আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রয়োজনীয় প্রার্থী দেবে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’। দলটির প্রার্থী হতে অবশ্যই তাঁকে সৎ, দক্ষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক হতে হবে। দেশের বিরাজমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ১৫ দিনের কৌশলও দিয়েছে দলটি। দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করবে জনতার দল।
গতকাল মঙ্গলবার রাজনৈতিক এ দলটির প্রধান কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর বনানীর ৮ নম্বর রোডে জনতার দলের প্রধান কার্যালয় হিসেবে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করল দলটি। এদিন দলের সদস্যসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ আজম খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনতার দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান ও অন্যরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল বলেন, ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেশে পেশাজীবীদের সুস্থ ও সুন্দর দল হিসেবে কাজ করবে জনতার দল। আমরা ঈদের পরই দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করব। আমাদের লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। প্রতিটি নির্বাচনে গড়পড়তা কোনো প্রার্থী থাকবে না।
সৎ, দক্ষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক মানুষ হবে আমাদের দলের প্রার্থী। আমরা রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলব, দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের দলের রেজিস্ট্রেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব শর্ত মেনেই আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করব। আমাদের সঙ্গে সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে একটা ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশের সব ধরনের পেশাজীবী আমাদের জনতার দলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে ইতিবাচক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা হোক—এই দৃঢ় আশা নিয়ে আমি এই দলের দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী কাজ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসসহ নানা বিষয়ে আমরা পরিবর্তন আনব। ঈদের পর সাধারণ মানুষের যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশের চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দল থেকে এরই মধ্যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। সশস্ত্রবাহিনীকে সঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সেটি করা গেলে ১৫ দিনের মধ্যেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
জনতার দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান দলটি গঠনের প্রেক্ষাপট ও এই দলে কারা আছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘ইনসাফ জিন্দাবাদ’। আমাদের দলের মূলনীতি সাম্য, ন্যায্যতা ও প্রগতি।
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জনতার দলের যাত্রা শুরু হয়েছে। গত ২০ মার্চ রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটি যাত্রা শুরু করে।