একে এট্রফিক গ্লসাইটিস বলা হয়। ফলে আপনি স্বাদ জানেন না এবং অনুভব করেন যে আপনি যা-ই খান না কেন, স্বাদ পরিবর্তিত হয়েছে।

কিছু লোক বরফ ও কাদা খেতে চায়। এই লক্ষণগুলো দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। পরিস্থিতি তখনই আসে যখন আপনি যে খাবার খান তা উপভোগ করতে পারেন না। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

ডায়েট টিপস

ঘরে রক্তশূন্যতা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। মাংস, ডিম, শাক-সবজি, মটরশুঁটি, সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, মসুর ডাল, শুকনো ফল ইত্যাদি খুব উপকারী। আয়রন সুরক্ষিত সিরিয়ালগুলোও একটি ভালো বিকল্প। এসব খাবারের সঙ্গে আয়রন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে।

আরো পড়ুন
রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

 

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিভাবে নেবেন তা ঠিক করুন। লেবু ও কমলালেবুতে ভিটামিন সি বেশি থাকলে আয়রন শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। প্রতিদিন এই ডায়েট মেনে চললে রক্তাস্বল্পতা দূর হবে।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ