কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটক ১০

কুমিল্লা (উত্তর ও সিটি) সংবাদদাতা
কুমিল্লা (উত্তর ও সিটি) সংবাদদাতা
শেয়ার
কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটক ১০

কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ১০ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আদর্শ সদর সেনাবাহিনী ক্যাম্প-১। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পিস্তল, রিভলবার, এলজি, কার্টুজ, পিস্তলের গুলি ও ম্যাগাজিন ও বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

পরে তাদের কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার মো. নাইমুল ইসলাম নাঈম (৩৬), কালিয়াজুড়ি এলাকার আবির হামিদ মাহি (২১), ঈদগাহ এলাকার মো. সাজিদুল ইসলাম (২১), ছোটররা এলাকার মোহাম্মদ আলী (২৪) ও মো. সাব্বির হোসেন (২১), ছোটরা ঝাউতলা এলাকার মো. জাবেদুর রহমান (২৯), ধর্মসাগর পাড় এলাকার অভিজিৎ রায় সরকার (৩০), বুড়িচং সাধকপুর এলাকার মো. আবুল খায়ের (৩৯), ধর্ম সাগর এলাকার মো. অপু (৪২) ও কালিয়াজুরি এলাকার রাকিব (২১)।

সেনাবাহিনী জানায়, অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, ২টি রিভালবার রাশিয়ান পিস্তল, ২টি রামদা, ৯টি রাউন্ড গুলি, তলোয়ার ও চাকু জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দুপুরে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অন্য দেশে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে বাড়ানো হয় : ধর্ম উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অন্য দেশে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে বাড়ানো হয় : ধর্ম উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাস এলেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাজারে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভূমিকা রাখছে এই সরকার।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাস এলেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাজারে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভূমিকা রাখছে এই সরকার। 

তিনি ভোগ্যপণ্যের দাম রমজান মাসে সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজারে সয়াবিন তেলের ঘাটতি থাকবে না। 

বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফিকুর রহমান, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমসহ প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

সেমিনারে বক্তারা হাওর এলাকার জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় করণীয় বিষয়ে ইমামদের ভূমিকা তুলে ধরেন।
 

মন্তব্য

বগুড়ায় পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
বগুড়ায় পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ছবি: কালের কণ্ঠ

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের রেলওয়ে জোড়াপুকুরের উত্তর পাশের একটি পুকুর থেকে আকবর আলী (২৪) নামের এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার দুপুর ১২ টায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

নিহত আকবর উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মাইক্রো স্ট্যান্ড এলাকার মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি নিহতের মা মর্জিনা বেগমের।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকবর আলী মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়িতে ফিরেননি। বুধবার সকালে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের জোড়াপুকুর লিজ নেওয়া মাছ চাষির শ্রমিকরা উত্তরপাশের পুকুরটি সংস্কার কাজ করার সময় কচুরিপানা তুলতে গিয়ে তার ভাসমান লাশ দেখতে পায়। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন।

মাথার পেছনের অংশ, বাম কান ও ডান চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত আকবরের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, আকবর আলী চুরি ও মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সে পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হয়েছিল।

নিহতের মা মর্জিনা বেগম জানান, তার ছেলেকে কে বা কারা হত্যা করে পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে ফেলে রেখে গেছে।

যাতে কেউ মরদেহটির খোঁজ না পায়। এ ব্যাপারে তিনি থানায় একটি হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএস মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কারাবন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ করাতে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
কারাবন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ করাতে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সহকারী প্রধান কারারক্ষী আমিনুল ও কারারক্ষী রহিম স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, যেখানে দেখা যায়, কারারক্ষী রহিম প্রথমে এক বন্দির স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে দেখা করানোর আশ্বাস দেন।

এরপর সহকারী প্রধান কারারক্ষী আমিনুল এসে রহিমের সঙ্গে কথা বলেন এবং সাক্ষাতের জন্য ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। 

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত দুই কারারক্ষী আমিনুল ও রহিমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।

অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘সরকারি কারাগারে বন্দিদের স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া চরম অনিয়ম। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই অনিয়ম নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই টাকা ছাড়া কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা করা সম্ভব নয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা এ বিষয়ে বলেন, ‘ভিডিওর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং বিষয়টি আরো গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

নারায়ণগঞ্জে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নারায়ণগঞ্জে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির গ্রেপ্তার
শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির

নারায়ণগঞ্জ থেকে ‘কাদির সিপাই গ্রুপের’ প্রধান শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির সিপাইকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‍‍্যাব-১১-এর উপপরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম এ তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে দুধবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কাদির সিপাই ফতুল্লার সিপাইপাড়া এলাকার দুলাল সিপাইয়ের ছেলে।

র‍‍্যাব জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির ফতুল্লা থানার উত্তর গোপালনগর এলাকার প্রভাবশালী ও বক্তাবলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক সামেদ আলীর প্রধান সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। মূলত সামেদ আলীর ছত্রচ্ছায়ায় কাদের দলবল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলাসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কাদির সিপাই আত্মগোপনে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা, সদর, বন্দর, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় হত্যা, ডাকাতি, হুমকি, চাঁদাবাজি, নাশকতা, হত্যাচেষ্টা, মারামারিসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে।

তাকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র‍‍্যাব।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ