‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ নামে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি। ছয় সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে নতুন সংগঠনের। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে ‘শিক্ষা ঐক্য মুক্তি’। তবে তাদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নতুন ছাত্রসংগঠন—ঢাবি পেল ৫ নেতা, জাবির ভাগে ১
অনলাইন ডেস্ক

এদিকে নতুন এই সংগঠনে বৈষম্যের শিকার হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এমন দাবিতে আজ বিকেলে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে বিক্ষোভ, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
নতুন এই ছাত্রসংগঠনের আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদারকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ছাড়া ছাত্রসংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ছিলেন আবু বাকের মজুমদার। গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর ছাত্রসংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’-এর কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব করা হয়েছে জাহিদ আহসানকে।
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামকে। সিনিয়র সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন রিফাত রশীদ।
নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরীকে। আর মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন আশরেফা খাতুন। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সম্পর্কিত খবর

লন্ডনে খালেদা জিয়ার ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ শুরু করেছেন লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা।
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বুধবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী চার দিন তার (খালেদা জিয়া) বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, ডাক্তাররা (লন্ডন ক্লিনিক) বাসায় তাকে দেখতে আসবেন।’
খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরতে পারেন জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ডাক্তাররা যেসব পরীক্ষা করতে বলেছেন, সেগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এখানকার ডাক্তাররা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবেন… কত দ্রুত তাকে ছুটি দেওয়ার মতো অবস্থায় যেতে পারবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বর্তমানে লন্ডনের ডেভেরনশায়ার প্লেসে দ্য লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লন্ডনে যান বেগম খালেদা জিয়া। গত ৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বাসায় ফেরার পর গত দুই মাসে খালেদা জিয়াকে আর হাসপাতালে নিতে হয়নি।
৭৯ বছর বয়সী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি করে রাখে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে।

‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের জন্য ‘মহামূল্যবান সম্পদ’ উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেছেন, ‘তাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে দেশের জন্য কালো অধ্যায়।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো চাঁদাবাজি, মামলাবাজি বা মাদকবাজি দেখতে চায় না। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা চাঁদাবাজি-মামলাবাজিতে মেতে উঠেছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটিয়েছে, ছোট ছোট বাচ্চাদেরও মাদকাসেবী বানিয়েছেন। বিগত সরকারের নেতারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা তাদের দায়িত্ব।

কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি
নোয়াখালী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে, অন্যায়-জুলুম-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতা লোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।’
বুধবার বিকেলে বসুরহাট ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা মাঠে নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির (দক্ষিণ) শাখার আয়োজনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। আবারও দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদাভীরু নির্ভিক তাকওয়ার গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহীদ হতে প্রস্তুত।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চেয়েও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে।
নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভার আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদরাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।
সমাবেশের আগে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন শিবির সভাপতি।

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান
অনলাইন ডেস্ক

জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘দুই পারসেন্ট লোক নেই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও চলে তার কথায়, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তার কথায়।
মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করব, আমি একটা কথা মিছা কইছি কি না? তাহলে আপনার শিবির ও জামায়াতের কর্মীরা আমারে এত বকাবকি করে কেন? আমারে ফজু পাগলা কয় কেন? ঠিক আছে আপনারা পাল্লা (দাড়িপাল্লা প্রতীক) নিয়া করবেন, আমরা ধানের শীষ নিয়া করব। পাবলিককে ডিসিশন নিতে দেন।
তিনি বলেন, ‘খালি বকাবকি করেন কেন? আর পেছন দিক দিয়ে কালো অন্ধকারে বসে কুটকুট করেন কেন? ১০ বছর কেমনে বিনা ভোটে থাকা যায়। কারণ জানেন, ভোট করলে জামানত থাকবে না। কূটকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চান। এইটা কইলেই ফজলুর রহমান খারাপ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘কলাগাছ কি বটগাছের চেয়ে বেশি উঁচু হয়? অনির্বাচিত সরকার কি নির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি আইন পাবে? কাজেই আমরা চাই না, এই দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকুক।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আগে কইছে ডিসেম্বর মাসে ভোট দেব। কয়দিন পরে গলা টাইনা বলে ইলেকশন ছয় মাস দেরি করে জুন মাসে দেব। জুন মাস যখন হয়ে যাবে, তখন বলবে আরে জুন মাসে তো আওয়ামী লীগের জন্মদিন। এ মাসে ফ্যাসিস্টদের জন্ম। এই মাসে তো কোনো ইলেকশন হইতে পারে না। এরপরে কইব, আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এটাতে তো আমরা আন্দোলন করছিলাম, বিপ্লবের মাস। সেই মাসে ইলেকশন হবে না। আরেকটু পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হোক। এইভাবে ইলেকশন টেনে কূটকৌশল করে পিছাইতেছে। কারণ, তারা জানে, ইলেকশন অইলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে। যেই কারণে ইলেকশন দিতে চায় না।’