ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও সকল ধরনের যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মির্জাপুর থানা পুলিশ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশে এই নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার স্কয়ার এলাকা থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় মির্জাপুর থানার ৫টি, দেওহাটা ফাঁড়ির দুটি এবং গোড়াই হাইওয়ে থানার দুটিদলসহ ৯টি দল নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
এ ছাড়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, মির্জাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার এইচ এম মাহাবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে আরো তিনটি দল মহাসড়কে টহলে থাকছেন।
তারা মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন থামিয়ে চালকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
অন্যদিকে দেলদুয়ার পাকুল্যা আঞ্চলিক সড়ক এবং সখিপুর গোড়াই আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর উপজেলার সীমানা পর্যন্ত পুলিশ নিয়মিত টহলে থাকছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে পৌর এলাকায় পুলিশের দুটি দল নিয়মিত টহলে রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে উপপরিদর্শক হাবিব, জহির, আলী আহসান, রাহাত, নুরনবী, সাহাদত হোসেন, সারওয়ার ও রাব্বানী এবং সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন ও শহিদুলের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা টহলে রয়েছেন।
রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদস্যরা কয়েকটি টহল দলের মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শুধু মহাসড়কে নয়, এ উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মহাসড়কের এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আলোকিত করার জন্য লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মির্জাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার এইচ এম মাহাবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছি। জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক মহাসড়কে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন বলে তিনি জানান।