বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আবুল কালাম (২৬) নামে এক যুবককে বাসরঘর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরবর্তীকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন
বিজিবির উখিয়া ব্যাটালিয়নের যাত্রা শুরু
গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবুল কালাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িও একই গ্রামে। আদালত পরিদর্শক পীরজাদা মো. মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকেলে আবুল কালামকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
এ সময় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন আবুল কালাম।
চার মাস আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরো পড়ুন
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আবুল কালাম। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয় মেয়েটি। পরে বিয়ে করতে বললে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে কালাম। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবক গত বুধবার পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নাউরী গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়েছিলাম। ডাক্তার বলেছেন অন্তঃসত্ত্বা। আমি আবুল কালামের শাস্তি চাই।
আরো পড়ুন
পিরোজপুরে ১০ গ্রামে রোজা আজ
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেদিন রাত ৩টার দিকে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শুক্রবার অভিযোগটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করে আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকেও হাসপাতালে পাঠানো হবে।