<p>চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজে আলোচিত ৭ খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আকাশ মন্ডল প্রকাশ ইরফান। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে অভিযুক্ত ইরফানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।</p> <p>এ সময় আসামি আদালতকে বলেন, চেতনানাশক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আটজনকে হত্যার উদ্যোগ নেন ইরফান। এর মধ্যে জুয়েল নামের একজন বেঁচে যান। বেতনভাতাসহ বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য জাহাজের মাস্টার কিবরিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ইরফান । তাই প্রথমে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। তবে ঘটনাটি অন্যরা দেখে ফেলায় তাদেরকেও হত্যা করেন ওই যুবক।</p> <p>২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা কার্গো জাহাজ এমভি আল বাখেরায় ৭ খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক মো. কালাম খান বাদী হয়ে প্রথমে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু ওই সময় র‍্যাব অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে আকাশ মন্ডল প্রকাশ ইরফানকে আটক করে।</p> <p>ইরফান ওই জাহাজের খালাসি ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যায়। তার দাবি, সবাইকে একাই হত্যা করেন তিনি। <br /> চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানা থেকে ইউরিয়া সার বোঝাই করে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। </p>