ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

ডিসি অফিসে চাকরি করে সম্পদের পাহাড় হাসেমের

নুরুল ইসলাম, সালথা-নগরকান্দা
নুরুল ইসলাম, সালথা-নগরকান্দা
শেয়ার
ডিসি অফিসে চাকরি করে সম্পদের পাহাড় হাসেমের
মো. আবুল হাসেম শিকদার

মো. আবুল হাসেম শিকদার (৫০)। তার বাবা ছিলেন কৃষক। মাত্র একযুগ আগেও মাঠে ছিল না তাদের তেমন জমি-জমা। জরাজীর্ণ ঘরে করতেন বসবাস।

শুধু নিজের পরিবার নয়, শ্বশুর বাড়ির পরিবারেও ছিল না তেমন কোনো সম্পদ। অথচ হাসেম ডিসি অফিসে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী চাকরি পেয়ে নিজের ও শ্বশুর বাড়ির পরিবারের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। 

ফরিদপুর ডিসি অফিসে (ভূমি অধিগ্রহণ শাখায়) ট্রেসার হিসেবে নিযোগ পাওয়ার পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি।

এখন হাসেমের নিজের ও শ্বশুর বাড়ির এলাকার মাঠে ফসলি জমির অভাব নেই। 

আরো পড়ুন

ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা মামলার আসামি কনস্টেবল সুজন

ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা মামলার আসামি কনস্টেবল সুজন

 

ঢাকা ও ফরিদপুর শহরেও একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে। নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের রয়েছে একাধিক গাড়ি ও আইফোন। যেন ডিসি অফিসের এক চাকরিতেই আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন হাসেম।

অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। দুদুকেও অভিযোগ রয়েছে। এর আগে দুর্নীতির দায়ে তাকে বরখাস্তও করা হয়।

আবুল হাসেম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের জীবন শিকদারের ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট হাসেম।

হাসেম বর্তমানে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার অধিনে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।

আরো পড়ুন

৩ দফা দাবিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন

৩ দফা দাবিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন

 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) আবুল হাসেমের প্রতিবেশী আব্দুল ওহাব কালের কণ্ঠকে বলেন, হাসেমরা পাঁচ ভাই। এর মধ্যে তিন ভাই অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এক ভাই একটি মিলে চাকরি করেন। আর হাসেম ডিসি অফিসে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করছেন। তাদের বাবার যে সম্পত্তি ছিল, তা ভাগ করে মাত্র ২৫ শতাংশ করে জমি একেক ভাই ভাগে পেয়েছেন। 

তারা বসবাস করতেন জরাজীর্ণ ঘরে। কিন্তু হাসেমের এখন বাড়ি-গাড়ি ও সম্পত্তির অভাব নেই। নিজ এলাকায় প্রায় দুই কোটি টাকার বন্ধকী জমি রেখেছেন। স্থানীয় নকুলহাটি বাজারে ২টি দোকান ও ২৪ শতাংশ জমি রয়েছে তার। এ ছাড়া শ্বশুর বাড়িও অন্তত দুই কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন হাসেম। এত টাকা কোথায় পেল জানি না।

আরো পড়ুন

বিবিএস-এর ১৮ কোটির ৫ জরিপে ভ্রমণ ব্যয় ৯ কোটি!

বিবিএস-এর ১৮ কোটির ৫ জরিপে ভ্রমণ ব্যয় ৯ কোটি!

 

তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকার অনেককে সরকারি জমি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে বলে জেনেছি। হাসেম এলাকায় আসলে নিজের দামি গাড়ি নিয়ে আসে। তার স্ত্রীরও গাড়ি রয়েছে। অন্যদিকে অন্তত ১০টি সিএনজি গাড়ি রয়েছে তার। এসব সিএনজি ভাড়া দেওয়া রয়েছে। পরিবারের নারী সদস্যদেরও অন্তত কোটি টাকা স্বর্ণাংলকার রয়েছে। 

হাসেমের দুই ছেলে। এক ছেলে দিল্লিতে লেখাপড়া করে। আরেক ছেলে ফরিদপুরের লক্ষীপুরে আলিশান বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। ছেলেদের হাতে সব সময় থাকে নিউ মডেলের আইফোন।  

সালথার রামকান্তপুর গ্রামের নাসির তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, সালথা বাইপাস সড়কে আমার শ্বশুরের ১ শতাংশ জমি ছিল। ওই জমি অধিগ্রহণের ৩৩ লাখ টাকা পান আমার শ্বশুর। কিন্তু ডিসি অফিসের হাসেম সেই সময় আমার শ্বশুর কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে রেখে দেন। এখন ওই টাকা চাইলে হাসেম বলেন, টাকা স্যার নিয়ে গেছে। আমি কোথা থেকে দেব।

আরো পড়ুন

চাঁদপুরে আবারও শ্রেষ্ঠ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহআলম

চাঁদপুরে আবারও শ্রেষ্ঠ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহআলম

 

হাসেমের শ্বশুর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর এলাকায়। তাঁর শ্বশুরের নাম আনো মাতুব্বর। জানা গেছে, হাসেম তার শ্বশুরের নামে অন্তত ১০ বিঘা জমি কিনেছেন দাদপুর মাঠে। যদিও হাসেমের শ্বশুর দাবি করে বলেন, আমার জামাই আমার এলাকায় কোনো জমি কিনেননি। বিগত ৮-৯ বছরে আমি নিজেই ৮ বিঘা জমি ক্রয় করেছি। যার মূল্য কোটি টাকারও বেশি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের তেতুলতলা মোড় এলাকায় নির্মাণাধীন দুটি বহুতল ভবনে কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে হাসেমের। ওই ফ্ল্যাট দুটির মাঝে ফাঁকা জায়গায় দুটি দাগের ৩৫ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ জমিতেও শেয়ার রয়েছে তাঁর। ওই এলাকার প্রতি শতাংশ জায়গার মূল্য ৩০ লাখ টাকার বেশি। ঢাকায়ও দুটি বহুতল ভবনে তার শেয়ার রয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ভবন দুটি কাজ চলমান রয়েছে। সাভারেও জমি রয়েছে তার। আলফাডাঙ্গায় জায়গা ক্রয় করে ফ্ল্যাট তুলে ভাড়া দিয়েছেন। ফরিদপুর নিউ মার্কেটে তিনটি দোকানও রয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায় ট্রেসার পদে যোগদান করেন হাসেম। তখন তার বেতন স্কেল ছিল ১৭ তম গ্রেডে। বর্তমানে তার বেতন ১৩ তম গ্রেডে। ট্রেসার হিসেবে দীর্ঘদিন ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত থাকাকালে ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কের চারলেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের সময় ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন হাসেম।

ফরিদপুর শহরের বাইপাস সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য অধিগ্রহণের খবরে সদরের গোয়ালচামটের খোদাবক্স এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মঞ্জুর আলী গংয়ের জমি হাসেম ৭টি দলিলের মাধ্যমে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের নামে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তা অধিগ্রহণ হয়। এসব দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২ নভেম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। বর্তমানেও ওই আদেশ জারি রয়েছে।

তবে এসব দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে মো. আবুল হাসেম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জমি-জমা নিয়ে ঝামেলার কারণে আমার বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধা বিভাগীয় কমিশানারের কার্যালয়ে, দুদুকে ও ডিসি অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন। এসব অভিযোগের তদন্ত রির্পোট চলে গেছে। এতে আমার কিছুই হবে না। আমি চাকরির পাশাপাশি জমির ব্যবসা করে সম্পদের মালিক হয়েছি, দুর্নীতি-অনিয়ম করে নয়। আমি একটি জমি ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যস্থতা করে ৪২ লাখ টাকা পেয়েছিলাম।'

আরো পড়ুন

নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুইজনের

নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুইজনের

 

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'হাসেমের বিষয়ে দুদুকে মামলা চলছে। আমরাও তদন্ত করছি। হাসেম কোন অফিসে চাকরি করে, এটা কোনো বিষয় না। দুর্নীতিবাজ যত বড়ই হোক, একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুমিল্লায় মসজিদের পাশ থেকে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় মসজিদের পাশ থেকে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লার হোমনায় মসজিদের পাশে বিল্লাল হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে উপজেলার ঘারমোড়া ইউনিয়নের বড় ঘারমোড়া গ্রামের একটি মসজিদের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিল্লাল হোসেন (৩২) ঘারমোড়া ইউনিয়নের বড় ঘারমোড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ মো. জামান মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিল্লাল হোসেন স্থানীয় মাদক কারবারিদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন।

তার নামে হোমনা থানায় দুটি মাদক ও একটি চুরির মামলা আছে। সরকার পরিবর্তের পর থেকে ঘারমোড়া বাজার এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে গ্রুপিং চলছে।

নিহতের মা সেলিনা বেগম জানান, কয়েক দিন আগে টাকার বিনিময়ে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিল্লাল হোসেন (৩২) নদীতে মাছ ধরতে যান। কিন্তু নজরুল ইসলাম মাছ বিক্রির টাকা বিল্লাল হোসেনকে না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

পরের দিন তার জাল চুরি হলে বিল্লাল হোসেনকে দোষারোপ করে এবং প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়।

নিহতের মা আরো বলেন, শনিবার রাতে একই গ্রামের কাজম আলীর ছেলে দুলাল মিয়া বিল্লাল হোসেনকে ডেকে নেয়। পরে বিল্লাল আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে শুনি মসজিদের পাশে তার গলা কাটা লাশ পাওয়া গেছে।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। খুনের তথ্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। সন্দেহজনক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আশা করছি, দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারব।

মন্তব্য

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে মহেশপুরের জলিলপুর সড়কে আব্দুল হামিদ সাড়ে তিন শতক ডিসিআরভুক্ত জমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে একটি সেমি পাকা ভবন নির্মাণ করেন। পরে ওই ভবনে ডেকোরেটরের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

 
দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে আসছেন তিনি।

আরো পড়ুন

শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

 

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মহেশপুর বণিক সমিতি থেকে একটি সালিসির চিঠি পান তিনি। পরে বণিকি সমিতিতে গিয়ে জানতে পারেন ওই জমির দাবি করছেন স্থানীয় শেখ মো. আনোয়ার সাদত রিপন নামের এক ব্যক্তি। সমিতিতে সালিসের সময় হামিদকে দ্রুত ওই জমিসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।

এরপর উপায় না পেয়ে গত ৩ মার্চ ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন করেন তিনি। তখন আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে।

আরো পড়ুন

আ.লীগ এমপির ব্যানার নিয়ে প্রশ্ন, যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

আ. লীগ এমপির ব্যানার নিয়ে প্রশ্ন, যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

 

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে রিপন ও তার ক্যাডার বাহিনী। পুরো ভবন ভাঙচুর করেছে।

প্রতিষ্ঠানে থাকা ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে তারা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আনোয়ার সাদত রিপন বলেন, ‘ওই জায়গায় আমাদের মার্কেট রয়েছে। হামিদ যে জায়গায় ব্যবসা করে ওই জায়গাটাও আমাদের। তিনি মূলত সাবেক এমপি চঞ্চলের লোক। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বহিরাগতরা।

এখন তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

আরো পড়ুন

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

 

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুনেছি ওই জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ আছে। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে চলে গেছে। বিজ্ঞ আদালত যে নির্দেশনা দিবে আমারা সেটাই পালন করব।’

মন্তব্য

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
সংগৃহীত ছবি

শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল বাশার মিঞা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম কাশেম ও অ্যাড. সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুল হাসানকে এই নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ মার্চ আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আদালতের পেশকার, পিয়ন ও জিআরওদের কাছ থেকে মামলা দায়ের, দরখাস্ত, জামিননামা দাখিল এবং গারদখানায় ওকালতনামা স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে উৎকোচ গ্রহণের হার নির্ধারণ করা হয়। 

সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, সি.আর ফাইলিং: ১০০ টাকার বেশি নয় দরখাস্ত (জি.আর/সি.আর): ১০০ টাকার বেশি নয় জামিননামা দাখিল: ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে গারদখানা ও ওকালতনামা স্বাক্ষর: ১০০ টাকা সিভিল ফাইলিং: সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হলফনামা: ১০০ টাকা এই সিদ্ধান্তের রেজুলেশন কপি জজকোর্ট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার, পিয়ন এবং কোর্ট পুলিশের জিআরওদের কাছে বিতরণ করা হয়।

 

এ ছাড়া এটি আইনজীবীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে উন্মুক্ত রাখা হয়। আইনজীবী সমিতির এই সিদ্ধান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। আদালতের কর্মচারীদের উৎকোচ নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। 

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নোটিশে বলা হয়, পরিমাণ যাই হোক না কেন, ঘুষ গ্রহণ ও প্রদানের যাবতীয় উদ্যোগ সমানভাবে বেআইনি ও নিন্দনীয়।

বিচার বিভাগ যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছে, তখন এই ধরনের বেআইনি ও নৈতিকতা বিবর্জিত কার্যবিবরণী আইন পেশাকে কলুষিত করেছে এবং বিচার বিভাগের মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে। 

রবিবার শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র আবুল বাশার মিঞা স্বাক্ষরিত দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।

একটি আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে আরেকটি সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হয়। আর অনুলিপি দেওয়া হয় জেলা ও দায়রা জজকে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.মুহাম্মদ কামরুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা দুর্নীতি বন্ধ করার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আদালতের সঙ্গে আমরা আইনজীবীরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে আছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

আমরা ৩ দিনের মধ্যেই লিখিতভাবে শোকজের জবাব দেব।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সমিতির সভাপতি অ্যাড.জাহাঙ্গীর আলম কাশেম ও জজ কোর্টের পিপি মনিরুজ্জামান দীপুকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে শিক্ষিকাকে হেনস্তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
নোয়াখালীতে শিক্ষিকাকে হেনস্তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা পারভীন আক্তারকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় হেনস্তার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এর আগে, গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বক্তব্য রাখেন।

 

এ সময় বক্তারা শিক্ষিকাকে মারধর করে সংঘটিত ছিনতাইয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি ও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।    

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় থেকে চৌমুহনী চৌরাস্তা দিয়ে নিজের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে একলাশপুর বাজার থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে শিক্ষিকা পারভীন আক্তার। কিছু পথ যাওয়ার পর সিএনজির ভেতরে থাকা কয়েকজন পুরুষ তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে তার চোখে রাসায়নিক দ্রব্য লাগিয়ে দেয়। এ সময় তারা শিক্ষিকার ব্যাগ থেকে টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়।

পরে অটোরিকশাটি কলেজ গেইট থেকে একলাশপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ভিকটিমকে একটি নির্জনস্থানে নিয়ে নামিয়ে দেয়।  

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলি। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ আগেই নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ