দিনাজপুরে বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবিরকে গাইবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবির তার হ্যান্ডকাপ খুলে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার সময় তাকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গাইবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টা ১০ মিনিটে সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবিরকে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহবস্তি তার বোন ভগ্নিপতির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি বোন ভগ্নিপতি যথাক্রমে আফরোজা পারভীন কবির ও ভগ্নিপতি আলতাফ হোসেনের দীবা গার্ডেন নামে বাসায় আত্মগোপনে করে ছিলেন।
আরো পড়ুন
মাদকবিরোধী সংবাদ প্রচার, সাংবাদিকের ওপর হামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
শাহ সারওয়ার কবির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে আজ বুধবার ভোর সকাল পর্যন্ত দিনাজপুরের পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে সাবেক এমপি শাহ সরওয়ার কবীরকেসহ যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এমন আরো ৭১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাবেক এমপি শাহ সরওয়ার কবীরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইন, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গাইবান্ধা থানায় দুটি মামলা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দিনাজপুরে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বুধবার তাকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলো। গাইবান্ধা পুলিশ একটি প্রিজনভ্যানে করে তাকে নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।’
আরো পড়ুন
গোপালগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবির ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ছোট ভাই আমার একটা ব্যক্তিগত প্রত্যাশা আছে। আমাদের আপনারা দেখেছেন, মিডিয়াও দেখেছেন যে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য বা এখানে আরো যারা আদারস যারা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বন্দি থাকায় অবস্থায় যখন আদালতে তোলা হত তখন প্রথম প্রথম তাদেরকে হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়েছে, পরে আর লাগানো হয়নি, আমরা তো চোর-ডাকাত নই, আমরা তো পার্লামেন্ট সদস্য, আমাদেরকে কেন হ্যান্ডকাফ লাগাবেন? আমার হ্যান্ডকাফটা খুলে দিলে দিলে কি হয়? সম্মানিত করলে সম্মান পাওয়া যায়।’