<p style="text-align:justify">ময়মনসিংহ নগরীর থানাঘাট এলাকায় প্রায় পৌনে ২০০ বছরের সৈয়দ কালু শাহ মাজার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মাজারের আওতায় বাৎসরিক ওরসে কাওয়ালি গানের অনুষ্ঠানেও হামলা ও মঞ্চ ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।</p> <p style="text-align:justify">বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মাজারটি কোতোয়ালি থানার ঠিক উল্টো পাশেই অবস্থিত। ময়মনসিংহ নগরীতে এমন ঘটনা অনেকের কাছেই বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। হামলার ঘটনাটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">মাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তারা প্রশাসনকে জানিয়েই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরের কোতোয়ালি মডেল থানার বিপরীত দিকে অবস্থিত সৈয়দ কালু শাহ (রহ)–এর মাজার। মাজারটি নগরীতে বেশ পরিচিত। প্রতিদিনই মাজারে অনেক ভক্তের আসা যাওয়া হয়। প্রতি বছর মাজারের উদ্যোগে ওরস ও কাওয়ালি গানের আয়োজন করা হয়। বিগত সময়ে কখনো এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারো মাজারে ১৭৯ তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদের পারে কাওয়ালি গানের আয়োজন করেন ভক্তরা।</p> <p style="text-align:justify">এদিন রাত ১১টার দিকে গানের অনুষ্ঠান শুরুর পর সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে হামলা হয়। শিল্পীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। মঞ্চ ও চেয়ার গুঁড়িয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে রাত ৩টার দিকে মাজারে হামলা হয়। মাজারের পাকা স্থাপনার কিছু অংশ ও ভেতরে থাকা জিনিসপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। </p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে মাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে উৎসুক জনতার ভিড়। ভক্তরা মাজার থেকে তাদের কষ্ট আর ক্ষোভের কথা তুলে ধরছেন।</p> <p style="text-align:justify">মাজার কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জয়নাল আবেদিন বলেন, অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। এর আগে তারা প্রশাসন থেকে অনুমতিও নিয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১১টা/১২টার দিকে ওসি এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেন। এরই মাঝে পার্শ্ববর্তী মাদরাসা থেকে লোকজন এসে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটে চলে যান।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদের মাদরাসার প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা রাতে পড়াশোনা এবং আসন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাতে মাইক বাজিয়ে গানবাজনা করছিলেন মাজারের লোকজন। উচ্চস্বরে গান বাজানোর কারণে ছাত্রদের পড়ায় সমস্যা হয়। এমতাবস্থায় ছাত্ররা গিয়ে গানের সাউন্ড কমাতে বলেন। কিন্তু তা না করে গানের আসর থেকে উসকানিমূলক কথা বলা হয় বলে শুনেছি। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, মাজারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে দিনের বেলা আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। </p>